মানবধর্ম কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন: ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ গানটি ‘মানবধর্ম’ কবিতা হিসেবে এ গ্রন্থে গৃহীত হয়েছে। এ কবিতায় লালন ফকির মানুষের জাত-পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। লালন নিজে কোন ধর্মের বা জাতের এমন প্রশ্ন আগেও ছিল, এখনো আছে। লালন বলেছেন, জাতকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। মনুষ্যধর্মই মূলকথা। কারো গলায় মালা, কারো হাতে তসবি থাকে। এগুলো ভিন্ন ভিন্ন জাতের পরিচয় বহন করে। কিন্তু জন্ম বা মৃত্যুর সময় মানুষের জাতের কোনো চিহ্ন থাকে না। মানুষ জাত ও ধর্মভেদে যে ভিন্নতার কথা বলে লালন তা বিশ্বাস করেন না।
মানবধর্ম কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন:
প্রশ্ন -১: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
জগৎ জুড়িয়া একজাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী।
বাহিরের ছোপ আঁচড়ে সে লোপ
ভিতরের রং পলকে ফোটে
বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র
কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে।
ক.‘কূপজল’ অর্থ কী?
খ.জাতপাত নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ.উদ্দীপক ও ‘মানবধর্ম’ কবিতায় মানুষের যে মিল পাওয়া যায় তা আলোচনা কর।
ঘ.উদ্দীপক ও ‘মানবধর্ম’ কবিতায় যে ধর্মচর্চার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে তা মূল্যায়ন কর।
প্রশ্ন -৩: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কাঙালির মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিল সে ছেলের হাতের আগুন মুখে নিয়ে স্বর্গে যাবে। কিন্তু কাঙালি শত চেষ্টা করেও মায়ের মুখে আগুন দেবার জন্য এক টুকরো কাঠ জোগাড় করতে পারেনি। তার মায়ের শেষ ইচ্ছের কথা শুনে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা তাকে উপহাস করে বলে, নিচু জাত দুলের আবার মুখে আগুন……। যা-যা, দূর হ এখান থেকে।
ক.লালন শাহ কী ধরনের মরমি কবি?
খ.‘যাওয়া কিংবা আসার বেলায়’ বলতে লালন কী বুঝিয়েছেন?
গ.উদ্দীপকের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের আচরণে, ‘মানবধর্ম’ কবিতার কোন বিপরীত দিক প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের মতো মানুষের মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান রয়েছে ‘মানবধর্ম’ কবিতায়- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
প্রশ্ন -৪: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
“শুনহ মানুষ ভাই
সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই।”
ক. লালন শাহ্ কী ধরনের কবি?
খ. কবি মানুষকে জাত-ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘মানবধর্ম’ কবিতার যে দিক ফুটে উঠেছে, তার ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে ফুটে উঠা দিকটিতে ‘মানবধর্ম’ কবিতার সম্পূর্ণ বিষয় প্রকাশ পায়নি।”-বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন -৫: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গনি মিয়া ও হরিপদ রাধিকাপুর গ্রামের দুই গরিব কৃষক। তাদের বউ-ঝিয়েরা একই পুকুরে থালাবাসন মাজে, কাপড় কাচে। গ্রামের সবাই একই কুয়ার পানি পান করে। এ-বাড়ির তরকারির বাটি ও বাড়িতে পাঠানো হয়। ঈদ-পূজোয় তারা আনন্দ ভাগাভাগি করে। আবার দুঃখ ও কষ্টেও হয় পরস্পর সমব্যথী। রাধিকাপুর সকল সম্প্রদায়ের শান্তির স্থান।
ক. লালন শাহ্-এর গুরু কে ছিলেন?
খ. ‘কূপজল’ ও ‘গঙ্গাজল’ কীভাবে অভিন্ন সত্তা? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে ‘মানবধর্ম’ কবিতার কোন আদর্শবোধের পরিচয় মেলে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব ও ‘মানবধর্ম’ কবিতার মূলভাব যেন একই ধারায় প্রবাহিত।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন -৬: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
“সবারে বাসিব ভালো, করিব না আত্মপর ভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ
মানুষের সাথে কভু মানুষের রবে না বিচ্ছেদ-
সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ,
হিংসা-দ্বেষ রহিবে না, কেহ কা’রে করিবে না ঘৃণা
পরস্পর বাঁধি দিব প্রীতির বন্ধনে
বিশ্ব জুড়ি এক সুরে বাজিবে গো মিলনের বীণা
মানব জাগিবে নব জীবন-স্পন্দনে।”
ক.লোকে কীসের কথা নিয়ে গৌরব করে?
খ.‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালনের কী ধরনের মানসিকতা লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
গ.উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মানবধর্ম’ কবিতার সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ.“উদ্দীপকটি ‘মানবধর্ম’ কবিতার মূলভাবের ধারক”- মন্তব্যটি বিচার কর।
প্রশ্ন -৭: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মানবজীবনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সত্য হলো- পৃথিবীর প্রত্যেকেই মানুষ, একই পন্থায় সবার জন্ম। দেশ, জাত, পাত্রভেদে কারো জন্মের কোনো ভিন্নতা নেই। কিন্তু পৃথিবীতে আমরা নিজেদেরকে নানা ভাবে ভিন্নতর করে তুলি। দেশ, ধর্ম, সমাজ, পদবি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অন্যের চেয়ে নিজেকে বড় করতে চাই। বিশেষ করে জাত, জাতি, পেশা বা ধর্মের ক্ষেত্রেই এ চরিত্র বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। কিন্তু এসবে কোনো সার্থকতা নেই। যদি সার্থকতা থাকত, তবে জন্ম ও মৃত্যু প্রক্রিয়ার মাঝেও ভিন্নতা থাকত। অথচ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের তাবৎ পার্থক্য হারিয়ে যায়। একই পরিচয়ে সবাই পাড়ি জমায় মৃত্যুর দেশে।
ক. লালন জেতের ফাতা কোথায় বিকিয়েছেন?
খ. ‘ভিন্ন জানায় পাত্র-অনুসারে’ -পঙ্ক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মানবধর্ম’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. প্রমাণ কর যে, উদ্দীপকের লেখক ও ‘মানবধর্ম’ কবিতার কবি একই মতবাদে বিশ্বাসী।
প্রশ্ন -৮: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সম্রাট বাবর ছিলেন প্রজাপ্রেমিক। দিনের বেলাতে ছদ্মবেশ ধারণ করে পথে পথে ঘুরে প্রজাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতেন। হঠাৎ একদিন রাস্তায় তিনি দেখতে পান একটি পাগলা হাতির ভয়ে সবাই রাস্তা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছে। একটি শিশু রাস্তায় পড়ে আছে তাকে কেউ সরিয়ে নিচ্ছে না। সম্রাট বাবর যখন ছেলেটাকে তুলে আনতে গেলেন তখন সবাই বলল- ‘ও মেথরের সন্তান ওকে তুলে নেয়ার দরকার নেই’। প্রজাপ্রেমিক সম্রাট সকলের কথা উপেক্ষা করে মেথরের সন্তানকে সযত্নে তুলে এনে তার মায়ের কোলে ফিরয়ে দিলেন।
ক. কোন জল হিন্দুদের কাছে পবিত্রতার প্রতীক?
খ. ‘লোকে গৌরব করে যথা-তথা’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. কোন দিক থেকে সম্রাট বাবরের সঙ্গে লালন শাহ্’র সাদৃশ্য আছে?- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ও মেথরের সন্তান ওকে তুলে নেয়ার দরকার নেই’- উদ্দীপকের এ কথাটি ‘মানবধর্ম’ কবিতার আলোকে মূল্যায়ন কর।
প্রশ্ন -১০: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সেজানের বন্ধু সমীর। সেজান মুসলমান আর সমীর হিন্দু কিন্তু তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ধর্মীয় কোনো পরিচয় তাদের সম্পর্কের মধ্যে ছেদ সৃষ্টি করতে পারেনি। কারণ, তাদের কাছে মানুষের ধর্মের চেয়ে মনুষ্যত্ববোধটাই বড়। এ মনুষ্যধর্ম মানুষের আসল পরিচয়, কোনো ধর্ম মানুষের পরিচয়ের মাপকাঠি হতে পারে না।
ক. জল কোথায় গেলে তাকে গঙ্গাজল বলা হয়?
খ. ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘মানবধর্ম’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটিতে ‘মানবধর্ম’ কবিতার মূলসুর ধ্বনিত হয়েছে”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
আজকের আলোচিত মানবধর্ম কবিতার অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান PDF Download করে নাও নিচের দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে।