পঞ্চম শ্রেণি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন: বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। আমাদের প্রিয় এ মাতৃভূমির ইতিহাস ও ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দীর্ঘদিন থেকে এদেশে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষ বসবাস করে আসছে। অনেক শাসক রাজত্ব করেছেন। সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ঐতিহাসিক স্থান। দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এসবের নানা নিদর্শন। মহাস্থানগড়, উয়ারী-বটেশ্বর, পাহাড়পুর, ময়নামতি, সোনারগাঁও, লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিল এসব ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম। এসব নিদর্শন আমাদের অতীত সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। আমরা এসব ঐতিহ্যে গৌরববোধ করি। আমরা এসব ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করব এবং সাধ্যমতো সংরক্ষণ করব।
পঞ্চম শ্রেণি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন:
অল্প কথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন ১। দুটি প্রাচীন নিদর্শনের নাম লেখ।
উত্তর: দুটি প্রাচীন নিদর্শনের নাম হলো- ১. মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত প্রাচীন ব্রাহ্মী শিলালিপি। ২. রাজশাহীর পাহাড়পুরে প্রাপ্ত ‘সোমপুর মহাবিহার’।
প্রশ্ন ২। অষ্টম শতকে কোন ধর্ম পালিত হতো?
উত্তর: অষ্টম শতকে বৌদ্ধধর্ম পালিত হতো।
প্রশ্ন ৩। প্রাচীন নিদর্শনগুলো কারা আবিষ্কার করেন?
উত্তর: প্রাচীন নিদর্শনগুলো প্রত্নতাত্ত্বিকরা আবিষ্কার করেন।
প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
প্রশ্ন ১। ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো কোথায় রাখা হয়?
উত্তর: ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো জাতির সম্পদ। এসব সম্পদ যেমন সংরক্ষণ করতে হয়, তেমনি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হয়। এজন্য এসব নিদর্শন সাধারণত জাদুঘরে রাখা হয়। বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘর, সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্প জাদুঘরসহ দেশের বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। যেমন- ময়নামতিতে প্রাপ্ত বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকের নিদর্শন সেখানকার জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রশ্ন ২। ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের কারণসমূহ লেখ।
উত্তর: ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের কারণগুলো হলো-
১. ঐতিহাসিক নিদর্শন অতীত সভ্যতার পরিচয় বহন করে। অতীত সভ্যতা সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শন করা উচিত।
২. যেকোনো জাতির অতীত সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হলে ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের মাধ্যমে জানা সম্ভব। কারণ ঐতিহাসিক নিদর্শন অতীত সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
৩. কোন জাতি কতটা সমৃদ্ধ ছিল, তা ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের মাধ্যমে জানা সম্ভব।
প্রশ্ন ৩। ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত কেন?
উত্তর: বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং এগুলো সংরক্ষণ প্রয়োজন। কারণ-
১. এসব নিদর্শন আমাদের অতীত সভ্যতার পরিচয় বহন করে।
২. এসব নিদর্শন আমাদের অতীত সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
৩. এসব নিদর্শন আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
৪. এসব নিদর্শন আমাদেরকে আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:
১. সংক্ষেপে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন ১। লোকশিল্প জাদুঘর কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
প্রশ্ন ২। পানাম নগর কী জন্য বিখ্যাত ছিল?
উত্তর: পানাম নগর সুতা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত ছিল।
প্রশ্ন ৩। খোদাই পাথরের দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: খোদাই পাথরের দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো- ১. খোদাই পাথর ৩.৩৫ মিটার লম্বা, ২. পাথরে খোদাই করা বুদ্ধের দন্ডায়মান চিত্র।
প্রশ্ন ৪। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শনগুলো থেকে আমরা কী জানতে পারি?
উত্তর: বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শনগুলো থেকে আমরা অতীতের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারি।
প্রশ্ন ৫। উয়ারী ও বটেশ্বর গ্রাম দুইটি কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: উয়ারী ও বটেশ্বর গ্রাম দুইটি নরসিংদী জেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন ৬। দুইটি প্রাচীন নিদর্শনের নাম লেখ।
উত্তর: দুইটি প্রাচীন নিদর্শন হলো- ক. প্রাচীন ব্রাহ্মী শিলালিপি; খ. বেজির সঙ্গে যুদ্ধরত গোখরা সাপ।
প্রশ্ন ৭। মহাস্থানগড় কত বছরের সাক্ষ্য বহন করে?
উত্তর: মহাস্থানগড় পনেরো শত বছরের সাক্ষ্য বহন করে।
প্রশ্ন ৮। মৌর্য আমলে মহাস্থানগড় কী নামে পরিচিত ছিল?
উত্তর: মৌর্য আমলে মহাস্থানগড় পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।
প্রশ্ন ৯। মহাস্থানগড় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মহাস্থানগড় বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।
প্রশ্ন ১০। মহাস্থানগড়ে কোন শিলালিপি পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর: প্রাচীন ব্রাহ্মী শিলালিপি।
প্রশ্ন ১১। মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তর: মহাস্থানগড় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।
প্রশ্ন ১২। মহাস্থানগড়ের নিদর্শন খোদাই পাথর কত মিটার লম্বা ছিল?
উত্তর: মহাস্থানগড়ের নিদর্শন খোদাই পাথর ৩.৩৫ মিটার লম্বা ছিল।
প্রশ্ন ১৩। উয়ারী ও বটেশ্বর কোন জেলার পাশাপাশি দুটি গ্রাম?
উত্তর: উয়ারী ও বটেশ্বর নরসিংদী জেলার পাশাপাশি দুটি গ্রাম।
প্রশ্ন ১৪। সোমপুর মহাবিহারের চারপাশে কতটি কুঠুরি আছে?
উত্তর: সোমপুর মহাবিহারের চারপাশে ১৭৭টি কুঠুরি আছে।
প্রশ্ন ১৫। লালবাগ কেল্লা কিসের তৈরি?
উত্তর: লালবাগ কেল্লা সম্পূর্ণ ইটের তৈরি।
প্রশ্ন ১৬। লালবাগ কেল্লা বর্তমানে কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: লালবাগ কেল্লা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন ১৭। লালবাগের দুর্গে কার মাজার আছে?
উত্তর: লালবাগের দুর্গে শায়েস্তা খানের কন্যা পরীবিবির মাজার আছে।
প্রশ্ন ১৮। সোনারগাঁ বিখ্যাত কেন?
উত্তর: লোকশিল্প জাদুঘরের জন্য।
পঞ্চম শ্রেণি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন:
২. সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর।
১। মহাস্থানগড়___নদীর তীরে অবস্থিত।
২। মহাস্থানগড়ের প্রাচীন নাম___।
৩। ময়নামতি___সভ্যতার কেন্দ্র ছিল।
৪। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের চারপাশে___ টি ভিক্ষুকক্ষ আছে।
৫। লালবাগ কেল্লায় একটি ___গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ আছে।
৬। পাহাড়পুর___বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
৭। আহসান মঞ্জিল বাংলার___রাজপ্রাসাদ ছিল।
৮। লোকশিল্প ___ বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
৯। লালবাগ দুর্গটি সম্পূর্ণ___তৈরি।
১০। মহাস্থানগড়___ আমলে ‘পুণ্ড্রনগর’ নামে পরিচিত ছিল।
১১। মহাস্থানগড়ে পাওয়া গেছে___।
১২। উয়ারী-বটেশ্বর হলো___।
১৩। উয়ারী-বটেশ্বরে ___আমলের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
১৪। পাহাড়পুর___ রাজাদের শাসনামলে নির্মিত হয়।
১৫। পাহাড়পুর___অবস্থিত।
১৬। ‘সোমপুর মহাবিহার’ ___ অবস্থিত।
১৭। ___রাজার শাসন আমলে ‘সোমপুর মহাবিহার’ নির্মিত হয়।
১৮। ___শহরের কাছে ময়নামতি অবস্থিত।
১৯। ময়নামতিতে___ফলক রয়েছে।
২০। প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী ছিল___।
২১। সোনারগাঁও ও লালবাগ কেল্লা___ শতকের ইতিহাসের নিদর্শন।
২২। ___সালে বাংলাদেশ সরকার আহসান মঞ্জিলের দায়িত্ব নেয়।
২৩। ___সালের ঘূর্ণিঝড়ে আহসান মঞ্জিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উত্তরমালা: ১। করতোয়া; ২। পুণ্ড্রনগর; ৩। বৌদ্ধ: ৪। ১৭৭; ৫। তিন; ৬। রাজশাহী; ৭। নবাবদের; ৮। জাদুঘরটি; ৯। ইটের; ১০। মৌর্য; ১১। প্রাচীন ব্রাহ্মী শিলালিপি; ১২। নরসিংদী জেলার দুইটি গ্রাম; ১৩। মৌর্য; ১৪। পাল; ১৫। নওগাঁ জেলায়; ১৬। পাহাড়পুরে; ১৭। ধর্মপাল; ১৮। কুমিল্লা; ১৯। জীবজন্তু অঙ্কিত; ২০। সোনারগাঁয়ে; ২১। সতেরো; ২২। ১৯৮৫; ২৩। ১৯৮৮।
৩. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।
প্রশ্ন ১। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর:
বাম পাশ | ডান পাশ |
---|---|
(ক) মহাস্থানগড় অবস্থিত | কুমিল্লা জেলায়। |
(খ) ময়নামতি অবস্থিত | নারায়ণগঞ্জ জেলায়। |
(গ) পাহাড়পুর অবস্থিত | রাজশাহী জেলায়। |
(ঘ) সোনারগাঁ অবস্থিত | বগুড়া জেলায়। |
(ঙ) উয়ারী-বটেশ্বর অবস্থিত | নরসিংদী জেলায়। |
ঢাকা জেলায়। | |
নওগাঁ জেলায়। |
উত্তরমালা:
(ক) মহাস্থানগড় অবস্থিত বগুড়া জেলায়।
(খ) ময়নামতি অবস্থিত কুমিল্লা জেলায়।
(গ) পাহাড়পুর অবস্থিত নওগাঁ জেলায়।
(ঘ) সোনারগাঁও অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলায়।
(ঙ) উয়ারী-বটেশ্বর অবস্থিত নরসিংদী জেলায়।
প্রশ্ন ২। বামপাশের বাক্যাংশের সাথে ডানপাশের বাক্যাংশ মিল কর:
বাম পাশ | ডান পাশ |
---|---|
(ক) ৭৮১-৮২১ খ্রিস্টাব্দে পাল রাজা | নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। |
(খ) পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের | ধর্মপালের শাসনামলে পাহাড়পুর নির্মিত হয়। |
(গ) ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে যা | ১৭৭টি ভিক্ষু কক্ষ আছে। |
(ঘ) সোমপুর বৌদ্ধ বিহারের চারপাশে | আগুয়ান হাতি আছে। |
(ঙ) পাহাড়পুরে পাওয়া গেছে | লালবাগকেল্লা নির্মিত হয়। |
জীবজন্তুর মূর্তি ও টেরাকোটা। | |
সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত। |
উত্তরমালা:
(ক) ৭৮১-৮২১ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে পাহাড়পুর নির্মিত হয়।
(খ) পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
(গ) ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে যা সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত।
(ঘ) সোমপুর বৌদ্ধ বিহারের চারপাশে ১৭৭টি ভিক্ষুকক্ষ আছে।
(ঙ) পাহাড়পুরে পাওয়া গেছে জীবজন্তুর মূর্তি ও টেরাকোটা।
৪. নিচের কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন ১। লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ কে শুরু করেছিলেন? বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কেন? লালবাগ দুর্গের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আযম শাহ শুরু করেছিলেন। এ স্থানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সকলের নিকট পরিচিত করার জন্য এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। লালবাগ কেল্লার চারটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. লালবাগ কেল্লা সম্পূর্ণ ইটের তৈরি।
২. দুর্গের দক্ষিণে একটি গোপন প্রবেশ পথ আছে।
৩. এখানে একটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ আছে।
৪. দুর্গের মাঝখানে খোলা জায়গায় মোঘল শাসকগণ তাঁবু টানিয়ে বসবাস করতেন।
প্রশ্ন ২। উয়ারী-বটেশ্বরে কোন আমলের নিদর্শন পাওয়া গেছে? এ স্থানটি বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত ছিল কেন? এ স্থানের চারটি নিদর্শনের নাম লেখ।
উত্তর: উয়ারী-বটেশ্বরে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দের মৌর্য আমলের পূর্বের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এ স্থানটি জলপথে যাতায়াতের সুবিধা ছিল বিধায় বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত ছিল। এ স্থানের চারটি নিদর্শন হলো-
১. প্রাচীন রাস্তাঘাট।
২. রৌপ্য মুদ্রা।
৩. হাতিয়ার।
৪. পাথরের পুঁতি।
প্রশ্ন ৩। সোমপুর মহাবিহার কোন বিভাগে অবস্থিত? এটিকে কেন মহাবিহার বলা হয়? সোমপুর মহাবিহার সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: সোমপুর মহাবিহারটি রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।
এটি আয়তনে অত্যন্ত বৃহৎ ছিল এবং বহুসংখ্যক শিক্ষার্থী এখানে একত্রে পড়াশোনার সুযোগ পেত বলে একে মহাবিহার বলা হয়।
সোমপুর মহাবিহার সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. ৭৮১-৮২১ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে সোমপুর মহাবিহারটি নির্মিত হয়।
২. সোমপুর মহাবিহারে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে।
৩. মহাবিহারটিতে ১৭৭টি ভিক্ষু কক্ষ আছে।
৪. এখানে মন্দির, রান্নাঘর, খাবারঘর এবং পাকা নর্দমা আছে।
প্রশ্ন ৪। পাহাড়পুর কোন জেলায় অবস্থিত? এটি নির্মাণ করা হয়েছিল কেন? পাহাড়পুর সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: পাহাড়পুর নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। এটি বৌদ্ধ ধর্মভিত্তিক জ্ঞান চর্চার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল।
পাহাড়পুর সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. এটি ‘সোমপুর মহাবিহার’ নামে পরিচিত।
২. এখানে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে।
৩. এটি একটি বৌদ্ধ বিহার।
৪. এখানে ১৭৭টি ভিক্ষুকক্ষ আছে।
প্রশ্ন ৫। মৌর্য আমলে মহাস্থানগড় কী নামে নামে পরিচিত ছিল? এটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত চারটি নিদর্শনের নাম লেখ।
উত্তর: মৌর্য আমলে মহাস্থানগড় পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।
খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে পরবর্তী পনেরো শত বছরের বেশি সময়কালের বাংলার ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে বলে এ নিদর্শন গুরুত্বপূর্ণ।
মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত চারটি নিদর্শন হলো-
১. চওড়া খাদবিশিষ্ট প্রাচীন দুর্গ।
২. প্রাচীন ব্রাহ্মী শিলালিপি।
৩. মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ভগ্নাবশেষ।
৪. ৩.৩৫ মিটার লম্বা খোদাই পাথর।
প্রশ্ন ৬। ময়নামতি কোন জেলায় অবস্থিত? এই জায়গাটির নাম ময়নামতি হয়েছে কেন? ময়নামতি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: ময়নামতি কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত। অষ্টম শতকের রাজা মাণিক চন্দ্রের স্ত্রীর নামানুসারে এই জায়গার নাম ময়নামতি রাখা হয়। ময়নামতি সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. এটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল।
২. এখানে হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
৩. এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
৪. এখানকার জাদুঘরে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকের নিদর্শনও আছে।
প্রশ্ন ৭। ময়নামতি কে ছিলেন? ময়নামতিকে বৌদ্ধ সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয় কেন? ময়নামতির চারটি নিদর্শনের নাম লেখ।
উত্তর: অষ্টম শতকের রাজা মানিক চন্দ্রের স্ত্রী ছিলেন ময়নামতি। ময়নামতিতে বৌদ্ধ সভ্যতার অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে বলে একে বৌদ্ধ সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয়। ময়নামতির চারটি নিদর্শনের নাম হলো-
১. হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন।
২. শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিদর্শন।
৩. জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির ফলক।
৪. বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকের নিদর্শন।
প্রশ্ন ৮। সোনারগাঁও কোন নদীর তীরে অবস্থিত? এটি নদীর ধারে গড়ে ওঠার কারণ কী? সোনারগাঁও সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: সোনারগাঁও মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। নদীপথে যাতায়াত সুবিধাজনক হওয়ার জন্য এটি নদীর ধারে গড়ে উঠেছে। সোনারগাঁ সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. সোনারগাঁও সতেরো শতকের ঐতিহাসিক নিদর্শন।
২. প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী ছিল।
৩. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ১৯৭৫ সালে এখানে একটি লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।
৪. সুতা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে এখানে পানাম নগর গড়ে ওঠে।