জলবায়ু ও দুর্যোগ পঞ্চম শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর: কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাতকে আবহাওয়া বলে এবং কোনো স্থানের আবহাওয়া পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ধারাই জলবায়ু। সাধারণত কোনো স্থানের ৩০ থেকে ৪০ বছরের বেশি সময়ের আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ু বলা হয়। বিভিন্ন কারণে বিশ্বের জলবায়ু বদলে যাচ্ছে। যেমন- কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া, বন-জঙ্গলের পরিমাণ কমে যাওয়া, নদী ধ্বংস হওয়া, জলাধার ভরাট করা ইত্যাদি কারণে প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্বে তাপমাত্রা বেড়ে বরফ গলে যাচ্ছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। জলবায়ুর এ পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্পের মতো নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।
জলবায়ু ও দুর্যোগ পঞ্চম শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর:
অল্প কথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন ১। দুর্যোগের দুটি প্রাকৃতিক কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর: দুর্যোগের দুটি প্রাকৃতিক কারণ হলো-
১. প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক অবস্থান এবং
২. জলবায়ুগত অবস্থা।
প্রশ্ন ২। দুর্যোগের দুটি মানবসৃষ্ট কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর: দুর্যোগের দুটি মানবসৃষ্ট কারণ হলো-
১. অধিক হারে বৃক্ষ নিধন এবং
২. শিল্প কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া।
প্রশ্ন ৩। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর: বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ হলো-
১. ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে।
২. অধিক জনসংখ্যার জন্য বাসস্থান নির্মাণ করতে গিয়ে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে।
৩. উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে নগরায়ণ দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে।
প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
প্রশ্ন ১। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে নদীভাঙনের প্রবণতা রয়েছে? কেন?
উত্তর: বাংলাদেশের দক্ষিণে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, চরাঞ্চল, হাওর ও নদী-তীরবর্তী অঞ্চলসমূহে নদীভাঙনের প্রবণতা রয়েছে। বিভিন্ন কারণে নদীভাঙন হয়-
১. জোয়ারভাটা;
২. বালু উত্তোলন;
৩. নদী-তীরবর্তী গাছপালা কাটা।
প্রশ্ন ২। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে খরা বেশি হয়?
উত্তর: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং অল্পসংখ্যক নদী থাকার কারণে খরার প্রবণতা বেশি। বাংলাদেশে খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিভাগের দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলা।
বাংলাদেশের খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলো বরেন্দ্রভূমি বলয়ে অবস্থিত। বরেন্দ্রভূমিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম।
প্রশ্ন ৩। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ?
উত্তর: ভূমিকম্প ঝুঁকি অনুযায়ী ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশকে তিনটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ১: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তুলনামূলকভাবে কম ভূমিকম্পপ্রবণ।
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ২ ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি জেলা মাঝারি ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চলে রয়েছে।
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ৩: সিলেট বিভাগসহ নেত্রকোনা, শেরপুর, কুড়িগ্রাম জেলা এবং ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার অংশবিশেষ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:
১. সংক্ষেপে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন ১। নদীর পাড় রক্ষায় কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করে?
উত্তর: নদীর পাড় রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে।
প্রশ্ন ২। নদীভাঙনের একটি মানবসৃষ্ট কারণ লেখ।
উত্তর: নদীভাঙনের মানবসৃষ্ট কারণ হলো- নদী থেকে বালু উত্তোলন।
প্রশ্ন ৩। ভূমিকম্প চলাকালীন একটি করণীয় লেখ।
উত্তর: ভূমিকম্প চলাকালীন একটি করণীয় হলো- পুরাপুরি শান্ত থাকতে হবে।
প্রশ্ন ৪। খরার একটি প্রভাব লেখ।
উত্তর: খরার একটি প্রভাব হলো- পুকুর, নদী, খাল ও বিল শুকিয়ে যায়।
প্রশ্ন ৫। নদীভাঙনের একটি প্রাকৃতিক কারণ লেখ।
উত্তর: নদীভাঙনের একটি প্রাকৃতিক কারণ হলো বন্যা।
প্রশ্ন ৬। ২০০৭ সালে কোন ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানে?
উত্তর: ২০০৭ সালে সিডর ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানে।
প্রশ্ন ৭। বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে কেন?
উত্তর: ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে।
প্রশ্ন ৮। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাচ্ছে কেন?
উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন ৯। খরা প্রতিরোধের জন্য একটি করণীয় লেখ।
উত্তর: খরা প্রতিরোধের জন্য একটি করণীয় হলো বেশি করে। গাছ লাগানো।
প্রশ্ন ১০। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে খরার প্রবণতা বেশি?
উত্তর: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে খরার প্রবণতা বেশি।
প্রশ্ন ১১। বায়ু দূষণের ফলে কী হয়?
উত্তর: বায়ু দূষণের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যায়।
প্রশ্ন ১২। আবহাওয়া কাকে বলে?
উত্তর: কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাতকে আবহাওয়া বলে।
প্রশ্ন ১৩। খরার মানবসৃষ্ট ক্ষতির কারণ কী?
উত্তর: খরার মানবসৃষ্ট ক্ষতির কারণ হলো- গাছ কেটে ফেলা, অধিকহারে ভবন নির্মাণ এবং বায়ু দূষণ।
প্রশ্ন ১৪। নদীভাঙনের মানবসৃষ্ট দুটি কারণ লেখ।
উত্তর: নদীভাঙনের মানবসৃষ্ট দুটি কারণ- ১. নদী থেকে বালি উত্তোলন ও ২. নদী তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেলা।
প্রশ্ন ১৫। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রভাব লেখ।
উত্তর: গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জলবায়ু ও দুর্যোগ পঞ্চম শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর:
২. সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর।
১। দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করে___মন্ত্রণালয়।
২। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে___ঝুঁকি রয়েছে।
৩। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে___হয়েছিল।
৪। গাছ কাটা খরার একটি___কারণ।
৫। কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতকে___বলে।
৬। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গড়___বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৭। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের ___ শতাংশ সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে।
৮। ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড়___৩৩০ জন মানুষ মারা যায়।
৯। বিভিন্ন কারণে বিশ্বের___বদলে যাচ্ছে।
১০। বন্যা নদীভাঙনের একটি অন্যতম___কারণ।
১১। সাধারণত ৩০-৪০ বছরের বেশি সময়ের আবহাওয়ার গড়কে___বলে।
১২। বিভিন্ন কারণে বিশ্বের___বদলে যাচ্ছে।
১৩। মাটির___বেড়ে কৃষিজমির ক্ষতি হচ্ছে।
১৪। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এর দ্বিতীয় ঝুঁকি হিসেবে___ও বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তরমালা: ১। দুর্যোগ ও ত্রাণ; ২। ভূমিকম্পের; ৩। ভূমিকম্প; ৪। মানবসৃষ্ট; ৫। আবহাওয়া; ৬। তাপমাত্রা; ৭। ২০; ৮। আইলায়; ৯। জলবায়ু; ১০। প্রাকৃতিক; ১১। জলবায়ু; ১২। জলবায়ু; ১৩। লবণাক্ততা; ১৪। সুনামি।
৩. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।
প্রশ্ন ১। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর:
বাম পাশ | ডান পাশ |
---|---|
দীর্ঘ সময়ের শুষ্ক আবহাওয়া | আবহাওয়া। |
দীর্ঘ সময়ের অতিবৃষ্টি | জলবায়ু। |
স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও বৃষ্টি | নদীভাঙ্গন। |
নদী থেকে বালি উত্তোলন | খরা। |
দীর্ঘ সময়ের গড় আবহাওয়া | ঘূর্ণিঝড়। |
বন্যা। | |
ভূমিকম্প। |
উত্তরমালা:
(ক) দীর্ঘ সময়ের শুষ্ক আবহাওয়া খরা।
(খ) দীর্ঘ সময় অতিবৃষ্টি বন্যা।
(গ) স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও বৃষ্টি আবহাওয়া।
(ঘ) নদী থেকে বালি উত্তোলন নদীভাঙন।
(ঙ) দীর্ঘ সময়ের গড় আবহাওয়া জলবায়ু।
৪. নিচের কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন ১। শাকিল খবরে দেখল উত্তর-অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের নদী, খাল, বিল শুকিয়ে গেছে। ফসল ফলাতো না পেরে কৃষকরা হাহাকার করছে। শাকিব খরবে কোন দুর্যোগটি দেখল? উক্ত দুর্যোগটি কেন হয়? দুর্যোগটির চারটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর: শাকিল খবরে যে দুর্যোগটি দেখল সেটি হলো খরা। কোনো এলাকার দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের খরার চারটি কারণ-
১. গাছপালা কেটে ফেলার কারণে খরা হয়।
২. বায়ু দূষণের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে খরা হয়।
৩. বেশি বেশি ভবন নির্মাণ ও ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে মাটি ঢেকে যায় এবং মাটির পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে খরা দেখা দেয়।
৪. মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে নদী শুকিয়ে গেলে খরা হয়।
প্রশ্ন ২। নদীভাঙন কী? নদীভাঙন কেন হয়? নদীভাঙনের চারটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কারণে নদীর পাড় ভেঙে যাওয়াকে নদীভাঙন বলে। মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক কারণে নদীভাঙন হয়।
নদীভাঙনের চারটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. কৃষি জমি, ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
২. সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
৩. সহায়-সম্বলহীন হয়ে অনেক মানুষ শহরে এসে মানবেতর জীবনযাপন করে।
৪. অনেক মানুষ আশ্রয়হীন ও গৃহহীন হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ৩। আবহাওয়া কী? প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে কেন? চারটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম লেখ।
উত্তর: কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাতই হলো আবহাওয়া। প্রাকৃতিক অবস্থান এবং জলবায়ুগত কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।
চারটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম হলো-
১. বন্যা,
২. খরা,
৩. ভূমিকম্প ও
৪. নদীভাঙন।
প্রশ্ন ৪। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কী? প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কেন? দুর্যোগ মোকাবিলায় চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর: যদি প্রকৃতির কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মানুষ, অন্যান্য প্রাণী ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তবে তাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে। জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা ব্যাপক হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়ে যায়। দুর্যোগ মোকাবেলায় চারটি করণীয় হলো-
১. দুর্যোগের খবরটি মাইকযোগে প্রচার করে মানুষকে সচেতন করা।
২. প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই আগে থেকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া।
৩. দুর্যোগ চলাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনসহ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা।
৪. ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের ব্যবস্থা করা।
প্রশ্ন ৫। জলবায়ু কী? জলবায়ু বদলে যাচ্ছে কেন? বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি প্রভাব লেখ।
উত্তর: কোনো স্থানে আবহাওয়া পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ধারাই জলবায়ু। বিভিন্ন কারণে জলবায়ু বদলে যাচ্ছে। এর অন্যতম একটি কারণ মানবসৃষ্ট দূষণ। যেমন- শিল্প কারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি প্রভাব হলো-
১. গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২. বারবার ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে।
৩. মাটির লবণাক্ততা বেড়ে কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে।
৪. ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন ৬। অনিবার্য কারণ ছাড়া গাছ কাটা উচিত নয় কেন? গাছ কাটলে পরিবেশের দুটি সম্ভাব্য ক্ষতির নাম লেখ। গাছ সংরক্ষণে তোমার দুটি করণীয় লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয় বলে গাছ কাটা উচিত নয়। গাছ কাটলে পরিবেশের দুটি সম্ভাব্য ক্ষতির নাম হলো-
১. নদীভাঙন ও
২. জলবায়ুর পরিবর্তন।
গাছ সংরক্ষণে করণীয় দুটি করণীয় হলো-
১. বিনা প্রয়োজনে নিজে গাছ কাটব না ও
২. বেশি করে গাছ লাগাব।
প্রশ্ন ৭। নদীভাঙন কী? নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় কেন? নদীভাঙনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কারণে নদীর পাড় ভেঙে যাওয়াকে নদীভাঙন বলে।
মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক কারণে অনেক সময় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
নদীভাঙনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ হলো-
১. নদী থেকে বালি উত্তোলন।
২. নদী-তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেলা।
৩. নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা।
৪. অপরিকল্পিত নদী শাসন।
প্রশ্ন ৮। বন্যা কী? বন্যা কেন হয়? বন্যা প্রতিরোধে চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর: বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা হয়।
বন্যা প্রতিরোধে চারটি করণীয় হলো-
১. নদীর তীরে বন্যা প্রতিরোধ বাঁধ তৈরি করা।
২. বন্যায় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া।
৩. নদী তীরে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করা।
৪. অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না করা।
প্রশ্ন ৯। খরা কী? খরা কেন হয়? খরার চারটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগই খরা। কোনো এলাকায় বৃষ্টিপাতের চেয়ে বাষ্পীভবন ও প্রস্বেদনের পরিমাণ বেশি হলে খরার সৃষ্টি হয়।
খরার চারটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. পুকুর, নদী, খাল ও বিল শুকিয়ে যায়।
২. মাঠে ফসল ফলাতে কষ্ট হয়।
৩. গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
৪. খাবার পানির অভাব দেখা দেয়।