পঞ্চম শ্রেণি কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা
৫ম শ্রেণি - কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা

পঞ্চম শ্রেণি কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা

পঞ্চম শ্রেণি কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা: অনেক দিন আগের কথা। এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজার একটাই পুত্র। রাজপুত্রের সঙ্গে সেই রাজ্যের রাখাল ছেলের খুব ভাব। দুই বন্ধু পরস্পরকে খুব ভালোবাসে। রাখাল মাঠে গরু চরায়, আর রাজপুত্র গাছতলায় বসে তার জন্য অপেক্ষা করে। নিঝুম দুপুরে রাখাল বাঁশি বাজায়। রাজপুত্র তার বন্ধু রাখালের পাশে বসে সেই সুর শোনে। বন্ধুর জন্য বাঁশি বাজিয়ে রাখাল বড়ো সুখ পায়। আর তা শুনে রাজপুত্রের মন খুশিতে নেচে ওঠে। রাজপুত্র বন্ধুর কাছে প্রতিজ্ঞা করে, বড়ো হয়ে রাজা হলে রাখালকে তার মন্ত্রী বানাবে।

তারপর একদিন রাজপুত্র রাজা হয়। লোকলস্কর, সৈন্যসামন্তে গমগম করে তার রাজপুরী। রাজপুরী আলো করে থাকে রানি কাঞ্চনমালা। চারদিকে সুখ। এত সুখের মধ্যে রাজপুত্রের আর রাখাল বন্ধুর কথা মনে পড়ে না। রাজপুত্র তার বন্ধুকে ভুলে যায়।

এদিকে রাখালের কিন্তু খুব মনে পড়ে রাজপুত্রের কথা। শেষে সে একদিন চলেই আসে বন্ধুকে একটুখানি দেখার জন্য। কিন্তু রাজপ্রাসাদের রক্ষীরা অমন গরিব মানুষকে ভিতরে ঢুকতে দেয় না। মনভরা কষ্ট নিয়ে সে সারাদিন প্রাসাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু রাজার দেখা মেলে না। দিনশেষে মনের কষ্ট নিয়ে দুঃখী রাখাল কোথায় চলে যায়, কেউ তা জানে না।

একদিন ভোরবেলা যখন রাজার ঘুম ভাঙে, তখন দেখা যায় তাঁর সারা শরীরে গেঁথে আছে অগুনতি সুচ। রাজা কথা বলতে পারেন না, শুতে পারেন না, খেতেও পারেন না। রাজ্যজুড়ে কান্নাকাটির রোল পড়ে যায়। রাজা বোঝেন- প্রতিজ্ঞাভঙ্গের সেই অপরাধেই আজকে তার এই দশা। সবাই তাকে সুচ রাজা বলতে থাকেন। রানি কাঞ্চনমালা তখন রাজ্য দেখাশোনা শুরু করেন।

রানি একদিন নদীর ঘাটে স্নান করতে যান। কোথা থেকে জানি একটা মেয়ে এসে হাজির। মেয়েটি বলল, রানির যদি দাসীর দরকার হয়, তো সে দাসী হবে। রাজার শরীর থেকে সুচ খোলার জন্য একজন লোকের দরকার ছিল। তখন রানি কাঞ্চনমালা সেই মেয়েটাকে হাতের সোনার কাঁকন দিয়ে কিনে নিলেন। তাই তার নাম হলো কাঁকনমালা।

কাঁকনমালার কাছে গায়ের গয়নাগুলো রেখে রানি নদীতে ডুব দিতে গেলেন। আর চোখের পলকে কাঁকনমালা রানির সব শাড়ি-গয়না পরে নিল। রানি ডুব দিয়ে উঠে দেখেন দাসী হয়ে গেছে রানি, আর রানি কাঞ্চনমালা হয়ে গেছেন দাসী।

তখন নকল রানি কাঁকনমালার ভয়ে কাঁপতে থাকেন কাঞ্চনমালা। কাঁপতে থাকে রাজপুরীর সকলে। সকলে ভাবতে থাকে, তাদের রানি তো আগে এমন ছিল না। সুচরাজা জানতেই পারেন না, তার রাজ্যে তখন কী হচ্ছে। দুখিনী কাঞ্চনমালা রাজবাড়ির সকল কাজকর্ম করেন। আর চোখের জল ফেলেন।

কাঞ্চনমালার একটুও ফুরসত থাকে না। কীভাবে সুচরাজার যত্ন করবে! কীভাবে তার পাশে দু-দণ্ড বসবে! নকল রানি রাজার দিকে ফিরেও তাকায় না। রাজার কষ্টের সীমা থাকে না। সুচের ব্যথায় সারা শরীর টনটন করে, চিনচিন করে জ্বলতে থাকে। গায়ে মাছি এসে বসে ঝাঁকে ঝাঁকে। কে তাকে বাতাস করবে, কে তাকে দেখবে!

একদিন নকল রানি কাঞ্চনমালাকে একগাদা কাপড় ধুতে পাঠায় নদীর ঘাটে। মাথায় কাপড়ের বোঝা নিয়ে কাঞ্চনমালা এক পা এগোন, এক পা থামেন। চোখের জলে তাঁর বুক ভেসে যেতে থাকে। এমন সময় কাঞ্চনমালার কানে আসে, বনের পাশের গাছতলা থেকে কেমন এক অদ্ভুত মন্ত্র।
কে জানি বলেই যাচ্ছে:
পাই এক হাজার সুচ, তবে খাই তরমুজ!
সুচ পেতাম পাঁচ হাজার, তবে যেতাম হাটবাজার!
যদি পাই লাখ, তবে দিই রাজ্যপাট!
লোকটার সাথে ছিল একটা সুতার পুঁটলি।

মাথার বোঝা নামিয়ে কাঞ্চনমালা ছুটে যান তার কাছে। বলেন, লাখ লাখ সুচ চাও তো? আমি দিতে পারি। এ কথা শুনে লোকটি ঝটপট তার সুতার পুঁটলি মাথায় তুলে নিয়ে কাঞ্চনমালার সাথে হাঁটা ধরে। পথে যেতে যেতে কাঞ্চনমালা চোখের জল ফেলতে ফেলতে তার সব দুঃখের কথা বলেন। অচেনা মানুষটা শোনে, আর মুখ থমথমে হয়ে যেতে থাকে তার।

রাজপুরীতে গিয়ে ওই অচিন মানুষটি সুচ নেবার কথাটা বলে না। বলে, আজকের দিন বড় শুভ দিন। আজ হচ্ছে পিটকুড়ুলির ব্রত, আজকের দিনে রানিদের পিঠা বিলাতে হয়- এমনই নিয়ম। নকল রানি পিঠা বানাতে যায়। সে কাঞ্চনমালাকেও পিঠা বানাতে ফরমাস দেয়। নকল রানি পিঠা বানায়। সে পিঠা কেউ মুখেও তুলতে পারে না, এমনই বিস্বাদ! দুখিনী কাঞ্চনমালা বানান চন্দ্রপুলি, মোহনবাঁশী, ক্ষীর মুরলি পিঠা। মুখে দেওয়া মাত্র সকলের মন ভরে যায়। এমনই স্বাদ তার। নকল রানি উঠানে আলপনা দিতে যায়। কোথায় নকশা, কোথায় কী-এখানে এক খাবলা, ওখানে এক খাবলা রং লেপে দেওয়া। কী যে অসুন্দর দেখায়! আর কাঞ্চনমালা আঁকেন পদ্মলতা। তার পাশে আঁকেন সোনার সাত কলস, ধানের ছড়া, ময়ূর-পুতুল। লোকে তখন বুঝতে পারে কে আসল রানি, আর কে দাসী।

তখন সেই অচেনা মানুষটা কাঁকনমালাকে ডেকে বলে, হাতের কাঁকনে কেনা দাসী, জলদি সত্যি কথা বল। কাঁকনমালার সে কী রাগ। সে গর্জে উঠে জল্লাদকে হুকুম দেয় অচেনা মানুষ আর কাঞ্চনমালার গর্দান নিতে। জল্লাদ ওদের ধরতে আসার আগেই অচেনা মানুষ তার সুতার পুঁটলিকে হুকুম দেয়। এক গোছা সুতা গিয়ে জল্লাদকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে। নকল রানি আবার গর্জে ওঠার আগেই অচিন মানুষ নতুন মন্ত্র শুরু করে:
সূতন সূতন সরুলি, কোন দেশে ঘর
সুচরাজার সুচ গিয়ে আপনি পর।
সঙ্গে সঙ্গে সুতাগুলো রাজার গায়ের লাখ লাখ সুচে ঢুকে যায়। আবার মন্ত্র পড়ে অচিন মানুষ। তখন সব সুচ রাজার শরীর থেকে বেরিয়ে এসে নকল রানির চোখেমুখে, সারা গায়ে বিঁধে যায়। তখন সে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা যায়। কাঞ্চনমালার সকল দুঃখের দিন শেষ হয়।

এদিকে, রাজা বহু বছর পরে চোখ মেলেন। সামনে তাকিয়ে দেখেন দাঁড়িয়ে আছে তার সেই রাখাল বন্ধু! রাজা দুহাতে জড়িয়ে ধরেন তাকে। কথা দিয়ে কথা না রাখার জন্য রাজা তার কাছে ক্ষমা চান। বলেন, “আজ থেকে তুমি আমার মন্ত্রী। তুমি আমার পাশে থেকো! সারা জীবনের জন্য থেকো।” রাখাল বন্ধু কি তখন না থেকে পারে!

রাজা তাঁর বন্ধুকে নতুন সোনার বাঁশি গড়িয়ে দিলেন। সারাদিনের কাজ শেষে রাজা বন্ধুকে নিয়ে দূরের মাঠে চলে যান। পুরোনো দিনের মতো রাখাল বন্ধু বাঁশি বাজায়, আর রাজা শোনেন সেই সুর। সুখে রাজার মন ভরে যায়।

পঞ্চম শ্রেণি কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা:

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
আষ্টেপৃষ্ঠে, গর্দান, গর্জে ওঠা, স্বাদ, বিষাদ, পুঁটলি, ফরমাস, ঘোর, ফুরসত, টনটন, চিনচিন, মায়াবতী, কাঁকন, রক্ষী, রাজপ্রাসাদ, পরস্পর।

উত্তর:

আষ্টেপৃষ্ঠে – সর্বাঙ্গে, সারা শরীরে।
গর্দান – ঘাড়, গলা।
গর্জে ওঠা – হুংকার দিয়ে ওঠা।
স্বাদ – খেতে ভালো লাগে এমন।
বিস্বাদ – খেতে মজা নয় এমন।
পুঁটলি – বোঁচকা।
ফরমাস – হুকুম, আদেশ।
ঘোর – অত্যন্ত, অনেক বেশি, গভীর।
ফুরসত – অবসর, অবকাশ, ছুটি।
টনটন – যন্ত্রণা বোঝায় এমন অনুভূতি।
চিনচিন – অল্প অল্প ব্যথা বা জ্বালা বোঝায় এমন শব্দ।
মায়াবতী – দয়া ও মমতা আছে যে নারীর।
কাঁকন – হাতে পরার গহনা।
রক্ষী – প্রহরী, সেনা।
রাজপ্রাসাদ – রাজপুরী বা রাজবাড়ি।
পরষ্পর – একের সঙ্গে অন্যের।

২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
পরস্পরের, বিস্বাদ, আষ্টেপৃষ্ঠে, পুঁটলিটি, ফুরসত, টনটন;
ক. তার হাতের রান্না এমন ___ যে মুখেই তোলা যায় না।
খ. বৃদ্ধ লোকটি তার ___ সযত্নে একপাশে রেখে দিল।
গ. লোকটির কাজের চাপ এত বেশি যে দম ফেলার ___ নেই।
ঘ. তার সমস্ত শরীর ব্যথায় ___ করছে।
ঙ. তারা দুজন ___ বন্ধু।
চ. গ্রামের মায়া ছেলেটিকে ___ বেঁধে রেখেছে।
উত্তর:
ক. তার হাতের রান্না এমন বিষাদ যে মুখেই তোলা যায় না।
খ. বৃদ্ধ লোকটি তার পুঁটলিটি সযত্নে একপাশে রেখে দিল।
গ. লোকটির কাজের চাপ এত বেশি যে দম ফেলার ফুরসত নেই।
ঘ. তার সমস্ত শরীর ব্যথায় টনটন করছে।
ঙ. তারা দুজন পরস্পরের বন্ধু।
চ. গ্রামের মায়া ছেলেটিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে।

পঞ্চম শ্রেণি কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা:

৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি!

প্রশ্ন ক. রাজপুত্র কোথায় বসে রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনত?
উত্তর: রাজপুত্র গাছতলায় বসে রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনত।

প্রশ্ন খ. রাজপুত্র রাখালবন্ধুর কথা ভুলে যায় কেন?
উত্তর: রাজপুত্র একদিন রাজা হয়। লোকলঙ্কর, সৈন্যসামন্তে গমগম করে তার রাজপুরী। রাজপুরী আলো করে থাকেন রানি কাঞ্চনমালা। চারদিকে তার সুখের সীমা নেই। এত সুখের মধ্যে থেকে রাজপুত্র রাখালবন্ধুর কথা ভুলে যায়।

প্রশ্ন গ. রাজা কেন মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তাঁর এই দশা?
উত্তর: রাজা তার রাখালবন্ধুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি রাজা হলে বন্ধুকে মন্ত্রী বানাবেন। কিন্তু রাজা হওয়ার পর এত সুখের মধ্যে তিনি তার প্রতিঙ্গা ভুলে যান। আর এর পরই রাজার এই দুর্দশা দেখা দেয়। তাই তিনি মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তাঁর এই দশা।

প্রশ্ন ঘ. অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে কী হতো?
উত্তর: অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে দুঃখ-যন্ত্রণায় ভুগে ভুগে রাজার মৃত্যু হতো। আর নকল রানি কাঁকনমালা রাজ্যকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলত।

প্রশ্ন ঙ. কিভাবে রাজার প্রাণ রক্ষা পেল?
উত্তর: অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। কারণ অচেনা লোকটি না এলে রাজার শরীর থেকে লাখ লাখ সূচ খোলা সম্ভব হতো না।

প্রশ্ন চ. কীভাবে লোকেরা নকল রানিকে বুঝে ফেলল?
উত্তর: রানিরা সাধারণত অনেক গুণসম্পন্না হয়ে থাকেন। কিন্তু নকল রানি কাঁকনমালার কোনো গুণ নেই। পিটকুডুলির ব্রতের দিন সে পিঠা বানায়। তা এমনই বিস্বাদ যে কেউ মুখে দিতে পারে না। সে আলপনা আঁকে এখানে এক খাবলা রং দিয়ে ওখানে এক খাবলা রং দিয়ে। এসব দেখে লোকেরা নকল রানিকে বুঝে ফেলল।

প্রশ্ন ছ. রাজা কীভাবে তাঁর প্রতিজ্ঞা পালন করলেন?
উত্তর: রাজপুত্র প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি রাজা হলে রাখালকে মন্ত্রী বানাবেন। রাজপুত্র রাজা হওয়ার পর রাখালবন্ধুর কথা ভুলে যান। একদিন তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার শরীরে অসংখ্য সূচ গেঁথে আছে। তিনি বুঝতে পারেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তাঁর এ হয়েছে। সেই বন্ধুর সাহায্যেই তিনি সুস্থ হলে বন্ধুর কাছে ক্ষমা চান অবশেষে রাখালবন্ধুকে মন্ত্রী বানিয়ে তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা পালন করলেন।

প্রশ্ন জ. কাঞ্চনমালা এবং কাঁকনমালার চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা কর।
উত্তর: কাঞ্চনমালা আসল রানি আর কাঁকনমালা নকল রানি। কাঞ্চনমালা সহজ-সরল, দয়ালু। কিন্তু কাঁকনমালা অহংকারী, অত্যাচারী। আসল রানি কাঞ্চনমালা অনেক গুণের অধিকারী। তিনি যেসব পিঠা বানান তার স্বাদ অপূর্ব। তার দেওয়া আলপনা সবাইকে মুগ্ধ করে। কিন্তু কাঁকনমালার বানানো পিঠা কেউ মুখেও দিতে পারে না। আর তার দেওয়া আলপনা দেখতে হয় খুবই বিশ্রী। মোট কথা, কাঁকনমালার মধ্যে কোনো গুণের প্রকাশই লক্ষ করা যায় না।

৪. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
[কান্না, হাসি] [চেনা, অচেনা] [ভালো, মন্দ] [বড়, ছোট] [আলো, আঁধার];

ক. সন্তানের মৃত্যুতে তিনি ___ ধরে রাখতে পারলেন না।
খ. ___ লোকটির ফাঁদে পা দিয়ে সে তার সবকিছু হারিয়েছে।
গ. রাসেল বয়সে ___ হলেও সংসারের অনেক কাজে মাকে সাহায্য করে।
ঘ. লোকটিকে আমি কোথায় যেন দেখেছি, খুব ___ মনে হচ্ছে।
ঙ. বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় চারদিকে ___ নেমে এলো।

উত্তর:

ক. সন্তানের মৃত্যুতে তিনি কান্না ধরে রাখতে পারলেন না।
খ. অচেনা লোকটির ফাঁদে পা দিয়ে সে তার সবকিছু হারিয়েছে।
গ. রাসেল বয়সে ছোট হলেও সংসারের অনেক কাজে মাকে সাহায্য করে।
ঘ. লোকটিকে আমি কোথায় যেন দেখেছি, খুব চেনা মনে হচ্ছে।
ঙ. বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় চারদিকে আঁধার নেমে এলো।

৫. নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য লিখি।
নিঝুম, সুখ, রাজপুত্র, প্রতিজ্ঞা, টনটন, ময়ূর, পদ্মলতা, চিনচিন, ঝলমল, বাঁশি, রাজ্য;

উত্তর:

নিঝুম – গভীর রাতে চারিদিক একদম নিঝুম হয়ে যায়।
সুখ – সবার জীবনে সুখ ও শান্তি প্রয়োজন।
রাজপুত্র – রাজপুত্র মহলের বাইরে ঘুরতে ভালোবাসত।
প্রতিজ্ঞা – সে কঠোর প্রতিজ্ঞা করল যে, কখনো মিথ্যা বলবে না।
টনটন – মাথাব্যথার কারণে তার কপালে টনটন করছিল।
ময়ূর – বাগানে একটি রঙিন ময়ূর নাচছিল।
পদ্মলতা – সরোবরের পাশে পদ্মলতা সুন্দরভাবে ছড়িয়ে আছে।
চিনচিন – ঠান্ডা লাগায় তার হাতে চিনচিন ব্যথা হচ্ছে।
ঝলমল – রাতের আকাশে তারা ঝলমল করছিল।
বাঁশি রাজ্য – গল্পের রাজ্যে একবার ছিল বাঁশি রাজ্য, যেখানে সবাই বাঁশি বাজাতো।

পঞ্চম শ্রেণি কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা:

৬. নিচের বাক্যাংশ ও বাক্যগুলো পড়ি।
ব্যথায় টনটন করা – খুব ব্যথা করা। সুচবিধা রাজার শরীর দিনরাত ব্যথায় টনটন করত।
খুশিতে ঝলমলিয়ে ওঠা – মন আনন্দে ভরে ওঠা। রাখাল বন্ধুর বাঁশির সুর শুনে রাজপুত্রের মন খুশিতে ঝলমলিয়ে উঠত।

৭. গল্পে ‘টনটন’, ‘থমথম’ এ রকম শব্দ আছে। এই ধরনের আরও কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করে বাক্য লিখি (এখানে একটি দেখানো হলো)।
ভনভন– চারদিকে মাছি ভনভন করছে।
টনটন – ফোঁড়াটা ব্যথায় টনটন করছে।
থৈথৈ – খাল-বিল পানিতে থৈথৈ করছে।
রইরই – হৈহৈ কাণ্ড, রইরই ব্যাপার।
কনকন – শীতে হাত-পা কনকন করছে।
ঝনঝন – থালাটা পড়ে গিয়ে ঝনঝন করে বাজছে।

৮. বিপরীত শব্দ লিখি এবং তা দিয়ে একটি করে বাক্য লিখি।
সুখ – দুঃখ – মা-বাবার মনে কখনো দুঃখ দেয়া উচিত নয়।
মায়া – নির্মমতা – এতটা নির্মমতা দেখানো কোনো মানুযের পক্ষে সম্ভব না।
স্বাদ – বিস্বাদ – বিদেশি খাবার অনেকের কাছেই বিম্বাদ লাগে।
কষ্ট – সুখ – আমাদের কেবল নিজের সুখ নিয়েই ব্যস্ত থাকা উচিত নয়।
নকল – আসল – বিবেকবান মানুষই আসল মানুষ।
রানি – রাজা – প্রজাপালনই রাজার প্রধান কাজ।
রাজপুত্র – রাজকন্যা – রাজকন্যা পরম সৌভাগ্যের অধিকারী।
অসুন্দর – সুন্দর – আমাদের এই দেশ অনেক সুন্দর।
খুশি – অখুশি – পরের সফলতায় অখুশি হতে নেই।

৯. যুক্তবর্ণ দিয়ে শব্দ তৈরি করে পড়ি ও লিখি।
হ্ম – ব্রহ্মপুত্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ক্ব – পরিপক্ব, ক্বচিৎ
ণ্ড – গণ্ডার, পাষণ্ড
ণ্ট – ঘণ্টা, কণ্টক

আরও পড়ুন: স্বদেশ পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্নোত্তর

আরও পড়ুন: অবাক জলপান নাটকের প্রশ্নোত্তর

Codehorse App

Check Also

৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

পঞ্চম শ্রেণি জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম শ্রেণি জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রশ্নোত্তর: বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। বাড়তি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *