পঞ্চম শ্রেণি ভাবুক ছেলেটি প্রশ্নোত্তর
৫ম শ্রেণি - ভাবুক ছেলেটি

পঞ্চম শ্রেণি ভাবুক ছেলেটি প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম শ্রেণি ভাবুক ছেলেটি প্রশ্নোত্তর: ছেলেটি তেমন দুরন্ত নয়। বয়স দশ-এগারো হবে। পড়াশোনায় সে ভালো, খেলাধুলাও করে। তবে সময় পেলেই গাছ-গাছালি পর্যবেক্ষণ করে। রোদ-বৃষ্টির ব্যাপারটাও সে দেখে। আকাশে মেঘ ডাকে। বিদ্যুৎ চমকায়। বাজ পড়ে। কেন এমন হয়? অবাক বিস্ময়ে সে ভাবে। ঝড়ে গাছপালা ভেঙে গেলে বাবাকে প্রশ্ন করে।

আচ্ছা বাবা, গাছ ভেঙে গেলে, ওদেরকে কাটলে ব্যথা পায় না? ছেলের কথা শুনে মা হাসেন। বাবা কিন্তু হাসলেও ছেলের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওর বাবা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। আগে স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।

ছেলেটির বাবার বাড়ি বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে। তবে তার জন্ম ময়মনসিংহে- ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর। ওর পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়েছিল বাড়িতেই। তারপর ময়মনসিংহে স্কুল শিক্ষার ধাপ শেষ করে ভর্তি হয় কলকাতায়। ১৮৭৪ সালে সে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করে। ১৮৭৮ সালে সে এফএ পরীক্ষাতেও কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। তারপর ১৮৮০ সালে বিজ্ঞান শাখায় বিএস সি পাস করে বিলেতে যায় ডাক্তারি পড়তে। সেই ছেলেটিই বড় হয়ে বাঙালি বিজ্ঞানী হিসেবে প্রথম জগৎ জোড়া খ্যাতি অর্জন করে। সেই ভাবুক ছেলেটিই পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু।

জগদীশচন্দ্র এক বছর ডাক্তারি পড়ার পর ১৮৮১ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখান থেকে তিনি উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ১৮৮৫ সালে দেশে ফিরে এসে কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। তখন ভারতবর্ষ শাসন করত ইংরেজরা। এ সময় একজন ইংরেজ অধ্যাপক এদেশীয় একজন অধ্যাপকের চেয়ে অনেক বেশি বেতন পেতেন। জগদীশচন্দ্র অস্থায়ীভাবে চাকরি করছিলেন বলে তাঁর বেতন আরও এক ভাগ কেটে নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে তিনি দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে কর্তব্য পালন করেন। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার তাঁকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হন। সকল বকেয়া পরিশোধ করে তাঁকে চাকরিতে স্থায়ী করা হয়।

ধীরে ধীরে তিনি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু হয়ে ওঠেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে। জগদীশচন্দ্র বসু নানা বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের মধ্যে অনেক মিল আছে। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গসৃষ্টি আবিষ্কার করেন। কোনো তার ছাড়া তরঙ্গ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণে সফলতা অর্জন করেন। তারই প্রয়োগ ঘটেছে আজকের বেতার, টেলিভিশন, রাডারসহ বিশ্বের অধিকাংশ তথ্যের আদান-প্রদান এবং মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে। কিন্তু জীবদ্দশায় তিনি তাঁর এই সাফল্যের স্বীকৃতি পাননি। তাঁর করা পরীক্ষণগুলো ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের চমকে দেয়। তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ বক্তৃতা শুনে বিখ্যাত বিজ্ঞানী অলিভার লজ ও লর্ড কেলভিন তাঁকে বিলেতে অধ্যাপনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু দেশের কল্যাণের জন্যই তিনি নিজ দেশে ফিরে আসেন।

তাঁর আশ্চর্য সব আবিষ্কার দেখে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছিলেন: জগদীশচন্দ্র বসু এতগুলো আবিষ্কার না করে যদি একটি আবিষ্কারও করতেন তবু তাঁর জন্য আমাদের মূর্তি স্থাপন করতে হতো।
জগদীশচন্দ্র বাংলা ভাষাও অনেক লিখেছেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। অনেকের মতে, তাঁর লেখা ‘নিরুদ্দেশের কাহিনি’ বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। এটি পরে ‘পলাতক তুফান’ নামে তাঁর ‘অব্যক্ত’ নামক বইয়ে ছাপা হয়।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইট’ উপাধি দেন। তাই উপাধিসহ তাঁর নাম হয় স্যার জগদীশচন্দ্র বসু। সে বছরই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বসু বিজ্ঞান মন্দির। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেই বিজ্ঞান মন্দিরে গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি ক্রেসকোগ্রাফ নামের একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। এই যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি সূক্ষ্মভাবে প্রমাণ করে দেখান যে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদ প্রাণীদের মতোই সাড়া দেয়।

স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ১৯৩৭ সালের ২৩শে নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে তাঁর সফলতা বিজ্ঞানী গ্যালিলিও-নিউটনের সমকক্ষ ছিল। জগদীশচন্দ্র বসু বাংলাদেশের গৌরব। তিনি পৃথিবীকে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানের নতুন পথ।

এক নজরে এ গদ্যের মূলকথাটি জেনে নিই-

জগদীশচন্দ্র বসু বাঙালির গৌরব। তিনি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী। এই মহান বিজ্ঞানী ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার বাড়ি বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে। ময়মনসিংহে স্কুলশিক্ষার ধাপ শেষ করে তিনি কলকাতায় ভর্তি হন। শিক্ষাজীবনে কৃতিত্বের ধারা অব্যাহত রেখে তিনি ১৮৭৮ সালে এফএ পাস করেন। তারপর বিজ্ঞান শাখায় বিএস পাস করে তিনি বিলেতে যান ডাক্তারি পড়ার জন্য। এক বছর ডাক্তারি পড়ার পর ১৮৮১ সালে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সেখান থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে এসে তিনি কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। এখান থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু। তিনি নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন। তবে তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন ‘গাছেরও প্রাণ আছে’ এই সত্য প্রমাণ করে। এছাড়া তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গসৃষ্টি আবিষ্কার করেন। তাঁর পরীক্ষাগুলো ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের চমকে দেয়। দেশের প্রতিও তাঁর ভালোবাসা অপরিসীম। তাই বিলেতে অধ্যাপনার আমন্ত্রণ পেয়েও তা তিনি ফিরিয়ে দেন। তাঁর লেখা নিরুদ্দেশের কাহিনী’ বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইট’ উপাধি দেন এবং তখন থেকেই তাঁর নামের আগে ‘স্যার’ যুক্ত হয়। অধ্যাপনা থেকে অবসরগ্রহণ করে তিনি ‘জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই বিজ্ঞান মন্দিরেই গবেষণা চালিয়ে যান। তিনি ১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর ভারতের গিরিডিতে মারা যান।

পঞ্চম শ্রেণি ভাবুক ছেলেটি প্রশ্নোত্তর:

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
পরীক্ষণ, পাণ্ডিত্যপূর্ণ, এফএ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, প্রবেশিকা;
উত্তর:
পরীক্ষণ – যাচাই করা বা বিশ্লেষণ করা।
পাণ্ডিত্যপূর্ণ – জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাপূর্ণ।
এফএ – (ফাইন আর্টস) আজকের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার সমতুল্য।
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি – একপ্রকার কল্পকাহিনি আছে, যা বিজ্ঞানকে প্রধান করে লেখা হয়, তাকে বলা হয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি।
প্রবেশিকা – আজকের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা। প্রবেশিকা পাস করলে কলেজে প্রবেশ করা যেত। তাই নাম হয়েছিল প্রবেশিকা।

২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
কল্পকাহিনি, আবিষ্কার, কল্যাণ, পাণ্ডিত্যপূর্ণ, দূরন্ত, পদার্থবিজ্ঞানের, বিস্ময়ে, বাড়িতে, অতিক্ষুদ্র, কর্তব্য, প্রাণী জীবনের;
ক. তাঁর ___ বক্তৃতা শুনে তাঁকে অধ্যাপনা করার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
খ. দেশের ___ করার জন্যই তিনি নিজ দেশে ফিরে আসেন।
গ. জগদীশচন্দ্র বসুর আশ্চর্য সব ___ দেখে আইনস্টাইন মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ঘ. জগদীশচন্দ্র বসুর ‘নিরুদ্দেশের কাহিনি’ বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বৈজ্ঞানিক ___ ।
ঙ. ছেলেটি তেমন ___ নয়।
চ. মেঘ ডেকে আকাশে বিদ্যুৎ চমকে বাজ পড়লে অবাক ___ ভাবে।
ছ. ওর পড়াশোনার শুরু ___ ।
জ. প্রেসিডেন্সি কলেজে ___ অধ্যাপক পদে যোগ দেন।
ঝ. প্রতিবাদে তিনি দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে ___ পালন করেন।
ঞ. তিনি দেখিয়েছিলেন যে, উদ্ভিদ ও ___ মধ্যে অনেক মিল আছে।
ট. তিনি ___ তরঙ্গসৃষ্টি আবিষ্কার করেন।
উত্তর: 
ক. তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ বক্তৃতা শুনে তাঁকে অধ্যাপনা করার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
খ. দেশের কল্যাণ করার জন্যই তিনি নিজ দেশে ফিরে আসেন।
গ. জগদীশচন্দ্র বসুর আশ্চর্য সব আবিষ্কার দেখে আইনস্টাইন মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ঘ. জগদীশচন্দ্র বসুর ‘নিরুদ্দেশের কাহিনি’ বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি
ঙ. ছেলেটি তেমন দূরন্ত নয়।
চ. মেঘ ডেকে আকাশে বিদ্যুৎ চমকে বাজ পড়লে অবাক বিস্ময়ে ভাবে।
ছ. ওর পড়াশোনার শুরু বাড়িতে
জ. প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে যোগ দেন।
ঝ. প্রতিবাদে তিনি দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে কর্তব্য পালন করেন।
ঞ. তিনি দেখিয়েছিলেন যে, উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের মধ্যে অনেক মিল আছে।
ট. তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গসৃষ্টি আবিষ্কার করেন।

৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি ও বলি।

ক. ভাবুক ছেলেটি আসলে কে ছিলেন?
উত্তর: ভাবুক ছেলেটি আসলে ছিলেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু।

খ. তিনি ছোটবেলায় কী কী নিয়ে ভাবতেন?
উত্তর: জগদীশচন্দ্র বসু ছোটবেলায় তাঁর চারপাশের প্রকৃতিকে অবাক বিস্ময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন। আকাশে মেঘ ডাকে। বিদ্যুৎ চমকায়। বাজ পড়ে। তিনি অবাক বিস্ময়ে ভাবেন কেন এমন হয়। ঝড়ে গাছপালা ভেঙে গেলে তিনি ভাবেন, গাছ ভেঙে গেলে, ওদেরকে কাটলে ওরা ব্যথা পায় কিনা।

গ. তিনি কবে, কোথা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন?
উত্তর: তিনি ১৮৭৪ সালে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

ঘ. জগদীশচন্দ্র বসু কী যন্ত্র আবিষ্কার করেন? এটি দিয়ে তিনি কী প্রমাণ করেন?
উত্তর: জগদীশচন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ নামের একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। এই যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি সূক্ষ্মভাবে প্রমাণ করে দেখান যে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদ প্রাণীদের মতোই সাড়া দেয়।

ঙ. বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে তাঁর সফলতাকে কোন কোন নামকরা বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর: বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে তাঁব সফলতাকে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ও নিউটনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

চ. তাঁর সম্পর্কে আইনস্টাইন কী বলেছিলেন? কেন বলেছিলেন?
উত্তর: ‘তাঁর প্রতিটি আবিষ্কার বিজ্ঞানজগতে এক একটি বিজয়স্তম্ভ।’ – এমন কথা বলেছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন।
জগদীশচন্দ্র বসুই প্রথম আবিষ্কার করেন, গাছের প্রাণ আছে। তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গসৃষ্টি আবিষ্কার করেন। কোনো তার ছাড়া তরঙ্গ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণে সফলতা অর্জন করেন। তাঁর প্রতিটি আবিষ্কার বিজ্ঞানজগতে এক-একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে, বিজয়ের সূচনা করে। এ কারণে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এ কথা বলেছিলেন।

পঞ্চম শ্রেণি ভাবুক ছেলেটি প্রশ্নোত্তর:

৪. ঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দিই।

ক. কোন সত্যটি প্রমাণ করে জগদীশচন্দ্র বসু বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
১. গাছের প্রাণ আছে ✓
২. অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করে
৩. মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে
৪. বেতার এবং টেলিভিশন আবিষ্কারের মাধ্যমে

খ. জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে কোন বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন?
১. বাংলা
২. পদার্থবিজ্ঞান ✓
৩. ইংরেজি-
৪. গণিত

গ. জগদীশচন্দ্র বসু কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
১. ময়মনসিংহ ✓
২. ঢাকা
৩. কুমিল্লা
৪. ফরিদপুর

ঘ. ‘জগদীশচন্দ্র বসুর প্রতিটি আবিষ্কার বিজ্ঞানজগতে এক একটি বিজয়স্তম্ভ’ কথাটি কে বলেছিলেন?
১. বিজ্ঞানী অলিভার লজ
২. বিজ্ঞানী লর্ড কেলভিন
৩. বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ✓
৪. বিজ্ঞানী গ্যালিলিও

৫. কথাগুলো বুঝে নিই।

শিক্ষার ধাপ – প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটার পর একটা শিক্ষার ধাপ।

বকেয়া পরিশোধ – কারো নিকট কোনো টাকা-পয়সা পাওনা থাকলে যদি সময়মতো দেওয়া না হয় তখন তা বকেয়া হয়ে যায়। পরে যদি আগের পাওনা দিয়ে দেওয়া হয় তবে তাকে বলে বকেয়া পরিশোধ।

অন্যতম – অনেকের মধ্যে একজনকে বলা হয় অন্যতম। কোনো কিছুকে বিশেষভাবে বোঝানোর জন্য ‘অন্যতম’ শব্দটি ব্যবহার করা যায়।

তথ্যের আদান-প্রদান – সংবাদ, প্রকৃত অবস্থা বা সত্যের আদান-প্রদান। আজকের দিনে লিখে, ছাপিয়ে অথবা বেতার, টেলিভিশন, ফোন, ইন্টারনেটের সাহায্যে যত কিছু পাওয়া যায়, পাঠানো যায় তার সবই তথ্যের আদান-প্রদান।

নাইট উপাধি – নাইট উপাধি ব্রিটিশ রাজা বা রানির দেওয়া অত্যন্ত সম্মানজনক উপাধি। এ উপাধি যাঁরা পান তাঁদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করা হয়।

পঞ্চম শ্রেণি ভাবুক ছেলেটি প্রশ্নোত্তর:

৬. কর্ম-অনুশীলন।
‘বিজ্ঞান শিক্ষাই সভ্যতা বিনির্মাণের একমাত্র হাতিয়ার’- বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকের সহায়তায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি।
উত্তর: শিক্ষকের সহায়তায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কর।

ইবন আল-হাইথাম সম্পর্কে ১০টি বাক্য:

i) ইবন আল-হাইথাম (৯৬৫-১০৪০ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন একজন প্রখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী, গণিতজ্ঞ ও দার্শনিক।

ii) তিনি অপটিক্স (আলোবিজ্ঞান) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছিলেন এবং আধুনিক ক্যামেরার ভিত্তি স্থাপন করেন।

iii) তাকে “আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক” এবং “আলোর জনক” বলা হয়।

iv) তার বিখ্যাত গ্রন্থ “কিতাব আল-মানাজির” (Book of Optics) ইউরোপের বিজ্ঞানীদের উপর বিশাল প্রভাব ফেলে।

v) তিনি প্রথম ব্যাখ্যা দেন যে, আলো চোখ থেকে বের হয় না, বরং বাইরের বস্তু থেকে প্রতিফলিত হয়ে চোখে প্রবেশ করে।

vi) তার গবেষণা পরবর্তীতে ক্যামেরা অবস্কিউরার (Camera Obscura) আবিষ্কারের ভিত্তি তৈরি করে।

vii) গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেও তার অবদান ছিল।

viii) তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির (Scientific Method) অন্যতম পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত।

ix) তিনি বাগদাদে বসবাস করতেন এবং সেখানে তার গবেষণাগুলো পরিচালনা করেন।

x) তার কাজ পরবর্তীতে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের, বিশেষ করে রজার বেকন ও কেপলারের গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুন: শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতার প্রশ্নোত্তর

আরও পড়ুন: দুই তীরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রশ্নোত্তর

Codehorse App

Check Also

পঞ্চম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

পঞ্চম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় বর্ণনামূলক প্রশ্ন

পঞ্চম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় বর্ণনামূলক প্রশ্ন: প্রায় চার হাজার বছর আগের কথা। ইরাক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *