মহীয়সী রোকেয়া রচনা (PDF): প্রিয় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, আজ আমরা সুন্দর একটি রচনা লিখব যার নাম—মহীয়সী রোকেয়া/নারী জাগরণের অগ্রদূত। চলো, এখন রচনাটি শুরু করি!
মহীয়সী রোকেয়া রচনা (PDF):
মহীয়সী রোকেয়া
অথবা, নারী জাগরণের অগ্রদূত
ভূমিকা: শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ শিক্ষা নারী-পুরুষ সবার জন্যই অত্যাবশ্যক। ভারতীয় উপমহাদেশে এ অমোঘ সত্যটি সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেন নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
জন্ম ও বংশ পরিচয়: ১৮৮০ সালে রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে এক রক্ষণশীল। মুসলিম পরিবারে বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন। বেগম রোকেয়ার দুই বোন আর দুই ভাই। বাবা জমিদার। জমিদারি ছিল তখন পড়তির দিকে। কিন্তু বনেদি ঠাট, হালচাল সবই ছিল আগের মতোই। লেখাপড়ায় আগ্রহী রোকেয়া সে সময় মুসলমান মেয়েদের লেখাপড়া অনেকটা নিষিদ্ধই ছিল। বেগম রোকেয়ার ক্ষেত্রে ছিল আরো কড়াকড়ি। বাড়িতেই তিনি কোরআন পড়া শেখেন-শেখেন উর্দুও। কিন্তু বাংলা শেখার জন্য তাঁর মন ছটফট করতে থাকে। বড় বোন করিমুন্নেসা, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ইব্রাহিম সাবের বেগম, রোকেয়াকে খুবই স্নেহ করতেন। লেখাপড়ায় তার আগ্রহ দেখে বড় বোন তাঁকে বাংলা শেখান।
বিবাহ ও সংসার জীবনে প্রবেশ: সে সময় মুসলমান মেয়েদের খুব অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হতো। রোকেয়ার যখন বিয়ে হয় তখন তাঁর বয়স ষোলো। এরপর স্বামীর সঙ্গে তিনি, পাড়ি জমালেন ভাগলপুরে। সেখানে তাঁর স্বামী ও স্বামীর বাড়ির লোকজন উর্দুতে কথা বলতেন। রোকেয়াও সে ভাষাতেই কথা বলতেন। তবে বাংলা ভাষাকে তিনি একদিনের জন্যও ভুলে থাকতে পারেন নি।
স্বামীর মৃত্যু ও অন্যরকম জীবনের শুরু: বেগম রোকেয়ার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন বিদ্যেৎসাহী। বিয়ের পর স্বামীর সহযোগিতায় রোকেয়ার শিক্ষার ক্রমোন্নতি হতে থাকে। কিন্তু বিয়ের মাত্র নয় বছরের মাথায় স্বামীর মৃত্যু তাঁর জীবনকে উলট-পালট করে দেয়। এমতাবস্থায় বেগম রোকেয়া নারী জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ লক্ষ্যে প্রথমে তিনি ভাগলপুরে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল নামে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
স্কুল প্রতিষ্ঠায় সফলতা: মাত্র পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে বেগম রোকেয়া ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’- এর কার্যক্রম শুরু করেন। অক্লান্ত পরিশ্রম আর অনেক বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল একটি প্রথম শ্রেণির ইংরেজি বিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
মৃত্যু: ১৯৩২ সালের ৮ ডিসেম্বর এই মহীয়সী নারী পরলোকগমন করেন।
উপসংহার: বেগম রোকেয়ার লক্ষ্য ছিল নারী জাগরণ। অদম্য মনোবল আর অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হন।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা যারা “মহীয়সী রোকেয়া/নারী জাগরণের অগ্রদূত” রচনাটি পড়ছো, তারা এখন চাইলে এর PDF কপি সংগ্রহ করতে পারো। নিচের “Answer Sheet” বোতামে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবে সম্পূর্ণ সমাধান।
সকল বিষয়ে সমাধান পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করো এবং সকল গাইড মোবাইলে পড়তে আমাদের অ্যাপটি ইনস্টল করে নাও। এতে তোমাদের পড়াশোনা হবে আরও সহজ ও মজার!