পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর: জীবের জন্য বায়ু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বায়ু ছাড়া জীব বেঁচে থাকতে পারে না। দৈনন্দিন নানা কাজে আমরা বায়ু ব্যবহার করে থাকি। আমাদের জীবনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এ বায়ু নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের পদার্থ যেমন- রাসায়নিক পদার্থ, গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত করে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ড বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো এ বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। বায়ু দূষণের ফলে মানুষের ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। বায়ু দূষণের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসিড বৃষ্টি হচ্ছে। শক্তির ব্যবহার কমিয়ে, প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করে ও রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি।

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

১. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দিই।

১) চিপসের প্যাকেটে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
ক. অক্সিজেন
খ. কার্বন ডাইঅক্সাইড
গ. নাইট্রোজেন✔
ঘ. জলীয় বাষ্প

২) পর্বতারোহীরা সিলিন্ডারে কোন গ্যাস নিয়ে যান?
ক. অক্সিজেন✔
খ. কার্বন ডাইঅক্সাইড
গ. নাইট্রোজেন
ঘ. জলীয় বাষ্প

৩) কোন গ্যাস পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী?
ক. অক্সিজেন
খ. কার্বন ডাইঅক্সাইড✔
গ. নাইট্রোজেন
ঘ. হাইড্রোজেন

২. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। মানুষ কীভাবে বায়ুপ্রবাহকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে?
উত্তর: মানুষ বায়ুপ্রবাহকে দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে ব্যবহার করে। যেমন-
১. বড় চরকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
২. শরীর ঠান্ডা রাখতে।
৩. ভেজা কোনো বস্তু, কাপড় বা চুল শুকাতে।
৪. নদীতে পাল তোলে নৌকা চালাতে।
৫. ফসল ঝেড়ে ময়লা দূর করতে।

প্রশ্ন ২। মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ কী?
উত্তর: বায়ু দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বায়ু দূষণের ফলে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।

প্রশ্ন ৩। বায়ু দূষণ প্রতিরোধের তিনটি উপায় লেখ।
উত্তর: বায়ু দূষণ প্রতিরোধের তিনটি উপায় হলো-
১. জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার কমানো।
২. গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করা।
৩. ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা ও গাছ লাগানো।

প্রশ্ন ৪। বায়ু দূষণের কারণ কী?
উত্তর: বায়ু দূষণের কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের পদার্থ যেমন-রাসায়নিক পদার্থ, গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মেশা।

৩. বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। ভেজা কাপড় যত দ্রুত সম্ভব শুকানো প্রয়োজন। কিন্তু বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘরের ভেতর কীভাবে আমরা দ্রুত কাপড় শুকাতে পারি?
উত্তর: বাইরে বৃষ্টি হলেও ঘরের ভেতরে দ্রুত ভেজা কাপড় শুকানো সম্ভব। এজন্য প্রথমে ঘরের ভেতরে একটি অস্থায়ী রশি টানিয়ে তাতে ভেজা কাপড়গুলো ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপর বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর মাধ্যমে ঘরের ভেতর বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে বায়ুপ্রবাহ ভেজা কাপড় থেকে দ্রুত পানি সরিয়ে নিতে সাহায্য করবে এবং কাপড় শুকিয়ে যাবে। এভাবে ঘরের ভেতর আমরা দ্রুত কাপড় শুকাতে পারি।

প্রশ্ন ২। রিসাইকেল প্রক্রিয়া কীভাবে বায়ু দূষণ কমাতে পারে?
উত্তর: বায়ু দূষণের অন্যতম একটি কারণ হলো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিকের বস্তু, যেমন- পলিথিন, পানির বোতল, পারফিউমের বোতল, খাবারের বাক্স ইত্যাদি উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হয়। কিন্তু যদি এসব প্লাস্টিক বস্তু একবার ব্যবহারের পর ফেলে না দিয়ে রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয় তবে আর নতুন করে উৎপাদনের প্রয়োজন পড়ে না। ফলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কম হয় এবং বায়ুও কম দূষিত হয়।

প্রশ্ন ৩। কী কী কারণে বায়ু দূষিত হয়? মানুষ কীভাবে বায়ু দূষণ করছে?
উত্তর: বিভিন্ন কারণে বায়ু দূষিত হয়। যেমন- বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, বিষাক্ত গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া বা দুর্গন্ধ ইত্যাদি বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত হয়।
মানুষ তার বিভিন্ন দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বায়ু দূষিত করে। যেমন-
১. মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে থাকে। এ থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুকে দৃষ্ণিত করছে।
২. মানুষ তার প্রয়োজনে যানবাহন ব্যবহার করছে। যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত করছে।
৩. মানুষ যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ও মলমূত্র ত্যাগ করে। এর ফলে বায়ু দূষিত হচ্ছে।

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:

১. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। অক্সিজেন কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে সে সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ।
উত্তর: অক্সিজেন যেভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে সে সম্পর্কে দুটি বাক্য হলো-
১. প্রাণী নিঃশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে।
২. প্রাণীর ত্যাগ করা কার্বন ডাইঅক্সাইড উদ্ভিদ গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে।

প্রশ্ন ২। বায়ুর কোন উপাদানটি আগুন নেভাতে সাহায্য করে?
উত্তর: বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইড উপাদানটি আগুন নেভাতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৩। অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারের দুটি ক্ষেত্র উল্লেখ কর।
উত্তর: অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারের দুটি ক্ষেত্র হলো-
১. শ্বাসকষ্ট লাঘব করা ও ২. পর্বতারোহণ।

প্রশ্ন ৪। বায়ুর নাইট্রোজেনের দুটি ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তর: বায়ুর নাইট্রোজেনের দুটি ব্যবহার হলো-
১. ইউরিয়া সার তৈরিতে।
২. টিনের কৌটায় খাদ্য যেমন- মাছ, মাংস, চিপস ইত্যাদি সংরক্ষণে।

প্রশ্ন ৫। কার্বন ডাইঅক্সাইডের ২টি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইডের ২টি ব্যবহার হলো-
১. কোমল পানীয়তে ঝাঁঝালো ভাব ধরে রাখার জন্য।
২. আগুন নেভানোর জন্য অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে।

প্রশ্ন ৬। শ্বাস গ্রহণের জন্য প্রাণী বায়ুর কোন উপাদান গ্রহণ করে?
উত্তর: শ্বাস গ্রহণের জন্য প্রাণী বায়ুর অক্সিজেন গ্রহণ করে।

প্রশ্ন ৭। ডুবুরি হতে গেলে পানির নিচে সিলিন্ডারে করে তোমাকে কোন গ্যাস ব্যবহার করতে হবে?
উত্তর: ডুবুরি হতে গেলে পানির নিচে সিলেন্ডারে করে আমাকে অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করতে হবে।

প্রশ্ন ৮। বায়ুর নাইট্রোজেন ব্যবহার করে প্যাকেটে সংরক্ষণ করা যায় এরকম দুটি খাদ্যের নাম লেখ।
উত্তর: বায়ুর নাইট্রোজেন ব্যবহার করে প্যাকেটে সংরক্ষণ করা যায় এরকম দুটি খাদ্যের নাম হলো- ১. মাছ ও ২. চিপস।

প্রশ্ন ৯। হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার ভেজা চুলকে দ্রুত শুকায় কেন?
উত্তর: হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার ভেজা চুলকে দ্রুত শুকায় বায়ুপ্রবাহের জন্য।

প্রশ্ন ১০। বায়ুতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর দুটি কারণ লেখ।
উত্তর: বায়ুতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর দুটি কারণ হলো-
১. যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা।
২. খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা।

প্রশ্ন ১১। বায়ু দূষণ কাকে বলে?
উত্তর: বিভিন্ন ধরনের পদার্থ যেমন- রাসায়নিক পদার্থ, গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে যখন জীব ও প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয় তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে।

প্রশ্ন ১২। বায়ুপ্রবাহের দুইটি ব্যবহার লিখ।
উত্তর: বায়ুপ্রবাহের দুটি ব্যবহার হলো-
১. বায়ুপ্রবাহের সাহায্যে বড় চরকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
২. মানুষ শরীর ঠান্ডা রাখতে হাত পাখা বা বৈদ্যুতিক পাখার বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করে।

প্রশ্ন ১৩। বায়ু দূষণের দুটি কারণ লেখ।
উত্তর : বায়ু দূষণের দুটি কারণ হলো-
১. গাড়ির নির্গত কালো ধোঁয়া,
২. যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা।

প্রশ্ন ১৪। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে হচ্ছে এরকম দুটি ঘটনা উল্লেখ কর।
উত্তর: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে হচ্ছে এরকম দুটি ঘটনা হলো- ১. পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি ও ২. এসিড বৃষ্টি।

প্রশ্ন ১৫। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ালে পরিবেশের যে উপাদানটি দূষিত হয় তার নাম কী?
উত্তর : জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ালে পরিবেশের বায়ু উপাদানটি দূষিত হয়।

প্রশ্ন ১৬। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে?
উত্তর: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে।

প্রশ্ন ১৭। এসিড বৃষ্টির দুটি ক্ষতিকর দিক লেখ।
উত্তর: এসিড বৃষ্টির দুটি ক্ষতিকর দিক হলো-
১. জীবের ক্ষতি হতে পারে।
২. জীব মারা যেতে পারে।

প্রশ্ন ১৮। কোন ধরনের দূষণ থেকে এসিড বৃষ্টি হয়?
উত্তর: বায়ু দূষণ থেকে এসিড বৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১৯। বায়ু দূষণের একটি ক্ষতিকর দিক লেখ।
উত্তর: বায়ু দূষণের একটি ক্ষতিকর দিক হলো- মানুষের শ্বাসজনিত রোগ হওয়া।

প্রশ্ন ২০। এসিড বৃষ্টির দুটি কারণ লেখ।
উত্তর: এসিড বৃষ্টির দুটি কারণ হলো-
১. জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুতে বেড়ে যাওয়া।
২. কল কারখানার ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন গ্যাস মেঘের সাথে মিশে যাওয়া।

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

২. শূন্যস্থান পূরণ কর । 

প্রশ্ন ১। চিপস এর প্যাকেটে বায়ুর___ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ২। শ্বাসকষ্টের রোগীকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে___সরবরাহ করা হয়।
প্রশ্ন ৩। বায়ু ছাড়া___বেঁচে থাকতে পারে না।
প্রশ্ন ৪। শ্বাস গ্রহণের জন্য প্রাণীর বায়ুর___প্রয়োজন।
প্রশ্ন ৫। দৈনন্দিন নানা কাজে মানুষ বায়ু ___করে থাকে।
প্রশ্ন ৬। পর্বতারোহীকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে___সরবরাহ করা হয়।
প্রশ্ন ৭। ডুবুরিরা সিলিন্ডারে___গ্যাস নিয়ে যান।
প্রশ্ন ৮। প্যাকেট বা টিনের কৌটায় খাদ্য সংরক্ষণে___ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ৯। কোমল পানীয়তে ঝাঁঝালো ভাব ধরে রাখার জন্য___ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ১০। জীবের জন্য___খুব গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ১১। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয় বায়ুর___।
প্রশ্ন ১২। বায়ুপ্রবাহের সাহায্যে___ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
প্রশ্ন ১৩। বায়ুপ্রবাহ___থেকে দ্রুত পানি সরিয়ে নিতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ১৪। বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করে___পাল তোলা নৌকা চলে।
প্রশ্ন ১৫। ভেজা বস্তু থেকে দ্রুত পানি সরিয়ে নিতে সাহায্য করে___।

উত্তরমালা: ১। নাইট্রোজেন; ২। অক্সিজেন; ৩। জীব; ৪। অক্সিজেন; ৫। ব্যবহার; ৬। অক্সিজেন; ৭। অক্সিজেন; ৮। নাইট্রোজেন; ৯। কার্বন ডাইঅক্সাইড; ১০। বায়ু; ১১। কার্বন ডাইঅক্সাইড; ১২। টারবাইন; ১৩। ভেজা বস্তু; ১৪। নদীতে; ১৫। বায়ুপ্রবাহ;

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

৩. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।

প্রশ্ন ১। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:

বাম পাশ	ডান পাশ
(ক) ভেজা চুল শুকাতে ব্যবহার করা হয়	(১) কার্বন ডাইঅক্সাইড
(খ) বিদ্যুৎ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়	(২) হাতপাখা
(গ) শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহার করা হয়	(৩) হেয়ার ড্রায়ার
(ঘ) নদীতে নৌকা চালাতে ব্যবহার করা হয়	(৪) টারবাইন
(ঙ) কোমল পানীয়তে ব্যবহার করা হয়	(৫) অক্সিজেন
	(৬) নাইট্রোজেন
	(৭) পাল

উত্তরমালা:
(ক) ভেজা চুল শুকাতে ব্যবহার করা হয় হেয়ার ড্রায়ার।
(খ) বিদ্যুৎ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় টারবাইন।
(গ) শরীর ঠান্ডা রাখতে ব্যবহার করা হয় হাতপাখা।
(ঘ) নদীতে নৌকা চালাতে ব্যবহার করা হয় পাল।
(ঙ) কোমল পানীয়তে ব্যবহার করা হয় কার্বন ডাইঅক্সাইড।

প্রশ্ন ২। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:

বাম পাশ	ডান পাশ
(ক) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়	(১) অক্সিজেন
(খ) শ্বাসকষ্টের রোগীকে দেওয়া হয়	(২) এসিড বৃষ্টি
(গ) চিপসের প্যাকেটে ব্যবহার করা হয়	(৩) বায়ু দূষণ
(ঘ) বায়ু দূষণের একটি বড় কারণ	(৪) কার্বন ডাইঅক্সাইড
(ঙ) ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ	(৫) পানি দূষণ
	(৬) মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড
	(৭) নাইট্রোজেন

উত্তরমালা:
(ক) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় কার্বন ডাইঅক্সাইড।
(খ) শ্বাসকষ্টের রোগীকে দেওয়া হয় অক্সিজেন।
(গ) চিপসের প্যাকেটে ব্যবহার করা হয় নাইট্রোজেন।
(ঘ) বায়ু দূষণের একটি বড় কারণ মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ড।
(ঙ) ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ বায়ু দূষণ।

৪. কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর:

প্রশ্ন ১। বায়ুর দুটি উপাদানের নাম লেখ। বায়ুর বিভিন্ন উপাদানের চারটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: বায়ুর দুটি উপাদানের নাম হলো-
১. অক্সিজেন ও
২. কার্বন ডাইঅক্সাইড।
বায়ুর বিভিন্ন উপাদানের চারটি ব্যবহার হলো-
১. শ্বাসকষ্টের রোগী, ডুবুরী, পর্বতারোহী সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন ব্যবহার করে।
২. ইউরিয়া সার তৈরিতে নাইট্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
৩. প্যাকেটজাত খাবার যেমন- মাছ, মাংস, চিপস সংরক্ষণে নাইট্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
৪. কোমল পানীয়তে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ২। বায়ুপ্রবাহের চারটি ব্যবহার লেখ। দূষিত বায়ু মানুষের। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- এ সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ।
উত্তর: বায়ুপ্রবাহের চারটি ব্যবহার নিম্নরূপ-
১. বায়ুপ্রবাহের সাহায্যে বড় চরকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
২. বায়ুপ্রবাহের ব্যবহার করে নদীতে পাল তোলা নৌকা চলে।
৩. কোনো ভেজা বস্তুকে শুকানোর জন্য বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করা হয়।
৪. বায়ুপ্রবাহ ভেজা বস্তু থেকে দ্রুত পানি সরিয়ে নিতে সাহায্য করে।
দূষিত বায়ু মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ সম্পর্কে দুটি বাক্য নিম্নরূপ-
১. দূষিত বায়ুর মাধ্যমে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়।
২. দূষিত বায়ু মানুষের শ্বাসজনিত রোগের সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ৩। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে বায়ুর কোন উপাদানকে ব্যবহার করে? দৈনন্দিন জীবনে বায়ুপ্রবাহের ৫টি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইড উপাদানকে ব্যবহার করে।
দৈনন্দিন জীবনে বায়ুপ্রবাহের ৫টি ব্যবহার হলো-
১. টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
২. মানুষের শরীর ঠান্ডা রাখতে হাতপাখা, বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবহার।
৩. ভেজা চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার।
৪. বাতাসে ভেজা কাপড় শুকানো।
৫. নদীতে পালতোলা নৌকা চালানো।

প্রশ্ন ৪। বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট তিনটি রোগের নাম লেখ। বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট তিনটি রোগের নাম হলো-
১. ফুসফুসের ক্যান্সার, ২. শ্বাসজনিত রোগ ও ৩. হৃদরোগ।
বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস ছড়ায়।
২. পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।
৩. কলকারখানার ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের গ্যাস মেঘের সাথে মিশে যাওয়ার ফলে এসিড বৃষ্টি তৈরি হয়।

প্রশ্ন ৫। কাঠ পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন কোন গ্যাস বায়ু দূষিত করে? বায়ু দূষণের ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর কী প্রভাব পড়ে সে সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: কাঠ পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বায়ু দূষিত করে।
বায়ু দূষণের ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর যে প্রভাব পড়ে সে সম্পর্কে চারটি বাক্য নিম্নরূপ-
১. বায়ু দূষণের ফলে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়।
২. মানুষের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩. বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট এসিড বৃষ্টিতে অনেক উদ্ভিদ মারা যায়।
৪. বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট এসিড বৃষ্টির ফলে জীবের ক্ষতি হতে পারে বা জীব মারা যেতে পারে।

প্রশ্ন ৬। বায়ু দূষণের তিনটি কারণ উল্লেখ কর। পরিবেশের উপর বায়ু দূষণের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: বায়ু দূষণের তিনটি কারণ হলো-
১. যানবাহন থেকে কালো ‘ধোঁয়ার নির্গমন,
২. যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা ও
৩. যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করা।
পরিবেশের উপর বায়ু দূষণের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি সাধন হয়।
২. পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় ও
৩. এসিড বৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৭। বায়ুর দুটি ব্যবহার লেখ। বায়ু দূষণ রোধে চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর: বায়ুর দুটি ব্যবহার হলো-
১. ফুটবল, গাড়ি, রিকসা বা সাইকেলের টায়ার ইত্যাদি ফোলানোর জন্য মানুষ বায়ু ব্যবহার করে।
২. শ্বাসকষ্টের রোগী, ডুবুরি এবং পর্বতারোহীকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে বায়ুর উপাদান অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়।
বায়ু দূষণ রোধে চারটি করণীয় হলো-
১. জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার কমানো।
২. অপ্রয়োজনে বাতি বন্ধ রাখা, গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে পায়ে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করা।
৩. প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করা ও রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ু দূষণ রোধ করা।
৪. ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা।

প্রশ্ন ৮। মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের তিনটি প্রভাব লেখ। বায়ু দূষণ রোধে তিনটি করণীয় লেখ।
উত্তর: মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের তিনটি প্রভাব হলো-
১. ফুসফুসে ক্যান্সার,
২. শ্বাসজনিত রোগ ও
৩. হৃদরোগ।
বায়ু দূষণ রোধে তিনটি করণীয় হলো-
১. গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে পায়ে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করা।
২. প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করে বা রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
৩. ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা।

আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর