পঞ্চম শ্রেণি আমাদের অর্থনীতি: কৃষি ও শিল্প
পঞ্চম শ্রেণি: আমাদের অর্থনীতি: কৃষি ও শিল্প

আমাদের অর্থনীতি কৃষি ও শিল্প পঞ্চম শ্রেণি

আমাদের অর্থনীতি কৃষি ও শিল্প পঞ্চম শ্রেণি: বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের চাহিদা পূরণ এবং রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ চাষাবাদ ও ফসল উৎপাদনের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হলেও এদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কৃষির পাশাপাশি শিল্পও গুরুত্বপূর্ণ – ভূমিকা পালন করে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানার জন্য আমরা দেশের কৃষি ও শিল্প সম্পর্কে জানব।

আমাদের অর্থনীতি কৃষি ও শিল্প পঞ্চম শ্রেণি:

অল্প কথায় উত্তর দাও :

প্রশ্ন ১। আমাদের দেশের পাঁচটি শস্যের নাম লেখ।
উত্তর: আমাদের দেশের পাঁচটি শস্য হলো- ১. ধান, ২. গম, ৩. ডাল, ৪. আলু ও ৫. তৈলবীজ।

প্রশ্ন ২। বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর: বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ শিল্প হলো- ১. বস্ত্র শিল্প, ২. পোশাক শিল্প ও ৩. পাট শিল্প।

প্রশ্ন ৩। বাংলাদেশের তিনটি কুটির শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর: বাংলাদেশের তিনটি কুটির শিল্প হলো- ১. কাঠ শিল্প, ২. কাঁসা শিল্প ও ৩. মৃৎ শিল্প।

প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

প্রশ্ন ১। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি আমাদের কীভাবে সহায়তা করে?
উত্তর: বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের চাহিদা পূরণ এবং রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ চাষাবাদ এবং ফসল উৎপাদনের সাথে জড়িত। মোট জাতীয় আয়ের শতকরা প্রায় ২০ ভাগ আসে কৃষি থেকে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক প্রধান তিনটি কৃষিদ্রব্য সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-
পাট: পাট হলো আমাদের প্রধান অর্থকরী ফসল। বিশ্বে ভারতের পরে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয়। পাট রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
চা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাপন করে। বাংলাদেশে চায়ের বিশেষ সুনাম থাকায় বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে। চা রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
তামাক: বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে তামাক চাষ হয়। বাংলাদেশে উৎপন্ন তামাকের বেশিরভাগ রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তামাক মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

প্রশ্ন ২। আমাদের পোশাক শিল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বর্ণনা কর।
উত্তর: বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পোশাক শিল্প। বাংলাদেশে মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি, করার মাধ্যমে। বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় লক্ষ লক্ষ নারী ও পুরুষ কাজ করে। তাদের তৈরি পোশাক বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিক থেকে বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পের অবস্থান সবার শীর্ষে।

প্রশ্ন ৩। বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের পার্থক্য নিচে দেখানো হলো-

বৃহৎ শিল্প ক্ষুদ্র শিল্প
যেসব প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ মূলধন, অনেক শ্রমিক, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দ্রব্য উৎপাদন করে, তাকে বৃহৎ শিল্প বলে। যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে অল্পসংখ্যক শ্রমিক, হালকা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের দ্বারা দ্রব্য উৎপাদন করা হয়, সেগুলোকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে।
সার শিল্প, সিমেন্ট শিল্প, ওষুধ শিল্প, কাগজ শিল্প, চিনি শিল্প ইত্যাদি বৃহৎ শিল্পের উদাহরণ। বিড়ি শিল্প, তাঁত শিল্প, রেশম শিল্প, মৃৎ শিল্প, কাঁসা শিল্প, কাঠ শিল্প ইত্যাদি ক্ষুদ্র শিল্পের উদাহরণ।

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:

১. সংক্ষেপে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

প্রশ্ন ১। অর্থকরী ফসল কাকে বলে?
উত্তর: যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা হয় তাকে অর্থকরী ফসল বলে।

প্রশ্ন ২। তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে কেন?
উত্তর: তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে কারণ তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

প্রশ্ন ৩। বাংলাদেশের শতকরা কত ভাগ মানুষ কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে?
উত্তর: বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।

প্রশ্ন ৪। বাংলাদেশের প্রধান দুইটি খাদ্যশস্যের নাম লেখ।
উত্তর: বাংলাদেশের প্রধান দুইটি খাদ্যশস্যের নাম হলো-ধান, গম।

প্রশ্ন ৫। কাদের উপার্জিত অর্থ দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে?
উত্তর: পোশাক শ্রমিকদের উপার্জিত অর্থ দেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ করেছে।

প্রশ্ন ৬। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে গম উৎপাদন বেশি হয়?
উত্তর: বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে গম উৎপাদন বেশি হয়।

প্রশ্ন ৭। চাষাবাদের জন্য আমাদের দেশের মাটি উপযোগী কেন?
উত্তর: চাষাবাদের জন্য আমাদের দেশের মাটি উপযোগী কারণ বাংলাদেশ একটি উর্বর ব-দ্বীপ অঞ্চল।

প্রশ্ন ৮। খাবার সুস্বাদু করতে আমরা কী ব্যবহার করি?
উত্তর: খাবার সুস্বাদু করতে আমরা খাবারে বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করি।

প্রশ্ন ৯। বাংলাদেশের দুইটি বৃহৎ শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর: বাংলাদেশের দুইটি বৃহৎ শিল্পের নাম হলো- সার শিল্প ও সিমেন্ট শিল্প।

প্রশ্ন ১০। কোন শস্যটি আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয়?
উত্তর: ধান শস্যটি আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন ১১। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থকরী ফসল কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলের মধ্যে পাট, চা, তুলা, রেশম, ও রাবার উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন ১২। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোন শিল্পটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: পোশাক শিল্প।

প্রশ্ন ১৩। বাংলাদেশের কোন কাপড়টি জগৎ বিখ্যাত ছিল?
উত্তর: বাংলাদেশের মসলিন কাপড় জগৎ বিখ্যাত ছিল।

প্রশ্ন ১৪। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য কী?
উত্তর: বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান।

প্রশ্ন ১৫। বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্য কী?
উত্তর: বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্য ডাল।

প্রশ্ন ১৬। কোনটি বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কী?
উত্তর: পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।

প্রশ্ন ১৭। বিশ্বের কোন দেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয়?
উত্তর: ভারতে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন ১৮। বাংলাদেশে কী কী বৃহৎ শিল্প রয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশে পোশাক, সার, সিমেন্ট, ওষুধ, কাগজ, চিনি ইত্যাদি বৃহৎ শিল্প রয়েছে।

আমাদের অর্থনীতি কৃষি ও শিল্প পঞ্চম শ্রেণি:

২. সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর।

১। পাট আমাদের প্রধান ___ ফসল।
২। ভাত বাংলাদেশের মানুষের___খাদ্য।
৩। রংপুর জেলায়___ চাষ বেশি হয়।
৪। আমরা___দিয়ে ব্যাগ, কার্পেট এমনকি বস্ত্রও তৈরি করি।
৫। খাবারকে সুস্বাদু করতে আমরা খাবারে বিভিন্ন ধরনের___ব্যবহার করি।
৬। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির শতকরা___ভাগ আসে কৃষি থেকে।
৭। বাংলাদেশ একটি উর্বর ___অঞ্চল।
৮। বিশ্বে ভারতের পরে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয়___।
৯। বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত মাছের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো___।
১০। বাংলাদেশের কাগজ কলগুলোতে ___থেকে কাগজ তৈরি করা হয়।
১১। বাংলাদেশের___জেলায় তামাক বেশি উৎপন্ন হয়।
১২। বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল___।
১৩। আমাদের প্রধান ফসল হলো___।
১৪। টাঙ্গাইল জেলার কাগমারি ও ঢাকা জেলার ধামরাই___ শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

উত্তরমালা: ১। অর্থকরী; ২। প্রধান; ৩। তামাক; ৪। পাট; ৫। মসলা; ৬। ২০; ৭। ব-দ্বীপ; ৮। বাংলাদেশে; ৯। হিমায়িত চিংড়ি/ হিমায়িত মাছ; ১০। গাছের গুঁড়ি; ১১। রংপুর; ১২। পাট; ১৩। ধান; ১৪। কাঁসা।

৩. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।

প্রশ্ন ১। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর:

বাম পাশ ডান পাশ
(ক) বাংলাদেশ একটি কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।
(খ) জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ ব-দ্বীপ অঞ্চল।
(গ) বর্তমানে দেশের চাহিদা পূরণ করেও প্রায় ২০ ভাগ আসে কৃষি থেকে।
(ঘ) বাংলাদেশ একটি উর্বরা মালভূমি অঞ্চল।
(ঙ) বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের শতকরা বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে।
শহরে বাস করে।
কৃষিপ্রধান দেশ।

উত্তরমালা:
(ক) বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ।
(খ) জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।
(গ) বর্তমানে দেশের চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে
(ঘ) বাংলাদেশ একটি উর্বর ব-দ্বীপ অঞ্চল।
(ঙ) বাংলাদেশে মোট জাতীয় অর্থনীতির শতকরা প্রায় ২০ ভাগ আসে কৃষি থেকে।

৪. নিচের কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

প্রশ্ন ১। পোশাক শিল্প কী? এ শিল্প গুরুত্বপূর্ণ কেন? পোশাক শিল্পের চারটি গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: যে শিল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোশাক উৎপাদন করা হয় তাকে পোশাক শিল্প বলা হয়। পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই শিল্প থেকেই বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহ ভাগ আসে। পোশাক শিল্পের চারটি গুরুত্ব-
১. পোশাক শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।
২. বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ পোশাক শিল্প থেকে আসে।
৩. লক্ষ লক্ষ নারী ও পুরুষের কাজের সুযোগ হয় পোশাক শিল্পে।
৪. পোশাক শিল্পে কাজ করে নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে।

প্রশ্ন ২। বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানত কী নির্ভর? কৃষি জমি কমে যাচ্ছে কেন? কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির চারটি উপায় লেখ।
উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিনির্ভর। অতিরিক্ত জনসংখ্যার বসতি স্থাপনের কারণে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির চারটি উপায় হলো-
১. কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
২. কৃষকদের সহজ শর্তে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
৩. আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করা।
৪. উৎপাদিত ফসল ন্যায্যমূল্যে বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা।

প্রশ্ন ৩। কৃষিজীবী কারা? বাংলাদেশকে কৃষিপ্রধান দেশ বলা হয় কেন? কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে তোমার চারটি পরামর্শ লেখ।
উত্তর: কৃষিকাজের মাধ্যমে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাদেরকে কৃষিজীবী বলা হয়। বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন বলে বাংলাদেশকে কৃষিপ্রধান দেশ বলা হয়।
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে চারটি পরামর্শ হলো-
১. কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
২. কৃষকদের সহজ শর্তে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
৩. আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করা।
৪. উৎপাদিত ফসল ন্যায্যমূল্যে বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা।

প্রশ্ন ৪। রপ্তানি কী? রপ্তানি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন কেন? আমরা রপ্তানি করি এমন চারটি দ্রব্যের নাম লেখ।
উত্তর: উৎপাদিত পণ্য দেশের চাহিদা মিটানোর পর অতিরিক্ত পণ্য বিদেশে বিক্রি করাকে রপ্তানি বলে।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমরা রপ্তানি করি এমন চারটি পণ্য হলো-
১. তৈরি পোশাক।
২. চামড়াজাত দ্রব্য।
৩. পাট ও পাটজাত দ্রব্য
৪. চা।

প্রশ্ন ৫। আমাদের দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি খাদ্যশস্যের চাষ বেশি হয় এবং দিন দিন এটি প্রসার লাভ করছে। ফসলটির নাম কী? কোন ঋতুতে এটি চাষ করা হয়? ফসলটির গুরুত্ব সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: ফসলটির নাম গম। শীত ঋতুতে এটি চাষ করা হয়। ফসলটির গুরুত্ব সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. গম আমাদের দেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য।
২. গমের আটা দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি করা হয়।
৩. গম খাবারের চাহিদা পূরণ করে।
৪. গমের তৈরি খাবার শরীরের পুষ্টি উপাদান যোগায়।

প্রশ্ন ৬। পাট কী? পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয় কেন? পাটের চারটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। পাটের রং সোনালি এবং এটি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় বলে পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়। পাটের চারটি ব্যবহার হলো-
১. পাট দিয়ে রশি তৈরি হয়।
২. পাট দিয়ে বস্তা তৈরি হয়।
৩. পাট দিয়ে কার্পেট তৈরি হয়।
৪. পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ তৈরি হয়।

প্রশ্ন ৭। অর্থকরী ফসল কাকে বলে? পাটকে প্রধান অর্থকরী ফসল বলা হয় কেন? পাট দিয়ে তৈরি চারটি দ্রব্যের নাম লেখ।
উত্তর: যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলে। পাট ও পাটজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে তাই পাটকে প্রধান অর্থকরী ফসল বলে। পাট দিয়ে তৈরি চারটি দ্রব্য হলো-
১. চটের বস্তা।
২. পাটের তৈরি সৌখিন ব্যাগ।
৩. শিকা ও নানারকম সৌখিন দ্রব্য।
৪. পাটের দড়ি।

প্রশ্ন ৮। রপ্তানি কী? রপ্তানি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন কেন? আমরা রপ্তানি করি এমন চারটি দ্রব্যের নাম লেখ।
উত্তর: উৎপাদিত পণ্য দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত পণ্য বিদেশে বিক্রি করাকে রপ্তানি বলে।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
আমরা রপ্তানি করি এমন চারটি পণ্য হলো-
১. তৈরি পোশাক।
২. চামড়াজাত দ্রব্য।
৩. পাট ও পাটজাত দ্রব্য
৪. চা।

প্রশ্ন ৯। কুটির শিল্প কী? এটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? আমাদের দেশের চারটি কুটির শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর: যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটির শিল্প বলে। কুটির শিল্প মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটায়, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে বলে তা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের চারটি কুটির শিল্পের নাম হলো-
১. তাঁত শিল্প,
২. রেশম শিল্প,
৩. কাঁসা শিল্প ও
৪. কাঠ শিল্প।

আরও পড়ুন: আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পঞ্চম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৫ জনসংখ্যা

Codehorse App

Check Also

পঞ্চম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

পঞ্চম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় বর্ণনামূলক প্রশ্ন

পঞ্চম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় বর্ণনামূলক প্রশ্ন: প্রায় চার হাজার বছর আগের কথা। ইরাক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *