পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা কুমড়ো ও পাখির কথা প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা কুমড়ো ও পাখির কথা প্রশ্নোত্তর: “কুমড়ো ও পাখির কথা” গল্পে প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণিকুলের পারস্পরিক সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। কুমড়ো, দোয়েল, সূর্য, শিশির ও টুনটুনি একে অপরের সঙ্গে কথা বলে, যা প্রকৃতির সৌন্দর্য ও ভারসাম্যের ছবি। তবে মানুষের লোভ বন ধ্বংস করে, আগুন লাগে, যা জীবজগতের জন্য ভয়ানক। গল্পটি পরিবেশ রক্ষা, প্রাণীর প্রতি দায়িত্ববোধ ও প্রকৃতির পুনর্জন্মের গুরুত্ব বোঝায়। কুমড়োর মৃত্যুর পর নতুন চারা জন্ম নেয়, যা প্রকৃতির আশার প্রতীক।

পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা কুমড়ো ও পাখির কথা প্রশ্নোত্তর:

১. শব্দগুলোর অর্থ ও ব্যবহার জেনে নিই।

নির্জন – জনশূন্য, নিরিবিলি। নির্জন নদীর তীরে রাখাল গান গাইছে।
দুশমন – শত্রু। – পোকা ফসলের দুশমন।
পরাগ – ফুলের রেণু। মুখে ফুলের পরাগ মেখে লতার দোলনায় দুলব।

২. কথাগুলো বুঝে নিই।

রোদ উঠেছে তো, এখন আমার যাওয়ার পালা – রোদ উঠলে শিশির শুকিয়ে যায়। সে জন্য শিশির এ কথা বলছে।

তুমি আমাদের উপকারী বন্ধু অনেক পোকা – মাকড় গাছের ক্ষতি করে। দোয়েল পাখি সেসব খেয়ে ফেলে। তাই, কুমড়ো দোয়েলকে উপকারী বন্ধু বলছে।

পাতার মধ্যে আমার রান্নাবান্না হচ্ছে – গাছে রোদ পড়ে, শেকড় মাটি থেকে রস সংগ্রহ করে। এই রোদ ও রস থেকে পাতা গাছের জন্য খাবার তৈরি করে। এজন্যই কুমড়ো বলেছে পাতায় তার রান্নাবান্না হচ্ছে।

ফুল থেকে ফুলে পরাগ যায় – প্রত্যেক ফুলে পরাগ থাকে। এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পরাগ গেলে তবেই ফল হয়। বাতাস, মৌমাছি, ভোমরা ও পাখি ফুল থেকে ফুলে পরাগ নিয়ে যায়।

৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি।

ক. দোয়েল পাখি কুমড়োর কী উপকার করে?
উত্তর: দোয়েল পাখি কুমড়োর লতা থেকে ক্ষতিকর পোকা খেয়ে তাকে রক্ষা করে। পাশাপাশি সে সুন্দর সুরে গান গেয়ে কুমড়োকে আনন্দ দেয়।

খ. মানুষের বিরুদ্ধে দোয়েল পাখি কী কী অভিযোগ করেছে?
উত্তর: দোয়েল অভিযোগ করেছে, মানুষ বন কেটে ফেলে, পশুপাখি ধরে খাঁচায় বন্দি করে, শিকার করে খায় এবং নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ ও ধ্বংস করে।

গ. টুনটুনি কুমড়োকে কী খবর দিল?
উত্তর: টুনটুনি জানায়, কেউ গাছ কেটে জমি করেছে এবং সেখানে আগুন দিয়েছে। আগুনে প্রাণী ও গাছপালার ক্ষতি হলেও মানুষ এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে।

ঘ. বনে আগুন লেগে কী ক্ষতি হল? আগুন নেভাতে কারা ছুটে এল?
উত্তর: বনের আগুনে অনেক গাছ ও প্রাণী পুড়ে যায়। এই বিপদে মানুষ ছুটে এসে আগুন নেভায় ও প্রাণীদের রক্ষা করে।

ঙ. শরৎকালে কুলগাছে ফিরে এসে দোয়েল পাখি কী দেখল?
উত্তর: শরৎকালে দোয়েল পাখি ফিরে এসে দেখে, পুরনো কুমড়ো গাছটি না থাকলেও তার বীজ থেকে নতুন চারাগাছ গজিয়েছে।

চ. ‘কুমড়ো ও পাখির কথা’ থেকে আমরা যা শিখেছি তা পাঁচটি বাক্যে লিখি।
উত্তর:
১. প্রকৃতি ও প্রাণীকুল একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।
২. গাছপালা ও পশুপাখিকে ভালোবাসা ও রক্ষা করা জরুরি।
৩. মানুষের কর্মকাণ্ডে পরিবেশের ক্ষতি হয়, তবে তারা রক্ষা করতেও পারে।
৪. পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহযোগিতা জীবন টিকিয়ে রাখে।
৫. প্রকৃতির যত্ন না নিলে পৃথিবী বাসযোগ্য থাকবে না।

৪. ডান দিক থেকে বিপরীত শব্দগুলো বেছে নিই।
লাভ—অসুবিধে
দুশমন—কুবুদ্ধি
উপকারী—নিন্দা
সুবুদ্ধি—কুৎসিত
সুবিধে—ক্ষতি
প্রশংসা—বন্ধু
সুন্দর—অপকারী
উত্তর: 
লাভ—ক্ষতি
দুশমন—বন্ধু
সুবুদ্ধি—কুবুদ্ধি
উপকারী—অপকারী
সুবিধে—অসুবিধে
প্রশংসা—নিন্দা
সুন্দর—কুৎসিত

৫. এক কথায় বলি।
যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে—কৃতজ্ঞ।
যে উপকারীর অপকার করে—কৃতঘ্ন।
যে বেশি কথা বলে—বাচাল।
যে হিংসা করে—হিংসুক।

আরও পড়ুন: নোলক আল মাহমুদ

আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির বাংলা দৈত্য ও জেলে