পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর: পরিবেশের উপাদানগুলোর মধ্যে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা এরা হলো জীব। এসব জীব বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের জড় উপাদানগুলোর উপর নির্ভরশীল। জড় পদার্থগুলোর মধ্যে বায়ু, পানি, মাটি ছাড়া জীব বেঁচে থাকতে পারে না। প্রাণী খাদ্য, অক্সিজেন, আবাসস্থল ইত্যাদির প্রয়োজনে উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন, বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। আবার, বেঁচে থাকার জন্য জীবের শক্তি প্রয়োজন। উদ্ভিদ সূর্য থেকে শক্তি পায়। এ শক্তি উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে প্রবাহিত হয়। উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হলো খাদ্য শৃঙ্খল। একাধিক খাদ্য শৃঙ্খল মিলে তৈরি হয় খাদ্য জাল।
পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:
১. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দিই।
১) শক্তির মূল উৎস কোনটি?
ক. উদ্ভিদ
খ. সূর্য✔
গ. চাঁদ
ঘ. প্রাণী
২) কোনটির জন্য প্রাণী উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল?
ক. আলো
খ. পানি
গ. খাদ্য✔
ঘ. বাতাস
৩) নিচের কোনটি সঠিক খাদ্য শৃঙ্খল?
ক. ঘাস ফড়িং→ ঘাস→ সাপ→ ব্যাঙ
খ. ব্যাঙ →ঘাস ফড়িং →ঘাস →সাপ
গ. সাপ →ঘাস ফড়িং→ ঘাস →ব্যাঙ
ঘ. ঘাস →ঘাস ফড়িং→ ব্যাঙ →সাপ✔
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। খাদ্য জাল ও খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: খাদ্য জাল ও খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-খাদ্য জাল হলো কোনো বাস্তুসংস্থানের একাধিক খাদ্য শৃঙ্খলের একত্রিত রূপ। অন্যদিকে খাদ্য শৃঙ্খল হলো বাস্তুসংস্থানে উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
প্রশ্ন ২। উদ্ভিদ কীভাবে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?
উত্তর: উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণের প্রয়োজনে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ৩। মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড় বস্তুর উদাহরণ দাও।
উত্তর: মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড় বস্তুর উদাহরণ হলো- ১. বায়ু, ২. পানি এবং ৩. মাটি।
প্রশ্ন ৪। পরাগায়ন কী?
উত্তর: পরাগায়ন হলো উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টির লক্ষ্যে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে পরাগরেণুর স্থানান্তর প্রক্রিয়া।
৩. বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। খাদ্য শৃঙ্খলে কীভাবে সাপ এবং ঈগল একই রকম তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: খাদ্য শৃঙ্খলে সাপ এবং ঈগল উভয়ই উপরের স্তরের খাদক। সাপ খাদ্য হিসেবে এর নিচের স্তরের প্রাণী ব্যাঙ, ইঁদুর, ঘাসফড়িং ইত্যাদি খায়। একইভাবে ঈগলও এর নিচের স্তরের প্রাণী সাপ, ইঁদুর, ব্যাঙ, ঘাসফড়িং ইত্যাদি খায়। সাপ ও ঈগল উভয়ই মাংসাশী। এরা কেউ উৎপাদককে খায় না। অর্থাৎ খাদ্য শৃঙ্খলে খাদ্য এবং খাদকের সম্পর্কের দিক থেকে সাপ ও ঈগল একই রকম।
প্রশ্ন ২। নিচের শব্দগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্য শৃঙ্খলের সঠিক ক্রম ব্যাখ্যা কর।
ঈগল, সূর্য, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ
উত্তর: ঈগল, সূর্য, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ- এ শব্দগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্য শৃঙ্খলের সঠিক ক্রম হলো-সূর্য→ ঘাস→পোকামাকড়→ব্যাঙ→সাপ → ঈগল
ব্যাখ্যা: আমরা জানি, সূর্যই সকল শক্তির উৎস। ঘাস সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে। পোকামাকড় এ ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকে। আবার ব্যাঙ পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। একইভাবে সাপ ব্যাঙ খায় এবং ঈগল সাপকে খায়। এভাবেই এ খাদ্য শৃঙ্খলে শক্তি প্রবাহিত হয়।
প্রশ্ন ৩। জীব কীভাবে বায়ুর উপর নির্ভরশীল তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বেঁচে থাকার জন্য জীব বিভিন্নভাবে বায়ুর উপর নির্ভরশীল। যেমন-
১. জীবের বেঁচে থাকার জন্য বায়ু অপরিহার্য একটি উপাদান।
২. মানুষসহ সকল প্রাণী শ্বাসকার্যের জন্য বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।
৩. উদ্ভিদ বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে খাদ্য তৈরি করে বেঁচে থাকে।
এভাবেই জীব বেঁচে থাকার জন্য বায়ুর উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ৪। উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মাতৃউদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াই হলো বীজের বিস্তরণ। নিম্নলিখিত কারণে উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ গুরুত্বপূর্ণ-
১. নতুন নতুন উদ্ভিদের আবাস গড়ে তুলতে;
২. উদ্ভিদের পুষ্টি প্রবাহ অব্যাহত রাখতে;
৩. মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর খাদ্যের প্রয়োজনে;
৪. পশুপাখির আশ্রয়স্থলের জন্য;
৫: জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষার জন্য।
প্রশ্ন ৫। তোমার ঘরের ভিতরে রাখা গাছটি মারা যাচ্ছে। তোমার বন্ধুরা গাছটিকে জানালার পাশে নিয়ে রাখার পরামর্শ দিল। কেন?
উত্তর: গাছের খাদ্য তৈরির জন্য আলো অপরিহার্য। আলো না পেলে গাছ খাদ্য তৈরি করতে পারবে না। ফলে খাদ্যের অভাবে গাছ মারা যাবে। আমার ঘরের ভিতরে রাখা গাছটিও আলোর অভাবে খাদ্য তৈরি করতে না পেরে মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় গাছটিকে জানালার পাশে রাখলে তা সূর্যের আলো পাবে। এ আলো ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে গাছটি আবার সতেজ হয়ে উঠবে। এ কারণেই আমার বন্ধুরা গাছটিকে জানালার পাশে রাখার পরামর্শ দিল।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:
১. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১। তোমার চারপাশে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান বিদ্যমান। এগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়?
উত্তর: আমার চারপাশের পরিবেশের উপাদানগুলোকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-১. জীব ও ২. জড়।
প্রশ্ন ২। মানুষের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি জিনিসের নাম লেখ।
উত্তর: মানুষের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি জিনিস হলো- ১. বাসস্থান ও ২. আসবাবপত্র।
প্রশ্ন ৩। উদ্ভিদের জীবনধারাকে প্রভাবিত করে এমন ২টি উপাদানের নাম লেখ।
উত্তর: উদ্ভিদের জীবনধারাকে প্রভাবিত করে এমন ২টি উপাদান হলো- ১. আলো ও ২. পানি।
প্রশ্ন ৪। মাটিতে বাস করে এমন দুটি জীবের নাম লেখ।
উত্তর: মাটিতে বাস করে এমন দুটি জীবের নাম হলো- ১. কেঁচো ও ২. ইঁদুর।
প্রশ্ন ৫। এমন দুটি উদ্ভিদের নাম লেখ যাদের আবাসস্থল পানি।
উত্তর: আবাসস্থল পানি এমন দুটি উদ্ভিদের নাম হলো- ১. শাপলা ও ২. কচুরিপানা।
প্রশ্ন ৬। আবাসস্থল গাছ- এরকম দুটি প্রাণীর নাম লেখ।
উত্তর: আবাসস্থল গাছ এরকম দুটি প্রাণীর নাম হলো- ১. বানর ও ২. কাঠবিড়ালি।
প্রশ্ন ৭। উদ্ভিদের দুটি অংশের নাম লেখ যা প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
উত্তর: উদ্ভিদের দুটি অংশ যা প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তার নাম হলো- কাণ্ড ও শাখা।
প্রশ্ন ৮। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করে এমন দুটি উপাদানের নাম লেখ।
উত্তর: উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করে এমন দুটি উপাদানের নাম হলো- ১. সূর্যের আলো ও ২. পানি।
প্রশ্ন ৯। পরাগায়নে সাহায্য করে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখ।
উত্তর: পরাগায়নে সাহায্য করে এমন দুটি প্রাণীর নাম হলো- ১. পাখি ও ২. মৌমাছি।
প্রশ্ন ১০। উদ্ভিদের ওপর প্রাণীর নির্ভরশীলতার দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: উদ্ভিদের ওপর প্রাণীর নির্ভরশীলতার দুটি উদাহরণ হলো-
১. উদ্ভিদের ত্যাগ করা অক্সিজেন প্রাণী শ্বাসগ্রহণের সময় গ্রহণ করে।
২. পাখি গাছের ডালে বাসা বেঁধে বাস করে।
প্রশ্ন ১১। উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য যে যে উপাদান প্রয়োজন সেগুলোর দুটির নাম লেখ।
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দুটি উপাদান হলো- ১. কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ২. অক্সিজেন।
প্রশ্ন ১২। আমরা উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। এভাবে উদ্ভিদের বেড়ে ওঠা প্রাণীর উপর নির্ভরশীল কেন?
উত্তর: উদ্ভিদ বেড়ে ওঠার জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল কারণ প্রাণীর ত্যাগ করা কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে।
প্রশ্ন ১৩। প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে উদ্ভিদের এমন দুটি অংশের নাম লেখ।
উত্তর: প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে উদ্ভিদের এমন দুটি অংশ হলো-১. কান্ড ও ২. ফলমূল।
প্রশ্ন ১৪। পরিবেশের উপর জীবের নির্ভরশীলতার-দুটি উদাহরণ লেখ।
উত্তর: পরিবেশের উপর জীবের নির্ভরশীলতার দুটি উদাহরণ হলো-
১. জীব তার খাদ্যের জন্য পরিবেশের উপর নির্ভরশীল।
২. জীব তার বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ১৫। বীজের বিস্তরণ কাকে বলে?
উত্তর: মাতৃউদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াকে বীজের বিস্তরণ বলে।
প্রশ্ন ১৬। বীজের বিস্তরণের একটি সুবিধা লেখ।
উত্তর: বীজের বিস্তরণের একটি সুবিধা হলো- বীজের বিস্তরণ নতুন নতুন উদ্ভিদ আবাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ১৭। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির সময় কোন উপাদান বায়ুতে ছাড়ে?
উত্তর: উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির সময় অক্সিজেন বায়ুতে ছাড়ে।
প্রশ্ন ১৮। পরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের কী সৃষ্টি হয়?
উত্তর: পরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ১৯। কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে উদ্ভিদ কী তৈরি করে?
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে।
প্রশ্ন ২০। জীবের জন্য বায়ু গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার দুটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর: জীবের জন্য বায়ু গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার দুটি কারণ হলো-
১. জীব বায়ু ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না।
২. শ্বাসগ্রহণের জন্য প্রাণী বায়ুর ওপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ২১। প্রাণী ও উদ্ভিদ কী ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না?
উত্তর: প্রাণী ও উদ্ভিদ খাদ্য, অক্সিজেন ও পানি ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না।
প্রশ্ন ২২। বাস্তুসংস্থান কী?
উত্তর: কোনো স্থানের সকল জীব ও জড় এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক ক্রিয়াই হলো ঐ স্থানের বাস্তুসংস্থান।
প্রশ্ন ২৩। শক্তির প্রধান উৎস কী?
উত্তর: শক্তির প্রধান উৎস হলো সূর্য।
প্রশ্ন ২৪। প্রাণীর মৃতদেহ কীসে পরিণত হয়?
উত্তর: প্রাণীর মৃতদেহ প্রাকৃতিক সারে পরিণত হয়।
প্রশ্ন ২৫। প্রাকৃতিক সার উদ্ভিদ কী হিসেবে গ্রহণ করে?
উত্তর: প্রাকৃতিক সার উদ্ভিদ পুষ্টি হিসেবে গ্রহণ করে।
প্রশ্ন ২৬। খাদ্যজাল কী?
উত্তর: অনেকগুলো খাদ্যশৃঙ্খল মিলে খাদ্যজাল সৃষ্টি হয়। পরিবেশে এটাই খাদ্যজাল নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ২৭। খাদ্য জাল কীভাবে তৈরি হয়।
উত্তর: একাধিক খাদ্য শৃঙ্খল একত্রিত হয়ে খাদ্য জাল তৈরি করে।
পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:
২. শূন্যস্থান পূরণ কর ।
প্রশ্ন ১। পাখি, মৌমাছি ইত্যাদি উদ্ভিদের___ সাহায্য করে।
প্রশ্ন ২। মানুষের শ্বাস গ্রহণের জন্য ___প্রয়োজন।
প্রশ্ন ৩। উদ্ভিদ তার বীজের বিস্তরণের জন্য ___উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ৪। পরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের ___সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ৫। জীবের বেঁচে থাকার জন্য ___প্রয়োজন।
প্রশ্ন ৬। উদ্ভিদ ___প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে।
প্রশ্ন ৭। মাতৃ উদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াই হলো___।
প্রশ্ন ৮। মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালা হলো___।
প্রশ্ন ৯। ___সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে।
প্রশ্ন ১০। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ ___উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ১১। উদ্ভিদ তার নিজের___নিজেই তৈরি করতে পারে।
প্রশ্ন ১২। উদ্ভিদের ত্যাগ করা ___ব্যবহার করে। প্রাণী শ্বাস গ্রহণের সময়
প্রশ্ন ১৩। প্রাণী নিজের___ নিজে তৈরি করতে পারে না।
প্রশ্ন ১৪। কীটপতঙ্গ ও পাখি উদ্ভিদকে___ সাহায্য করে।
প্রশ্ন ১৫। পুষ্টি উপাদানের জন্য উদ্ভিদ___ উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ১৬। পরিবেশে উদ্ভিদ ও প্রাণী একে অপরের উপর___।
প্রশ্ন ১৭। উদ্ভিদ ___উপর নির্ভরশীল।
উত্তরমালা: ১। পরাগায়নে; ২। বায়ু; ৩। প্রাণীর; ৪। বীজ ৫। শক্তি; ৬। সালোকসংশ্লেষণ; ৭। বীজের বিস্তরণ; ৮। জীব ৯। উদ্ভিদ; ১০। জড়ের; ১১। খাদ্য; ১২। অক্সিজেন; ১৩। খাদ্য, ১৪। পরাগায়নে; ১৫। প্রাণীর; ১৬। নির্ভরশীল; ১৭। জড় বস্তুর।
পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:
৩. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।
প্রশ্ন ১। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:
বাম পাশ | ডান পাশ |
---|---|
(ক) উদ্ভিদ ও প্রাণী | (১) খাদ্য জাল তৈরি করে |
(খ) খাদ্য শৃঙ্খল শুরু হয় | (২) উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয় |
(গ) ঘাস → ঘাসফড়িং → | (৩) সাপ → ব্যাঙ |
(ঘ) পরাগায়নের ফলে | (৪) একে অপরের ওপর নির্ভরশীল |
(ঙ) একাধিক খাদ্য শৃঙ্খল এককত্রিত হয়ে | (৫) ব্যাঙ → সাপ |
(৬) সবুজ উদ্ভিদ থেকে | |
(৭) খাদ্য শৃঙ্খল তৈরি করে |
উত্তরমালা:
(ক) উদ্ভিদ ও প্রাণী একে অপরের উপর নির্ভরশীল।
(খ) খাদ্য শৃঙ্খল শুরু হয় সবুজ উদ্ভিদ থেকে।
(গ) ঘাস ঘাসফড়িং ব্যাঙ সাপ।
(ঘ) পরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়।
(ঙ) একাধিক খাদ্য শৃঙ্খল একত্রিত হয়ে খাদ্য জাল তৈরি করে।
প্রশ্ন ২। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:
বাম পাশ | ডান পাশ |
---|---|
(ক) বেঁচে থাকার জন্য মানুষ | (১) ঐ স্থানের বাস্তুসংস্থান |
(খ) কোনো স্থানের জীব ও জড়ের মধ্যকার পারস্পরিক ক্রিয়াই হলো | (২) রাসায়নিক সারে পরিণত হয় |
(গ) প্রাণীর মৃতদেহ পচে | (৩) খাদ্য থেকে |
(ঘ) বেঁচে থাকার জন্য | (৪) জড়ের ওপর নির্ভরশীল |
(ঙ) প্রাণী শক্তি পায় | (৫) প্রাকৃতিক সারে পরিণত হয় |
(৬) এ স্থানের খাদ্য শৃঙ্খল | |
(৭) জীবের শক্তি প্রয়োজন |
উত্তরমালা:
(ক) বেঁচে থাকার জন্য মানুষ জড়ের উপর নির্ভরশীল।
(খ) কোনো স্থানের জীব ও জড়ের মধ্যকার পারস্পরিক ক্রিয়াই হলো ঐ স্থানের বাস্তুসংস্থান।
(গ) প্রাণীর মৃতদেহ পচে প্রাকৃতিক সারে পরিণত হয়।
(ঘ) বেঁচে থাকার জন্য জীবের শক্তি প্রয়োজন।
(ঙ) প্রাণী শক্তি পায় খাদ্য থেকে।
পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:
৪. কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর:
প্রশ্ন ১। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড়বস্তুর নাম লেখ। জীব কীভাবে জড়ের উপর নির্ভরশীল এ সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর: বেঁচে থাকার জন্য মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড়বস্তুর নাম হলো-১. মাটি, ২. পানি ও ৩. বায়ু।
জীব জড়ের উপর নির্ভরশীল এ সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-
১. মানুষ শ্বাস গ্রহণের জন্য বায়ুর উপর নির্ভরশীল।
২. পান করার জন্য পানির উপর নির্ভরশীল।
৩. পুষ্টির জন্য খাবারের উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ২। প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন এমন দুটি জড় বস্তুর নাম লেখ। কোন কোন বিষয়ে উদ্ভিদ জড়ের উপর নির্ভরশীল সে সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন এমন দুটি জড় বস্তু হলো- বায়ু ও পানি।
জড় বস্তুর উপর উদ্ভিদের নির্ভরশীলতা সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. খাদ্য তৈরির জন্য উদ্ভিদ সূর্যের আলো, পানি ও বায়ু ব্যবহার করে।
২. আবাসস্থলের জন্য উদ্ভিদ মাটির উপর নির্ভরশীল।
৩. শ্বাস গ্রহণের জন্য উদ্ভিদ বায়ু ব্যবহার করে।
৪. জলজ উদ্ভিদের আবাসস্থল হলো পানি।
প্রশ্ন ৩। জীব কী? উদ্ভিদ কীভাবে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল? বায়ুর উপর জীবের নির্ভরশীলতা সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর: যাদের জীবন আছে তারাই জীব। উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণের প্রয়োজনে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
বায়ুর উপর জীবের নির্ভরশীলতার তিনটি বাক্য হলো-
১. জীবের বেঁচে থাকার জন্য বায়ু অপরিহার্য একটি উপাদান।
২. মানুষসহ সকল প্রাণী শ্বাসকার্যের জন্য বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।
৩. উদ্ভিদ বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে খাদ্য তৈরি করে বেঁচে থাকে।
প্রশ্ন ৪। জীব বেঁচে থাকার জন্য জড় বস্তুর উপর নির্ভরশীল- এ সম্পর্কে ছয়টি বাক্য লেখ।
উত্তর: জীব বেঁচে থাকার জন্য জড় বস্তুর উপর নির্ভরশীল-এ সম্পর্কে ছয়টি বাক্য হলো-
১. সকল জীবের বেঁচে থাকার জন্য বায়ু, পানি ও খাদ্য প্রয়োজন।
২. ফসল ফলানো এবং বাসস্থান তৈরির জন্য জীবের মাটি প্রয়োজন।
৩. মাটি এবং পানি বিভিন্ন জীবের আবাসস্থল।
৪. সূর্যের আলো ব্যবহার করে অনেক জীব নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে।
৫. জীবনযাপনের জন্য আসবাবপত্র, পোশাক ও যন্ত্রপাতি তৈরিতে জীব জড়বস্তুর উপর নির্ভরশীল।
৬. জীব শ্বাসকার্য সম্পাদনে বায়ুর উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ৫। জীবের দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখ। মানুষ কীভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল- এ সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: জীবের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. জীব বংশ বৃদ্ধি করতে পারে।
২. জীব খাদ্য গ্রহণ করতে পারে।
মানুষ যেভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল এ সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. উদ্ভিদের ত্যাগ করা অক্সিজেন মানুষ শ্বাস গ্রহণের সময় ব্যবহার করে।
২. উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন- কাণ্ড, শাখা ও ফলমূল মানুষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
৩. মানুষ তার বাসস্থান তৈরিতে উদ্ভিদ ব্যবহার করে।
৪. মানুষ জ্বালানি হিসেবে উদ্ভিদ ব্যবহার করে।
প্রশ্ন ৬। উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে? উদ্ভিদ কীভাবে প্রাণীকে সাহায্য করে তার দুটি উদাহরণ লেখ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তোমার এলাকায় উদ্ভিদ সংরক্ষণের তিনটি উপায় লেখ।
উত্তর: উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে। উদ্ভিদ যেভাবে প্রাণীকে সাহায্য করে তার দুটি উদাহরণ হলো-
১. উদ্ভিদ খাদ্য দিয়ে প্রাণীকে সাহায্য করে।
২. উদ্ভিদের ত্যাগ করা অক্সিজেন প্রাণী শ্বাসগ্রহণের সময় ব্যবহার করে।
উদ্ভিদ সংরক্ষণের তিনটি উপায় হলো-
১. অধিক হারে বৃক্ষ রোপণ করব।
২. সামাজিক বনায়ন তৈরি ও সংরক্ষণ করব।
৩. নির্বিচারে গাছকাটা বন্ধ করতে উদ্যোগ নেব।
প্রশ্ন ৭। বীজের বিস্তরণ কী? উদ্ভিদ কোন কোন বিষয়ের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল তা ৪টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: মাতৃউদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াই হলো বীজের বিস্তরণ। উদ্ভিদ যেসব বিষয়ের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল তা হলো-
১. খাদ্য তৈরির উপাদান হিসেবে কার্বন ডাইঅক্সাইডের জন্য।
২. পুষ্টি উপাদান পাওয়ার জন্য।
৩. পরাগায়ন ঘটার জন্য।
৪. বীজের বিস্তরণের জন্য।
প্রশ্ন ৮। খাদ্যশৃঙ্খল কী? খাদ্যশৃঙ্খল কী থেকে শুরু হয়? কীভাবে ব্যাঙ খাদক এবং খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়, তা খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে লেখ।
উত্তর: বাস্তুসংস্থানে উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াই হলো খাদ্যশৃঙ্খল।
সবুজ উদ্ভিদ থেকেই প্রতিটি খাদ্য শৃঙ্খলের শুরু হয়।
ব্যাঙ খাদক এবং খাদ্য হিসেবে যেভাবে ব্যবহার হয় তা খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে নিচে দেখানো হলো-
ঘাস > ঘাসফড়িং > ব্যাঙ, এখানে ব্যাঙ খাদক।
ঘাস > ঘাসফড়িং > ব্যাঙ > সাপ, এখানে ব্যাঙ খাদ্য।
৪. একইভাবে সাপ ব্যাঙ খায় এবং ঈগল সাপ খায়।
উত্তর: কোনো স্থানের সকল জীব ও জড় এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক ক্রিয়াই হলো ঐ স্থানের বাস্তুসংস্থান।
উদ্ভিদ কীভাবে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল এ সম্পর্কে ৪টি বাক্য হলো-
১. উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
২. উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির জন্য প্রাণীর ত্যাগ করা কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে।
৩. পুষ্টি উপাদানের জন্য প্রাণীর মৃতদেহ পচে প্রাকৃতিক সারে পরিণত হয় এবং উদ্ভিদ তা গ্রহণ করে বেড়ে উঠে।
৪. পাখি, মৌমাছি ইত্যাদির মাধ্যমে পরাগায়নের ফলে বীজে নতুন উদ্ভিদ জন্মে।