তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর
৩য় শ্রেণি ইসলাম শিক্ষা

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর: আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগের কথা। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে আরবের মক্কা নগরীতে এক শিশুর জন্ম হয়। শিশুটির দাদা তাঁর নাম রাখলেন মুহাম্মদ। হজরত মুহাম্মদ (স.) এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মায়ের নাম আমিনা। জন্মের পূর্বেই তাঁর পিতা মারা যান। জন্মের পর তাঁকে লালনপালন করেন দুধ মা হালিমা। পাঁচ বছর বয়সে শিশুটি ফিরে আসে তার মায়ের কাছে। কিন্তু মায়ের কাছে বেশিদিন থাকা হয় না শিশু মুহাম্মদের। ছয় বছর বয়সে মাও মারা যান। তখন শিশু মুহাম্মদের লালনপালন করেন দাদা আব্দুল মুত্তালিব। আট বছর বয়সে দাদাও মারা যান। এবার বালক মুহাম্মদের দায়িত্ব নিলেন চাচা আবু তালিব।

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

১। সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (✔) দাও

ক) কত খ্রিস্টাব্দে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) জন্মগ্রহণ করেন?
১. ৫৬০ খ্রিস্টাব্দে
২. ৫৮০ খ্রিস্টাব্দে
৩. ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে✔
৪. ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে

খ) নারীর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় কে সর্বাধিক তাগিদ দিয়েছেন?
১. হজরত আবু বকর (রা.)
২. হজরত উমর (রা.)
৩. হজরত মুহাম্মদ (স.)✔
৪. হজরত সোলাইমান (আ.)

গ) মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) কেমন স্বভাবের মানুষ ছিলেন?
১. গম্ভীর
২. রাগী
৩. শান্ত ও বিনয়ী✔
৪. অস্থির

ঘ) ‘ইসলামের ত্রাণকর্তা’ কাকে বলা হয়?
১. হজরত আবু বকর (রা.)✔
২. হজরত মুহাম্মদ (স.)
৩. হজরত উমর (রা.)
৪. হজরত সোলাইমান (আ.)

ঙ) হজরত আবু বকর (রা.) কেমন স্বভাবের ছিলেন?
১. কঠোর
২. দাম্ভিক
৩. নিষ্ঠুর
৪. সহানুভূতিশীল✔

চ) আমি সঠিক কাজ করলে সহযোগিতা করবেন আর বিপথগামী হলে সতর্ক করবেন’ এ কথা কে বলেছেন?
১. হজরত আবু বকর (রা.)✔
২. হজরত উমর (রা.)
৩. হজরত উসমান (রা.)
৪. হজরত আলী (রা.)


২। শূন্যস্থান পূরণ করি


ক. মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) একজন উত্তম — মানুষ ছিলেন।
খ. মহানবি (স.) তাঁর দুধমাতা হালিমা (রা.) কে দেখা মাত্র — সম্মান জানাতেন।
গ. হজরত আবু বকর (রা.) ছিলেন ইসলামের — খলিফা।
ঘ. হজরত আবু বকর (রা.) ছিলেন দানশীল, দয়ালু ও — মানুষ।
ঙ. হজরত আবু বকর (রা.) পবিত্র কুরআনকে — করে প্রকাশ করার উদ্যোগ নেন।

উত্তর: ক. আদর্শসম্পন্ন; খ. দাঁড়িয়ে; গ. প্রথম; ঘ. পরোপকারী; ঙ. একত্রিত।


৩। মিলকরণ

বাম পাশের অংশ ডান পাশের অংশ
প্রাচীন আরবে কন্যা শিশুদের হজরত আবু বকর (রা.) এর নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
মহানবি (স.) এর গুণাবলী মহানবি (স.) এর হাতে তুলে দেন।
ধৈর্য ও দক্ষ নেতৃত্বের জন্য জীবন্ত কবর দেয়া হতো।
মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) এর হাতে আমাদের জন্য আদর্শ।
তাবুকের যুদ্ধে ব্যয় করার জন্য হজরত আবু বকর (রা.) সমস্ত সম্পদ হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপিত হয়।

উত্তর:

ক) প্রাচীন আরবে কন্যা শিশুদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো।
খ) মহানবি (স.) এর গুণাবলী আমাদের জন্য আদর্শ।
গ) ধৈর্য ও দক্ষ নেতৃত্বের জন্য হজরত আবু বকর (রা.) এর নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
ঘ) মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) এর হাতে হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপিত হয়।
ঙ) তাবুকের যুদ্ধে ব্যয় করার জন্য হজরত আবু বকর (রা.) সমস্ত সম্পদ মহানবি (স.) এর হাতে তুলে দেন।


৪। শুদ্ধ। অশুদ্ধ নির্ণয়

ক. হজরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন অসীম ধৈর্য ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী।
খ. মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) ‘হিলফুল ফুযুল’ গঠন করেন।
গ. আমাদের জন্য মহানবি (স.) এর জীবনাদর্শ অনুকরণীয়।
ঘ. হজরত আবু বকর (রা.) গরিব ও অসহায় মানুষদের সহায়তা করতেন।
ঙ. হজরত আবু বকর (রা.) রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অনেক বেশি ভাতা নিতেন।

উত্তর : ক) শুদ্ধ; খ) শুদ্ধ; গ) শুদ্ধ; ঘ) শুদ্ধ; ৪) অশুদ্ধ।


৫। সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন

ক. নবি ও সাহাবিগণের জীবনযাপন সম্পর্কে জানলে আমাদের কী লাভ হয়?

উত্তর : নবি ও সাহাবিগণের জীবনযাপন সম্পর্কে জানলে আমরা অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারি। যা আমাদের ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে।

খ. কুরাইশরা হজরত মুহাম্মদ (স.) কে আল-আমিন নামে কেন ডাকত?

উত্তর : হজরত মুহাম্মদ (স.) সবসময় সত্য কথা বলতেন, কাউকে কথা দিলে তা রক্ষা করতেন। এজন্য কুরাইশরা তাকে ‘আল-আমিন’ নামে ডাকত।

গ. হিলফুল ফুযুল কী?

উত্তর: ‘হিলফুল ফুযুল’ হলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার ও সাহায্যের জন্য গঠিত একটি শান্তিকামী সংগঠন।

ঘ. হজরত আবু বকর (রা.) কে ‘ইসলামের ত্রাণকর্তা’ কেন বলা হয়?

উত্তর : হযরত আবু বকর (রা.) এর সাহায্য ও ত্যাগের বিনিময়ে ইসলামি রাষ্ট্র দ্রুত প্রসারিত ও শক্তিশালী হয়। এজন্য তাকে ‘ইসলামের ত্রাণকর্তা’ বলা হয়।

ঙ. হজরত আবু বকর (রা.) কেমন গুণের অধিকারী ছিলেন?

উত্তর: হজরত আবু বকর (রা.) ছিলেন একজন দানশীল, দয়ালু ও পরোপকারী মানুষ।


 

৬। বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

ক. নবি-রাসুলগণের জীবনচরিত জেনে কীভাবে তাদের আদর্শ অনুসরণ করবে তা লেখ।

উত্তর : নবি-রাসুলগণের জীবনচরিত জেনে আমরা তাদের আদর্শ অনুসরণ করতে পারি। জীবনকে সুন্দর ও সৎভাবে গড়ে তুলতে তাদের জীবনাদর্শের বিকল্প নাই। সত্যবাদিতা, ধৈর্য, দয়া ও মানবতা, বিনয় ও নম্রতা, ক্ষমাশীলতা এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস নবি-রাসুলগণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। নবি-রাসুলগণের এসব আদর্শ অনুসরণ করে ভালো মানুষ হতে পারি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

খ. মহানবি (স.) এর আদর্শ কীভাবে অনুসরণ করবে তার একটি তালিকা তৈরি কর।

উত্তর: মহানবি (স.) এর আদর্শ অনুসরণ করার জন্য আমরা নিচের তালিকা অনুসরণ করতে পারি।

যথা:
১। সদা সত্য কথা বলা।
২। ধৈর্য ধারণ করা।
৩। দয়া ও সহানুভূতি দেখানো।
৪। নম্র ও বিনয়ী থাকা।
৫। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখা।
৬। মানবসেবা করা।
৭। সৎভাবে কাজ করা।
৮। ক্ষমাশীল থাকা।
মহানবি (স.)-এর এসব আদর্শ অনুসরণ করে আমরা একজন ভালো ও সৎ মানুষ হতে পারি।

গ. কীভাবে হজরত আবু বকর (রা.) এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করবে তা বর্ণনা কর।

উত্তর : হজরত আবু বকর (রা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করার জন্য আমরা তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণ অনুসরণ করতে পারি। যথা:
১। সত্য কথা বলা।
২। অর্থ-সম্পদ দানের মাধ্যমে দয়া দেখানো।
৩। ধৈর্য ধারণ করা।
৪। নম্র ও বিনয়ী থাকা।
৫। মানুষের সেবা করা।
৬। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখা।



সকল বিষয়ের সমাধান ও সাজেশন পেতে আমাদের 👉 অ্যাপটি ইন্সটল করো ও 👉 YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনটি প্রেস করে রাখো !


Read More: তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

Read More: তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

Codehorse App

Check Also

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ তথ্য ও যোগাযোগ

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ তথ্য ও যোগাযোগ: তথ্য হচ্ছে কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ঘটনা-সম্পর্কিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *