চতুর্থ শ্রেণির বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১৪ প্রশ্ন উত্তর: এই অধ্যায়ে আমরা প্রাচীনকালের তিনজন রাজা সম্পর্কে জানব। আরও জানব সেই সময়কার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে।
রাজা শশাংক
সপ্তম শতকে বাংলায় শশাংক নামে একজন প্রভাবশালী রাজা ছিলেন। তিনি বাংলার স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রেখেছিলেন এবং কর্ণসুবর্ণ ছিল তাঁর রাজধানী। তাঁর শাসনামলে তিনি বাংলার বাইরেও রাজ্যসীমানা বাড়িয়েছিলেন।
রাজা গোপাল
রাজা শশাংকের পর প্রায় একশ বছর ধরে বাংলায় ভীষণ অস্থির অবস্থা বিরাজ করছিল। এরপর অষ্টম শতকে রাজা গোপাল বাংলার সিংহাসনে বসেন। তিনি পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। এই রাজবংশ বাংলায় প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করেছিল।
রাজা লক্ষণ সেন
রাজা লক্ষণ সেন দ্বাদশ শতকে বাংলায় রাজত্ব করেন। রাজা লক্ষণ সেন ছিলেন সেন রাজবংশের চতুর্থ রাজা। তিনি ছিলেন একজন সুপণ্ডিত ও কবি। ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বখতিয়ার খিলজী বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেছিলেন।
সামাজিক জীবন
সেই সময়ের সমাজজীবনের মূলভিত্তি ছিল গ্রাম। তখন মানুষ সনাতন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। যেমন: কৃষক, নাপিত, কামার, কুমার, ধোপা, মুচি ইত্যাদি। সে সময় হিন্দু ও বৌদ্ধ ছিল দুইটি প্রধান ধর্ম। নৌকা, গরুর গাড়ি ও পালকি ছিল প্রধান যানবাহন। ভাত ছিল বাঙালির প্রধান খাদ্য। শাকসবজি, ডাল, মাছ ইত্যাদিও খাওয়া হতো। বিনোদনের প্রধান উপাদান ছিল গান, নাচ, পাশা, দাবা, মল্লযুদ্ধ ও কুস্তি খেলা।
অর্থনৈতিক জীবন
কৃষিকাজই ছিল প্রাচীন বাংলার মানুষের প্রধান পেশা। ধান আর আখ ছিল প্রধান ফসল। কুটির শিল্পে তুলা ও রেশম দিয়ে বাংলার কারিগররা নানারকম কাপড় বুনতেন। এসব কাপড় বিদেশেও রপ্তানি করা হতো। সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাংলার বণিকেরা বিদেশের সাথে বাণিজ্য করতেন।
চতুর্থ শ্রেণির বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১৪ প্রশ্ন উত্তর:
অল্প কথায় উত্তর:
প্রশ্ন-১। বাংলার প্রাচীন যুগের একজন রাজার নাম লেখ।
উত্তর: বাংলার প্রাচীন যুগের একজন রাজার নাম রাজা গোপাল।
প্রশ্ন-২। কোন শতাব্দীতে বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন-৩। বাংলার মুসলিম শাসনামলের একজন শাসকের নাম লেখ।
উত্তর : বাংলার মুসলিম শাসনামলের একজন শাসকের নাম ঈসা খাঁ।
প্রশ্ন-৪। কোন শতাব্দী থেকে বাংলার সাহিত্যচর্চা বিকশিত হয়?
উত্তর: সপ্তম শতাব্দী থেকে বাংলার সাহিত্যচর্চা বিকশিত হয়।
প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
প্রশ্ন-১। মুসলিম শাসনামলে বাংলার ধর্মীয় আচার-আচরণের বিবরণ দাও।
উত্তর: হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মেরও ব্যাপক বিস্তার ঘটে মুসলিম শাসনামলে। মুসলিম শাসনামলে বাংলায় হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতো। সমাজের সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার-আচরণগুলো মিলেমিশে পালন করত। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দিত। ধর্মের ঊর্ধ্বে ছিল মানবিক মূল্যবোধ।
প্রশ্ন-২। মুসলিম শাসনামলে বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্যের বিবরণ দাও।
উত্তর: মুসলিম শাসনামলে অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষিভিত্তিক। কৃষিজ পণ্যের ব্যবসা এ যুগ থেকেই বিস্তার লাভ করতে শুরু করে। এ সময় হাতের তৈরি মসলিন কাপড় প্রসিদ্ধ ছিল। কৃষিভিত্তিক কুটির শিল্প ছাড়াও নৌকা, জাহাজ, গালিচা, কাগজ ইত্যাদি শিল্প গড়ে উঠেছিল। হাতির দাঁতের শিল্প ও কাঠের কাজে বাংলার শিল্পীরা পারদর্শী ছিলেন।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর:
১. প্রাচীন বাংলার একজন শক্তিশালী রাজা হলেন রাজা শশাংক। তার রাজধানীর নাম কী ছিল?
ক. সোনার গাঁ
খ. সুবর্ণ গ্রাম
গ. ইসলামাবাদ
ঘ. কর্ণসুবর্ণ √
২. প্রাচীন যুগ এদেশে রাজাদের শাসন চলে। প্রাচীন যুগের রাজাদের মধ্যে কে সুপণ্ডিত ও কবি ছিলেন?
ক. শশাংক
খ. গোলাল
গ. লক্ষণ সেন √
ঘ. ধর্মপাল
৩. পাল বংশ কত বছর বাংলায় রাজত্ব করেছিল?
ক. ১০০ বছর
খ. ২০০ বছর
গ. ৩০০ বছর
ঘ. ৪০০ বছর √
৪. পাল রাজাদের পরে সেন রাজারা ক্ষমতায় আসে। এই বংশের চতুর্থ রাজা কে?
ক. লক্ষণ সেন √
খ. বখতিয়ার খিলজী
গ. গোপাল
ঘ. শশাংক
৫. প্রাচীন বাংলার সমুদ্র বাণিজ্যের প্রচলন ছিল। কোন বন্দর দিয়ে প্রাচীন বাংলার বণিকেরা বিদেশে বাণিজ্য করতেন?
ক. পায়রা
খ. চট্টগ্রাম √
গ. মংলা
ঘ. হুগলী
৬. মধ্যযুগে চট্টগ্রাম বন্দর বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। এখান থেকে কোনটি রপ্তানি হতো?
ক. পাট
খ. চা
গ. চিনি √
ঘ. মাছ
শূন্যস্থান পূরণ:
প্রশ্ন-১। শশাংকের রাজধানী ছিল —।
উত্তর: কর্ণসুবর্ণ।
প্রশ্ন-২। শশাংক ছিলেন — শতকের রাজা।
উত্তর: সপ্তম।
প্রশ্ন-৩। পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা —।
উত্তর: গোপাল।
প্রশ্ন-৪। রাজা লক্ষণ সেন ছিলেন সেন রাজবংশের — রাজা।
উত্তর: চতুর্থ।
প্রশ্ন-৫। রাজা লক্ষণ সেন বাংলায় — করেন।
উত্তর: রাজত্ব।
প্রশ্ন-৬। লক্ষণ সেনকে পরাজিত করেন —।
উত্তর: বখতিয়ার খিলজি।
প্রশ্ন-৭। প্রাচীন যুগে সমাজ জীবনের মূল ভিত্তি ছিল —।
উত্তর: গ্রাম।
প্রশ্ন-৮। শায়েস্তা খান বাংলা থেকে — বিতাড়িত করেন।
উত্তর: জলদস্যুদের।
প্রশ্ন-৯। প্রাচীন যুগের অর্থনীতি ছিল —-।
উত্তর: কৃষিভিত্তিক।
প্রশ্ন-১০। বখতিয়ার খিলজি বাংলায় —- শাসনের সূচনা করেন।
উত্তর: মুসলিম।
প্রশ্ন-১১। প্রাচীন যুগে বাংলার মানুষ — পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
উত্তর: সনাতন।
প্রশ্ন-১২। প্রাচীন বাংলার মানুষের প্রধান পেশা ছিল —।
উত্তর: কৃষিকাজ।
শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয়:
১. রাজা লক্ষ্মণ সেন দ্বাদশ শতকে বাংলায় রাজত্ব করেন।
২. পাল রাজবংশ বাংলায় প্রায় ৬০০ বছর রাজত্ব করেছিল।
৩. রাজা লক্ষ্মণ সেন ছিলেন সেন রাজবংশের পঞ্চম রাজা।
৪. ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেন।
৫. রাজা লক্ষ্মণ সেন ছিলেন একজন সুপন্ডিত ও কবি।
৬. কৃষি কাজই ছিল প্রাচীন বাংলার মানুষের প্রধান পেশা।
৭. ধান আর আখ ছিল প্রাচীন বাংলার প্রধান ফসল।
৮. শায়েস্তা খান বাংলা অঞ্চল থেকে জলদস্যুদের বিতাড়িত করেছিলেন।
৯. মধ্যযুগের অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষিভিত্তিক।
১০. আমাদানি থেকে রপ্তানি বাণিজ্য মধ্যযুগে বেশি ছিল।
উত্তর: ১. শুদ্ধ; ২. অনুদ্ধ; ৩. অনুদ্ধ; ৪. শুদ্ধ: ৫. শুদ্ধ; ৬. শুদ্ধ; ৭. শুদ্ধ; ৮. শুদ্ধ; ৯. শুদ্ধ; ১০. শুদ্ধ।
৪. মিলকরণ: ⮯
গাইড ও সাজেশন পেতে আমাদের অ্যাপটি ইন্সটল করো 👉 Install Now |
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:
প্রশ্ন-১। পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন রাজা গোপাল।
প্রশ্ন-২। পাল রাজবংশ বাংলায় কত বছর রাজত্ব করে?
উত্তর: পাল রাজবংশ বাংলায় ৪০০ বছর রাজত্ব করে।
প্রশ্ন-৩। গোপাল কখন বাংলার সিংহাসনে বসেন?
উত্তর: অষ্টম শতকে রাজা গোপাল বাংলার সিংহাসনে বসেন।
প্রশ্ন-৪। সপ্তম শতকে কে বাংলার স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রেখে রাজ্য শাসন করেন?
উত্তর: সপ্তম শতকে রাজা শশাংক বাংলার স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রেখে রাজ্য শাসন করেন।
প্রশ্ন-৫। তুমি প্রাচীন বাংলার কোন রাজাকে সুপণ্ডিত ও কবি হিসাবে অভিহিত করবে?
উত্তর: আমি প্রাচীন বাংলার রাজা লক্ষণ সেনকে সুপন্ডিত ও কবি হিসাবে অভিহিত করব।
প্রশ্ন-৬। তুমি কোন যুগে এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করলে সনাতন পেশায় নিয়োজিত থাকতে?
উত্তর: আমি প্রাচীন যুগে এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করলে সনাতন পেশায় নিয়োজিত থাকতাম।
প্রশ্ন-৭। প্রাচীন বাংলার অর্থনৈতিক জীবন কীসের উপর নির্ভরশীল ছিল?
উত্তর: প্রাচীন বাংলার অর্থনৈতিক জীবন কৃষির উপর নির্ভরশীল ছিল।
প্রশ্ন-৮। প্রাচীনযুগে বাংলার মানুষের পেশা কী ছিল?
উত্তর: প্রাচীনযুগে বাংলার মানুষের প্রধান পেশা ছিল কৃষিকাজ। এছাড়া অন্যান্য সনাতন পেশা বিকাশ লাভ করে। যেমন- নাপিত, কামার, কুমার, ধোপা, মুচি ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৯। প্রাচীনকালে বাঙালির আহার্য কী কী ছিল?
উত্তর: প্রাচীনকালে বাঙালির প্রধান আহার্য ছিল ভাত। এছাড়া শাকসবজি, ডাল, মাছ ইত্যাদি খাওয়া হতো।
প্রশ্ন-১০। প্রাচীন যুগে যাতায়াতে মানুষ কী কী যানবাহন ব্যবহার করতো?
উত্তর: প্রাচীন যুগে যাতায়াতে মানুষ নৌকা, গরুর গাড়ি ও পালকি ব্যবহার করত।
প্রশ্ন-১১। প্রাচীন যুগে বিনোদনের প্রধান উপাদান কী কী ছিল?
উত্তর: প্রাচীন যুগে বিনোদনের প্রধান উপাদান ছিল গান, নাচ, পাশা, দাবা, মল্লযুদ্ধ ও কুস্তি খেলা।
প্রশ্ন-১২। প্রাচীন যুগে বাংলার কারিগররা কী দিয়ে কাপড় বুনতেন?
উত্তর: প্রাচীনযুগে বাংলার কারিগররা তুলা ও রেশম দিয়ে কাপড় বুনতেন।
প্রশ্ন-১৩। বাংলার মধ্যযুগের একজন শাসকের নাম লেখ।
উত্তর: বাংলার মধ্যযুগের একজন শাসকের নাম ঈসা খাঁ।
প্রশ্ন-১৪। মধ্যযুগে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ সাধিত হয় কেন?
উত্তর: শাসকদের আনুকূল্যে মধ্যযুগে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ সাধিত হয়।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
প্রশ্ন-১। শশাংক কে ছিলেন বলে তুমি জান? তার সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: শশাংক ছিলেন বাংলার প্রভাবশালী রাজা। প্রাচীনকালে আমাদের এই অঞ্চলে বেশ কিছু বড় বড় রাজা ও তাঁদের রাজত্ব ছিল। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যেসব রাজারা ছিলেন তাদের মধ্যে শশাংক ছিলেন অন্যতম। কর্ণসুবর্ণ ছিল তাঁর রাজধানী। রাজা শশাংকের প্রধান কৃতিত্ব তিনি বাংলার বাইরে উত্তর ভারতে রাজ্যসীমানা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর এতে তিনি কিছুটা সফলতাও লাভ করেছিলেন।
প্রশ্ন-২। পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? তিনি কখন বাংলার সিংহাসনে বসেন? এ পাল বংশ কত বছর বাংলায় রাজত্ব করেছিলেন? প্রাচীন যুগের তিনজন উল্লেখযোগ্য রাজার নাম লেখ।
উত্তর: পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা গোপাল।
তিনি অষ্টম শতকে বাংলার সিংহাসনে বসেন।
এ পাল বংশ প্রায় ৪০০ বছর বাংলায় রাজত্ব করেছিলেন।
প্রাচীন যুগের তিনজন উল্লেখযোগ্য রাজার নাম হলো:
১. রাজা শশাংক; ২. রাজা গোপাল ও ৩. রাজা লক্ষণ সেন।
প্রশ্ন-৩। প্রাচীন বাংলার সমাজ জীবনের মূল ভিত্তি কী ছিল? তখন মানুষ সনাতন পেশায় নিয়োজিত ছিল কেন? সে যুগের বিভিন্ন সামাজিক দিক সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: প্রাচীন বাংলার সমাজ জীবনের মূল ভিত্তি ছিল গ্রাম।
তখন সনাতন পেশা ছাড়া আর কোনো পেশা না থাকায় মানুষ সনাতন পেশায় নিয়োজিত ছিল।
প্রাচীন যুগে মানুষ সনাতন পেশায় নিয়োজিত ছিল। যেমন-নাপিত, কামার, কুমার, ধোপা, মুচি ইত্যাদি। তখন নৌকা, গরুর গাড়ি ও পালকি ছিল প্রধান যানবাহন। বিনোদনের প্রধান উপাদান ছিল, গান, নাচ, পাশা, দাবা, মল্লযুদ্ধ ও কুস্তি খেলা।
প্রশ্ন-৪। বারো ভূঁইয়া কারা বলে তুমি মনে কর? তারা কী করেছিলেন?
উত্তর: দিল্লির সম্রাট আকবরের সময় বাংলার বেশ কিছু অঞ্চলের বড় বড় জমিদাররা মোঘল শাসন মেনে নিতে পারেন নি। তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় স্বাধীনভাবে জমিদারি চালাতে থাকেন। তাঁদের নিজস্ব সৈন্যবাহিনী ছিল। এরাই বারো ভূইয়া নামে পরিচিত। বার ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খাঁ ঢাকার অদূরে সোনারগাঁওয়ে বাংলার রাজধানী গড়ে তোলেন। আর সেখান থেকেই শাসনকার্য পরিচালনা করেন।
প্রশ্ন-৫। প্রাচীন বাংলার মানুষের প্রধান পেশা কী ছিল? প্রাচীন বাংলার অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে তুমি কী জান? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: প্রাচীন বাংলার মানুষের প্রধান পেশা ছিল কৃষিকাজ। বাংলার উর্বর মাটি ও জলবায়ু দুটোই ছিল কৃষি উপযোগী। এখানে সহজেই প্রচুর ফসল উৎপন্ন হতো। কৃষির পাশাপাশি প্রাচীন বাংলায় কুটির শিল্পেরও প্রচলন ছিল। তুলা ও রেশম দিয়ে বাংলার কারিগররা নানা রকম কাপড় বুনত। সব মিলিয়ে প্রাচীন বাংলার অর্থনৈতিক জীবন বেশ সমৃদ্ধ ছিল।
প্রশ্ন-৬। বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্প কখন গড়ে উঠে? বাংলায় তখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ কীভাবে বাস করতো? মধ্যযুগের বাংলার সামাজিক জীবন সম্পর্কে তুমি কী জান? তা লেখ।
উত্তর: বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্প মধ্যযুগে গড়ে ওঠে।
বাংলায় তখন বিভিন্ন সস্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে সম্প্রীতির সাথে বাস করতো।
মধ্যযুগে বাংলায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে সম্প্রীতির সাথে বাস করতেন। মধ্যযুগে বাংলাভাষা ও সাহিত্য ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়। এ সময়ে গড়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্প। এ যুগের পোশাক ও খাদ্যাভ্যাস ছিল প্রাচীন যুগের মতোই।