চতুর্থ শ্রেণীর হিন্দুধর্ম ১ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর: অপূর্ব সুন্দর আমাদের এই পৃথিবী। পৃথিবীর মানুষ, গাছ-পালা, নদ-নদী, জীব-জন্তু, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ সবকিছুই সুন্দর। আমরা অবাক হয়ে যাই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী এবং পৃথিবীর সকল সৃষ্টি দেখে। মনে প্রশ্ন জাগে, কে সৃষ্টি করল মানুষ, নদ-নদী, গাছ-পালা, জীব-জন্তু, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, আকাশ-বাতাস সবকিছু? আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী এবং পৃথিবীর সবকিছুই ঈশ্বরের সৃষ্টি। কেবল পৃথিবীই নয়, পৃথিবীর বাইরেও যা কিছু আছে তার স্রষ্টাও ঈশ্বর।
চতুর্থ শ্রেণীর হিন্দুধর্ম ১ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর:
১। অপূর্ব __ আমাদের এই পৃথিবী।
২। সকল সৃষ্টির মূলে রয়েছেন __।
৩। জীব ও জগতের সৃষ্টি __ একটি লীলা।
৪। ঈশ্বর এক এবং __ ।
৫। জীবকে ভালোবাসাই __ ভালোবাসা।
৬। নিয়মিত গাছ-পালার __ করতে হবে।
উত্তর:
১। অপূর্ব সুন্দর আমাদের এই পৃথিবী।
২। সকল সৃষ্টির মূলে রয়েছেন ঈশ্বর।
৩। জীব ও জগতের সৃষ্টি ঈশ্বরের একটি লীলা।
৪। ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়।
৫। জীবকে ভালোবাসাই ঈশ্বরকে ভালোবাসা।
৬। নিয়মিত গাছ-পালার পরিচর্যা করতে হবে।
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও:
উত্তর:
১। ঈশ্বর নিজেই → নিজের স্রষ্টা।
২। ঈশ্বর যা কিছু করেন → সেটাই তাঁর লীলা।
৩। বিচিত্র তাঁর → লীলা।
৪। ঈশ্বর অনাদি → অনন্ত।
৫। ঈশ্বরের সমান → আর কেউ নেই।
৬। আমাদের প্রত্যেকের গাছ → লাগানো উচিত ।
গ. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (✓) চিহ্ন দাও:
১। সবকিছুর স্রষ্টা কে?
ক. রাজা
গ. ঈশ্বর✓
খ. দেবতা
ঘ. মানুষ
২। ঈশ্বরের লীলার একটি উদ্দেশ্য-
ক. ঐশ্বর্য প্রকাশ করা
খ. আনন্দ উপভোগ করা✓
গ. দুঃখ ভোগ করা
ঘ. ক্ষমতা প্রকাশ করা
৩। বিচিত্র ঈশ্বরের –
ক. ঐশ্বর্য
খ. ক্ষমতা
গ. খেলা
ঘ. লীলা✓
৪। ঈশ্বর কেমন?
ক. সর্বশক্তিমান✓
খ. শক্তিহীন
গ. মানুষের সমান
ঘ. দেবতার সমান
৫। আমাদের পালনকর্তা কে?
ক. দেবতা
খ. ঈশ্বর✓
গ. গুরু
ঘ. শিক্ষক
৬। ঈশ্বর জীবের মধ্যে কিরূপে অবস্থান করেন?
ক. মনরূপে
খ. দেহরূপে
গ. আত্মরূপে✓
ঘ. মস্তিষ্করূপে
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও:
প্রশ্ন ১। কী দেখে আমরা অবাক হই?
উত্তর: আমাদের এ সুন্দর পৃথিবী এবং পৃথিবীর সকল অপূর্ব সৃষ্টি দেখে আমরা অবাক হই।
প্রশ্ন ২। ঈশ্বরকে স্বয়ম্ভু বলা হয় কেন?
উত্তর: ঈশ্বর নিজেই নিজের স্রষ্টা। এজন্য তাঁকে স্বয়ম্ভূ বলা হয়।
প্রশ্ন ৩। কীভাবে ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়?
উত্তর: ঈশ্বরের সকল সৃষ্টিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়।
প্রশ্ন ৪। ঈশ্বরের রূপ কীভাবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: সকল সৃষ্টির মধ্যেই ঈশ্বরের রূপ প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ৫। গাছ-পালা, পশু-পাখি আমাদের জন্য কী করে?
উত্তর: গাছ-পালা, পশু-পাখি আমাদের অনেক উপকার করে।
প্রশ্ন ৬। কী করলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন?
উত্তর: পশু-পাখি, গাছ-পালা, জীব-জন্তুসহ সকল জীবকে ভালোবাসলে ও তাদের পরিচর্যা করলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
প্রশ্ন ১। ঈশ্বর কেন সৃষ্টি করেন?
উত্তর: ঈশ্বর তার লীলা প্রকাশের জন্য সৃষ্টি করেন। ঈশ্বরের লীলার একটি উদ্দেশ্য হলো আনন্দ উপভোগ করা।
প্রশ্ন ২। ঈশ্বরের লীলা বলতে কী বোঝায়? লীলা প্রকাশের জন্য ঈশ্বর কী করেন?
উত্তর: ঈশ্বর যা কিছু করেন সেটাই তাঁর লীলা। লীলা প্রকাশের জন্য তিনি বিশ্বের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। বিচিত্র তাঁর লীলা। বিচিত্র তাঁর সৃষ্টি।
প্রশ্ন ৩। ‘ঈশ্বর সর্বশক্তিমান’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। তিনি অনাদি, অনন্ত এবং সকল গুণের অধিকারী। তাঁর সমান বা তাঁর চেয়ে বড় কেউ নেই। তিনি সবকিছু করতে পারেন। তিনি জীব ও জগতের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা। তিনি সর্বশক্তির ঊর্ধ্বে। তাই তিনি সর্বশক্তিমান।
প্রশ্ন ৪। ঈশ্বরের সৃষ্টি এত সুন্দর কেন?
উত্তর: ঈশ্বর তাঁর সকল সৃষ্টির মাঝে আত্মারূপে বিরাজ করেন। এজন্য সকল সৃষ্টির মাঝে সবসময় একটা রূপ বিরাজ করে। তাই ঈশ্বরের সৃষ্টি এত সুন্দর।
প্রশ্ন ৫। সকল সৃষ্টিকে ভালোবাসা উচিত কেন?
উত্তর: সৃষ্টির মধ্যেই ঈশ্বরের রূপ প্রকাশিত হয়। তাই ঈশ্বরকে ভালোবাসতে হলে ভালোবাসতে হবে তাঁর সকল জীবকে, ঈশ্বরের সকল সৃষ্টিকে। তাঁর সকল সৃষ্টিকে ভালোবাসা মানেই তাঁকে ভালোবাসা। তাই তাঁর সকল সৃষ্টিকে ভালোবাসা উচিত।
প্রশ্ন ৬। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর।
উত্তর: গাছ-পালা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন দেয়, বাতাস দেয়, ছায়া দেয় ও ঝড়, বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করে। ঘরবাড়ি তৈরিতে এমনকি জ্বালানি হিসেবেও বৃক্ষ আমাদের প্রয়োজনীয়। এছাড়াও গাছপালার ফল খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা মিটিয়ে থাকি। তাই বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।