পাখির জগৎ চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা: বাংলাদেশ চিরসবুজের দেশ। নদীর দেশও এ বাংলাদেশ। এ দেশে নানা রকম পশু-পাখি রয়েছে। এমন অনেক পাখি রয়েছে যেগুলো আমাদের ঘরের কোণে বাস করে। এগুলো পোকামাকড় খেয়ে আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে। কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে। ভোর না হতেই তারা কিচিরমিচির শব্দে নতুন একটি দিনের সংবাদ দেয়। আমাদের ঘুম ভাঙিয়ে কাজে যাওয়ার উদ্দীপনা জোগায়। এমনই অনেক পাখির কথা, সেগুলোর চালচলন, খাবার-দাবার, গায়ের রং ইত্যাদি এ গদ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পাখির জগৎ চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা:
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
বিচরণ, চমৎকার, পরিবেশ, ঝুঁটি, নাশ, দূত, লোকালয়, সখ্য;
উত্তর:
বিচরণ – বেড়ানো বা ঘোরাফেরা করা।
চমৎকার – সুন্দর, মনোহর।
পরিবেশ – চারপাশের অবস্থা।
ঝুঁটি – শীর্ষস্থান, খোঁপা।
নাশ – ধ্বংস, নষ্ট, ক্ষয়।
দূত – বার্তাবাহক। পাখিগুলো ভোরের দূত।
লোকালয় – যেখানে লোকজনের বসবাস আছে। লোকালয় থেকে বন দেখা যায়।
সখ্য – বন্ধুতা, ভাব। হরিণের সাথে বানরের সখ্য আছে।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
উপকারী, লোকালয়ে, পরিবেশ, কীটপতঙ্গ;
ক. নানা ফুলের মধু ও___পাখিদের প্রিয় খাবার।
খ. চড়ুই পাখি___থাকতেই বেশি পছন্দ করে।
গ. আমাদের___রক্ষার প্রতি সচেতন হওয়া উচিত।
ঘ. পাখিরা মানুষের বন্ধু, এরা অনেক___।
উত্তর:
ক. নানা ফুলের মধু ও কীটপতঙ্গ পাখিদের প্রিয় খাবার।
খ. চড়ুই পাখি লোকালয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করে।
গ. আমাদের পরিবেশ রক্ষার প্রতি সচেতন হওয়া উচিত।
ঘ. পাখিরা মানুষের বন্ধু, এরা অনেক উপকারী।
৩. যুক্তবর্ণগুলো দেখি ও যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো পড়ি ও লিখি।
উত্তর: পাঠ্যবইয়ে সমাধান করা আছে।
৪. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই।
ক. চড়ুই পাখির প্রিয় জায়গা-
১. বন
২. লোকালয় √
৩. স্কুলঘর
৪. আস্তাবল
খ. পানকৌড়ি খেতে ভালোবাসে –
১. মাছ
৩. কীটপতঙ্গ √
২. মাংস
৪. গাছের পাতা
গ. পাখিরা পরিবেশকে –
১. নষ্ট করে
২. দূষণ করে
৩. সবুজ রাখে
৪. সুন্দর রাখে √
৫. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক. পাখিদের ভোরের দূত বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: চিরসবুজের এই বাংলাদেশে পাখপাখালিতে ভরপুর। বিভিন্নভাবে এসব পাখি আমাদের উপকার করে। বিশেষ করে ভোর না হতেই কিচিরমিচির শব্দ করে আমাদেরকে নতুন একটি দিনের সংবাদ দিয়ে থাকে। তাই পাখিদের ভোরের দূত বলা হয়েছে।
খ. জাতীয় পাখি দোয়েলের খাদ্য কী?
উত্তর: নানা ফুলের মধু ও কীটপতঙ্গ দোয়েলের প্রধান খাদ্য।
গ. কোন পাখি আমাদের ঘরেরই কেউ? কেন?
উত্তর: চড়ুই পাখি আমাদের বাসাবাড়ির ঘুলঘুলিতে, ঘরের কোণে খড়, টুকরো কাপড়, শুকনো ঘাস ইত্যাদি দিয়ে বাসা তৈরি করে। লোকালয়ই এদের প্রিয় জায়গা। তাই আমরা মনে করি, চড়ুই আমাদের ঘরেরই কেউ।
ঘ. কোন পাখি পরিবেশ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে? কীভাবে?
উত্তর: টুনটুনি পাখি মানুষের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। তাছাড়া এদের প্রিয় খাবার ফুলের মধু ও পোকামাকড়। পোকামাকড় খেয়ে এরা আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
ঙ. বুলুবুলি পাখি দেখতে কেমন?
উত্তর: নানা রকম পাখপাখালিতে ভরা আমাদের এ বাংলাদেশ। পরিচিত পাখিগুলোর মধ্যে বুলবুলি দেখতে বেশ সুন্দর। এদের মাথা ও গলা কালো। মাথার উপর রাজকীয় কালো ঝুঁটি। এদের তলপেট সাদা, তলপেটের শেষে লাল ছোপ রয়েছে।
৬. বাক্য রচনা করি।
জগৎ, পরিবেশ, দূত, ক্লাস, শস্যদানা, স্বভাব।
উত্তর:
জগৎ – পাখি এ জগৎ সুন্দর করে তোলে।
পরিবেশ – পরিবেশ মানুষকে প্রভাবিত করে।
দূত – পাখিদের ভোরের দূত বলা হয়।
ক্লাস – শিক্ষক ক্লাসে এলে তাঁকে দাঁড়িয়ে সম্মান করা উচিত।
শস্যদানা – অনেক পাখি শস্যদানা খেতে ভালোবাসে।
স্বভাব – যার স্বভাব ভালো তাকে সবাই পছন্দ করে।
৭. বাম পাশের বৈশিষ্ট্যের সাথে ডান পাশের পাখির ছবি মিলাই।
উত্তর: Try yourself.
৮. ব্যবহার শিখি।
টি, টা, খানা, খানি, এটি, ওটি, এগুলো, ওগুলো;
টি -পাখিটি দেখতে কী সুন্দর!
টা -শেলফের বইটা কার?
খানা – বইখানা দাও।
খানি – মুখখানি তার ভারি মিষ্টি।
এটি – এটি আমার বই।
ওটি – ওটি কার বই?
এগুলো – এগুলো পাখির ছবি।
ওগুলো – ওগুলো ধরো না।
৯. কর্ম অনুশীলন ।
আমার দেখা যেকোনো একটি পাখির কথা বর্ণনা করি।
উত্তর: আমি একদিন বাগানে একটি ছোট্ট সুন্দর পাখি দেখেছিলাম। এটি ছিল টুনটুনি পাখি। পাখিটি খুব চঞ্চল ছিল এবং ডাল থেকে ডালে লাফিয়ে বেড়াচ্ছিল। এর ছোট্ট শরীর, পাতলা লেজ, আর নরম পালক ছিল। এটি সবুজ-হলুদ রঙের ছিল, যা দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। টুনটুনি পাখি নিজের ঠোঁট দিয়ে সুন্দর বাসা বানায়। এটি খুব মিষ্টি স্বরে ডাকছিল। আমি পাখিটিকে দেখে খুব খুশি হয়েছি। টুনটুনি পাখি প্রকৃতির এক সুন্দর উপহার।
Codehorse Learn Free