তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
৩য় শ্রেণি - বিজ্ঞান

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ পানি প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ পানি প্রশ্ন উত্তর: পৃথিবীর মানচিত্রটি দেখি। কী মনে হয়? পৃথিবীর উপরি ভাগের চার ভাগের প্রায় তিন ভাগই পানি। কিন্তু এসব পানি ব্যবহার উপযোগী নয়। তাই না? কেন? ভেবে দেখি।

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ পানি প্রশ্ন উত্তর:


অধ্যায় ৭ : পানি


১। শূন্যস্থান পূরণ করি।

ক) সমুদ্র হলো পানির…… উৎস।
খ) যে পানিতে লবণ থাকে, তাকে……. পানি বলে।
গ) উৎসের ভিত্তিতে পানিকে……. ভাগ করা যায়।
ঘ) হাত বা মুখ ধোয়ার পর পানির কলটি বন্ধ করে পানির…….. রোধ করতে পারি।
উত্তর: ক) প্রধান; খ) লবণাক্ত; গ) দুইভাগ; ঘ) অপচয়।



২। বামপাশের শব্দগুচ্ছের সাথে ডান পাশের শব্দের মিল করি।

বাম ডান
বৃষ্টির পানি
পুকুর
অনিরাপদ পানি
লবণাক্ত পানি
নিরাপদ পানি
সাগরের পানি
লাল রঙ করা নলকূপের পানি
ফুটানো পানি
মানুষের তৈরি পানির উৎস
পানির প্রাকৃতিক উৎস

উত্তর:

১. বৃষ্টির পানি পানির প্রাকৃতিক উৎস।
২. পুকুর মানুষের তৈরি পানির উৎস।
৩. অনিরাপদ পানি লাল রঙ করা নলকূপের পানি।
৪. লবণাক্ত পানি সাগরের পানি।
৫. নিরাপদ পানি ফুটানো পানি।



৩। সঠিক উত্তরের পাশে টিক (✔) চিহ্ন দাও।

১) নিচের কোনগুলো পানির প্রাকৃতিক উৎস?
ক) বৃষ্টি, পুকুর, খাল-বিল
খ) পুকুর, পানির কল, নদী
গ) সাগর, নলকূপ, কুয়া
ঘ) বৃষ্টি, নদী, সাগর√

২) নিচের কোন পানি পান করা নিরাপদ নয়?
ক) বোতলে প্রক্রিয়াজাত করা পানি
খ) সবুজ রঙ করা নলকূপের পানি
গ) লাল রঙ কুরা নলকূপের পানি√
ঘ) তাপ দিয়ে ফুটানো পানি

৩) নিচের কোনটি পানির অপচয় নয়?
ক) কাপড় ধোয়ার সময় অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা
খ) দাঁত ব্রাশ করার সময় পানির কল ছেড়ে রাখা
গ) হাত মুখ ধোয়ার পর কলটি বন্ধ রাখা√
ঘ) ব্যবহারের পর পানির কলটি চালু রাখা



৪। সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন

ক. মানুষের তৈরি পানির দুইটি উৎসের নাম লিখি।
উত্তর: মানুষের তৈরি পানির দুইটি উৎসের নাম হলো-
১) পুকুর ও
২) নলকূপ।

খ. পানি না থাকলে আমাদের জীবনে হতে পারে এমন দুইটি সমস্যার কথা লিখি।
উত্তর: পানি না থাকলে আমাদের জীবনে হতে পারে এমন দুইটি সমস্যা হলো-
১) পানি না থাকলে আমরা এক দিনও বেঁচে থাকতে পারতাম না।
২) পানি না থাকলে আমরা জমিতে চাষাবাদ করতে পারতাম না।

গ. দৈনন্দিন জীবনে পানির দুইটি ব্যবহার লিখি।
উত্তর : দৈনন্দিন জীবনে পানির দুইটি ব্যবহার হলো-
১) পানি ব্যববহার করে আমরা রান্নার কাজ করি।
২) জমিতে চাষাবাদ করতে পানি ব্যবহার করি।



৫। বর্ণনামূলক প্রশ্ন

ক. পানি অপচয়ের চারটি কারণ লিখি।
উত্তর: পানি অপচয়ের চারটি কারণ হলো-
১. দাঁত ব্রাশ করার সময় পানির কল ছেড়ে রাখা;
২. কাপড় ধোয়ার সময় অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা;
৩. ব্যবহারের পর পানির কল বন্ধ না রাখা;
৪. অপ্রয়োজনে টয়লেট ফ্লাশ ব্যবহার করা।

খ. পানির অপচয় রোধে আমাদের চারটি করণীয় লিখি।
উত্তর: পানি অপচয় রোধে আমাদের চারটি করণীয় হলো-
১. বালতিতে পানি ভরে থালাবাসন ধোয়া;
২. ব্যবহারের পর পানির কল বন্ধ রাখা;
৩. ব্যবহারের পর অবশিষ্ট পানি গাছপালার গোড়ায় ঢালা;
৪. ছিদ্রযুক্ত পাইপ দ্রুত মেরামত করা।

গ. লবণাক্ততার ভিত্তিতে নিচের পানির উৎসগুলোকে শ্রেণিকরণ করি।
ঝরনা, নদী, পুকুর, সমুদ্র, মহাসাগর
উত্তর: লবণাক্ততার ভিত্তিতে উল্লেখিত পানির উৎসগুলোকে শ্রেণিকরণ করা হলো-

মিঠা বা স্বাদু পানির উৎস-ঝরনা, নদী, পুকুর

লবণাক্ত পানির উৎস-সমুদ্র, মহাসমুদ্র

ঘ. পানির অপচয় রোধ করা কেন প্রয়োজন?
উত্তর : পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠের চার ভাগের তিন ভাগই হলো পানি। পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকলেও পানের যোগ্য পানি খুবই কম। আমাদের জনসংখ্যা যত বাড়ছে, মানুষ তত বেশি পানি ব্যবহার করছে। তাই ব্যবহারযোগ্য পানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এজন্য পানির যথাযথ ব্যবহারে আমাদের যত্নশীল হতে হবে এবং পানির অপচয় রোধ করতে হবে।



অতিরিক্ত শূন্যস্থান

১. পৃথিবীর উপরিভাগের……. প্রায় তিনভাগই পানি।
২. পানির উৎসগুলো…….. ভাগে ভাগ করা যায়।
৩. প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত পানির মধ্যে…….. পানিই সবচেয়ে বিশুদ্ধ।
৪. …….. উপরের পানিই হলো ভূ-পৃষ্ঠের পানি।
৫. পান করার জন্য মানুষের……. পানি প্রয়োজন।
উত্তর: ১. চারভাগের; ২. দুই; ৩. বৃষ্টির; ৪. মাটির; ৫. নিরাপদ।



অতিরিক্ত মিলকরণ

১. বাম পাশ থেকে শব্দ বা বাক্যাংশ নিয়ে ডান পাশের সাথে মিল কর।

বাম পাশ ডান পাশ
১. বেঁচে থাকার জন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের
২. বৃষ্টি, নদী-নালা, হ্রদ
৩. নলকূপ, পুকুর, কুয়া
৪. মাটি, পানি, বায়ু
৫. আর্সেনিকযুক্ত পানি
১. মানুষের তৈরি পানির উৎস।
২. নিরাপদ নয়।
৩. প্রাকৃতিক সম্পদ।
৪. পানি প্রয়োজন।
৫. পানির প্রাকৃতিক উৎস।
৬. নিরাপদ

 

উত্তর:

১. বেঁচে থাকার জন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের পানি প্রয়োজন।
২. বৃষ্টি, নদী-নালা, হ্রদ পানির প্রাকৃতিক উৎস।
৩. নলকূপ, পুকুর, কুয়া মানুষের তৈরি পানির উৎস।
৪. মাটি, পানি, বায়ু প্রাকৃতিক সম্পদ।
৫. আর্সেনিকযুক্ত পানি নিরাপদ নয়।


অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি

১. মানুষের শরীরে পানির পরিমাণ কত?
ক. ৬০-৭০%√
খ. ৭০-৮০%
গ. ৮০-৯০%
ঘ. ৯০-১০০%

২. পৃথিবী পৃষ্ঠের চার ভাগের কতভাগ পানি দ্বারা ঢাকা?
ক. এক
খ. দুই
গ. তিন√
ঘ. সাড়ে তিন

৩. প্রাকৃতিক কোন উৎসের পানি অধিক নিরাপদ?
ক. নলকূপ
খ. পুকুর
গ. নদী
ঘ. বৃষ্টি√


অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত

১. পানির উৎস কাকে বলে?
উত্তর: আমরা যে সব স্থান থেকে পানি পাই, তাদেরকে পানির উৎস বলে। যেমন- বৃষ্টি, পুকুর, নদী-নালা, খাল-বিল ইত্যাদি।

২. পানির চারটি উৎসের নাম লেখ।
উত্তর: পানির চারটি উৎসের নাম হলো-
১. বৃষ্টি, ২. পুকুর; ৩. পানির কল এবং ৪. কুয়া।

৩. পানির উৎসগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: পানির উৎসগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন- প্রাকৃতিক উৎস ও মানুষের তৈরি উৎস।

৪. মানুষের তৈরি পানির উৎসগুলো কী কী?
উত্তর : মানুষের তৈরি পানির উৎসগুলো হলো পুকুর, কুয়া, নলকূপ এবং পানির কল।

৫. বাসাবাড়িতে বা অন্যত্র যে পানি ব্যবহার করা হয় তা কোথা থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর : বাসাবাড়িতে বা অন্যত্র যে পানি ব্যবহার করা হয় তা নলকূপ, পুকুর, নদী ও পানির কল থেকে পাওয়া যায়।


অতিরিক্ত বর্ণনামূলক

১. পানির উৎসকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? সংক্ষেপে প্রতিটি উৎস বর্ণনা কর।
উত্তর : পানির উৎসকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১। প্রাকৃতিক উৎস
২। মানুষের তৈরি উৎস

পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলোর বর্ণনা
বৃষ্টির পানি: বৃষ্টির পানি পুকুর, নদী, হাওর, খাল-বিল, হ্রদ ইত্যাদিতে জমা হয়। বৃষ্টির পানি ভূ-পৃষ্ঠ এবং ভূ-গর্ভস্থ পানি হিসাবে পৃথিবীতে জমা হয়।
ভূ-পৃষ্ঠের পানি: মাটির উপরের পানিই হলো ভূ-পৃষ্ঠের পানি। যেমন- সাগর, মহাসাগর, নদী, পুকুর ইত্যাদি।
ভূগর্ভস্থ পানি: সমতল অঞ্চলে আমরা কূপ খনন করে এবং নলকূপের মাধ্যমে যে পানি পাই, তা হলো ভূগর্ভস্থ পানি। বৃষ্টির পানি ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়ে ধীরে ধীরে মাটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জমা হয়। এই পানি ভূগর্ভস্থ পানি।
মানুষের তৈরি পানির উৎস: মানুষের তৈরি পুকুর, কুয়া, নলকূপ এবং পানির কল থেকে আমরা পানি পাই।

২. পানির উৎসগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? উৎসগুলোর নাম লেখ। পানির প্রাকৃতিক উৎস ও মানুষের তৈরি উৎসের চারটি করে নাম ছকে লেখ।
উত্তর: পানির উৎসগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. প্রাকৃতিক উৎস ও
২. মানুষের তৈরি উৎস।
পানির প্রাকৃতিক উৎস ও মানুষের তৈরি উৎসের চারটি করে নাম ছকে লেখা হলো :

প্রাকৃতিক উৎস
১. নদী-নালা
২. বৃষ্টি
৩. খাল-বিল
৪. হ্রদ

মানুষের তৈরি উৎস
১. পুকুর
২. কুয়া
৩. নলকূপ
৪. পানির কল

৩. পানি কোন ধরনের সম্পদ? মিঠা বা স্বাদু পানির তিনটি উৎসের নাম লেখ। পানির তিনটি ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তর : পানি প্রাকৃতিক সম্পদ।
মিঠা বা স্বাদু পানির তিনটি উৎস হলো-
১. বৃষ্টির পানি;
২. কুয়ার পানি;
৩. আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের পানি।
পানির তিনটি ব্যবহার-
১. আমরা পানি পান করি;
২. আমরা গোসল করতে পানি ব্যবহার করি;
৩. ফসলের জমিতে সেচের কাজে পানি ব্যবহার করি।


সকল বিষয়ের সমাধান ও সাজেশন পেতে আমাদের 👉 অ্যাপটি ইন্সটল করো ও 👉 YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনটি প্রেস করে রাখো !


Read More: তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ বস্তুর উপর বলের প্রভাব

Read More: তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ মাটি প্রশ্ন উত্তর

Codehorse App

Check Also

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ তথ্য ও যোগাযোগ

তৃতীয় শ্রেণীর বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ তথ্য ও যোগাযোগ: তথ্য হচ্ছে কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ঘটনা-সম্পর্কিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *