পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
৫ম শ্রেণি: পরিবেশ দূষণ

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর: বর্তমান পৃথিবীর অনেক সমস্যার মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো পরিবেশ দূষণ। এ পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ শিল্পায়ন ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বায়ু, পানি, মাটি ও শব্দ দূষণের মাধ্যমে সাধারণত পরিবেশ দূষিত হয়। দূষণের ফলে মানুষ, জীবজন্তু ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। দূষণের কারণে মানুষও বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজগুলোই পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

১. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দিই।

১) কোনটি বায়ু দূষণের কারণ?
ক. কীটনাশকের ব্যবহার
খ. কলকারখানার ধোঁয়া
গ. উচ্চ শব্দে গান বাজানো
ঘ. রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ

২) কোনটি পানি দূষণের ফলে হয়?
ক. শ্রবণ শক্তি হ্রাস
খ. ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি
গ. ডায়রিয়া
ঘ. মাটির উর্বরতা হ্রাস

৩) মাটি দূষণের কারণ কোনটি?
ক. পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি
খ. চাষাবাদে যন্ত্রপাতির ব্যবহার
গ. কীটনাশকের ব্যবহার
ঘ. মাটির উর্বরতা হ্রাস

৪) পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় কোনটি?
ক. অনবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা
খ. মোটর গাড়ি ব্যবহার করা
গ. জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা
ঘ. রিসাইকেল করা

২. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বেঁচে থাকার জন্য আমরা পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করি। ফলে পরিবেশে বিভিন্ন, পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়, তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে। অর্থাৎ বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশে পরিবেশকে দূষিত করে।

প্রশ্ন ২। বায়ু দূষণের ফলে কী হয়?
উত্তর: বায়ু দূষণের ফলে-
১. পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়,
২. এসিড বৃষ্টি হয়,
৩. বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়,
৪. মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ,
৫. ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ হয়।

প্রশ্ন ৩। পরিবেশের দূষণগুলো কী কী?
উত্তর: পরিবেশের দূষণগুলো হলো-
১. বায়ু দূষণ, ২. পানি দূষণ, ৩. মাটি দূষণ ও ৪. শব্দ দূষণ।

প্রশ্ন ৪। পরিবেশ দূষণের উৎসসমূহ কী?
উত্তর: পরিবেশ দূষণের উৎসসমূহ হলো বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম-জ্বালানি যেমন- তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদির ব্যবহার। এছাড়াও ময়লা-আবর্জনা, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, উচ্চ শব্দ ইত্যাদিও পরিবেশ দূষণের উৎস।

প্রশ্ন ৫। পরিবেশ সংরক্ষণের ৫টি উপায় লেখ।
উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণের ৫টি উপায় হলো-
১. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো।
২. কারখানার বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ, তেল পরিবেশে ফেলার পূর্বে পরিশোধন করা।
৩. দৈনন্দিন ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে মাটি চাপা দেওয়া।
৪. বেশি বেশি গাছ লাগানো।
৫. পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

৩. বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ হলো-
১. মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। যেমন- ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, পানিবাহিত রোগ, ত্বকের রোগ ইত্যাদি।
২. জীবজন্তুর আবাসস্থল নষ্ট হয়।
৩. খাদ্যশৃঙ্খল ধ্বংস হয়।
৪. পরিবেশ থেকে অনেক জীব বিলুপ্ত হয়।
৫. পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
৬. হিমবাহ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন ২। শব্দ দূষণ কী? শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব কী?
উত্তর: যে ধরনের শব্দ কানে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তাই শব্দ দূষণ।
শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো হলো-
১. অবসন্নতা,
২. শ্রবণ শক্তি হ্রাস,
৩. ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি,
৪. কর্মক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩। পরিবেশ সংরক্ষণ কী? আমরা কীভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি?
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।
আমরা বিভিন্নভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি। পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এছাড়াও বিদ্যুৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে, সম্পদের পুনঃব্যবহার ও রিসাইকেল করে আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি। তাছাড়া, কলকারখানার বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ পরিশোধন করা, যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকা, বেশি করে গাছ লাগানো ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি।

প্রশ্ন ৪। মাটি দূষণ কেন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
উত্তর: মাটিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর বস্তু মেশার ফলে মাটি দূষিত হয়। দূষিত মাটিতে ফসল চাষ করলে উৎপন্ন ফসলেও ক্ষতিকর বস্তু থেকে যায়, যা রান্নার পরও খাবারে থেকে যায়। ফলে এসব ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণের ফলে মানুষের দেহে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। এ কারণেই মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

প্রশ্ন ৫। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ফলে কেন পরিবেশ দূষিত হয়?
উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দূষিত হওয়ার কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো-
১. বর্ধিত জনসংখ্যার বাসস্থানের জন্য গাছ কাটার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
২. অধিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জমিতে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।
৩. অধিক হারে ও অপরিকল্পিতভাবে কলকারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব কলকারখানার বর্জ্য ও কালো ধোঁয়া পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে।
৪. বর্ধিত জনসংখ্যার দৈনন্দিন জঞ্জাল-আবর্জনা ও বর্জ্য পরিবেশকে ব্যাপকভাবে দূষিত করে।
এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।

প্রশ্ন ৬। মাটি এবং পানি দূষণের সাদৃশ্য কোথায়?
উত্তর: মাটি ও পানি পরিবেশের অন্যতম দুটি উপাদান। এ দূষণের কারণের দিক দিয়ে মাটি ও পানি দূষণের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন-
১. জমিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটি ও পানি উভয়ই দূষিত হয়।
২. কলকারখানার নির্গত বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ মাটি ও পানি উভয়কে দূষিত করে।
৩. হাসপাতালের নিক্ষিপ্ত বর্জ্য একই সাথে মাটি ও পানিকে দূষিত করে।

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:

১. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণটি লেখ।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণটি হলো শিল্পায়ন।

প্রশ্ন ২। মানুষের দ্বারা পরিবেশ ধ্বংসের দুটি উল্লেখযোগ্য কারণ লেখ।
উত্তর: মানুষের দ্বারা পরিবেশ ধ্বংসের দুটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো- ১. প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও ২. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ।

প্রশ্ন ৩। দুটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম লেখ।
উত্তর: দুটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম হলো- ১. প্রাকৃতিক গ্যাস ও ২. কয়লা।

প্রশ্ন ৪। মাটি ও পানি উভয়কে দূষিত করে এমন দুটি জিনিসের নাম লেখ।
উত্তর: মাটি ও পানি উভয়কে দূষিত করে এমন দুটি জিনিসের নাম হলো- ১. পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্য ও ২. গৃহস্থালির বর্জ্য।

প্রশ্ন ৫। মাটি দূষণের দুটি কারণ লেখ।
উত্তর: মাটি দূষণের দুটি কারণ হলো- ১. কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক। ২. গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য।

প্রশ্ন ৬। পানি দূষণ কী?
উত্তর: পানিতে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হয়ে পানির গুণগত মানের পরিবর্তন হওয়াই হলো পানি দূষণ।

প্রশ্ন ৭। বায়ু দূষণ কী?
উত্তর: বায়ু দূষণ হলো বায়ুতে বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশ্রিত হওয়া।

প্রশ্ন ৮। বায়ু দূষণের ২টি কারণ লেখ।
উত্তর: বায়ু দূষণের ২টি কারণ হলো-১. শিল্প কারখানার ধোঁয়া ও ২. ইটের ভাটায় ইট পোড়ানো।

প্রশ্ন ৯। জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের একটি ফলাফল লেখ।
উত্তর: জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের একটি ফলাফল হলো মাটি দূষণ।

প্রশ্ন ১০। কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া নির্গমনের একটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
১. যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা। ২. খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ।

প্রশ্ন ১১। কৃষিকাজে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে পানি দূষণ প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর: কৃষিকাজে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে পানি দূষণ প্রতিরোধ করা যায়।

প্রশ্ন ১২। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ কী?
উত্তর: পরিবেশ দূষণের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে মেরু অঞ্চলের হিমবাহ গলে যাচ্ছে। এ হিমবাহ গলনের কারণেই সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রশ্ন ১৩। পরিবেশ দূষণের দুটি প্রভাব লেখ।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের দুটি প্রভাব হলো- ১. জীবজন্তুর আবাসস্থল ও খাদ্যশৃঙ্খল ধ্বংস হচ্ছে। ২. অনেক জীব পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে।

প্রশ্ন ১৪। জলজ প্রাণী মারা যাওয়ার দুটি কারণ লেখ।
উত্তর: জলজ প্রাণী মারা যাওয়ার দুটি কারণ হলো- ১. পানিতে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হওয়া। ২. জলজ খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটা।

প্রশ্ন ১৫। জমির উর্বরতা নষ্ট হয় কেন?
উত্তর: কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য, কলকারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও তেল ইত্যাদি মাটিতে মেশার ফলে মাটি দূষিত হয়। আর মাটি দূষিত হওয়ার কারণেই জমির উর্বরতা নষ্ট হয়।

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

২. শূন্যস্থান পূরণ কর । 

প্রশ্ন ১। বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশে___দূষিত হয়।
প্রশ্ন ২। পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস___জ্বালানির ব্যবহার।
প্রশ্ন ৩। বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম বড় সমস্যা___।
প্রশ্ন ৪। দূষণের ফলে মানুষ, জীবজন্তু ও পরিবেশের___ক্ষতি হয়।
প্রশ্ন ৫। দূষণের কারণে___বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন ৬। দূষণের ফলে জীবজন্তুর___নষ্ট হচ্ছে।.
প্রশ্ন ৭। ___গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন ৮। দূষণের ফলে জীবজন্তুর___ধ্বংস হচ্ছে।
প্রশ্ন ৯। চর্মরোগে আক্রান্ত হয়___দূষণের ফলে।
প্রশ্ন ১০। পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো___।
প্রশ্ন ১১। পরিবেশের বেশির ভাগ___মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলেই হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ১২। বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে পরিবেশ___হয়।
প্রশ্ন ১৩। জনসংখ্যা বৃদ্ধি___আরও একটি বড় কারণ।
প্রশ্ন ১৪। যানবাহন ও কলকারখানার___বায়ু দূষণের প্রধান কারণ।
প্রশ্ন ১৫। পানিতে ক্ষতিকর পদার্থ___হয়ে পানি দূষিত হয়।
প্রশ্ন ১৬। কীটনাশক মাটির সাথে মিশে___দূষিত করে।
প্রশ্ন ১৭। মাটি দূষণ জমির___নষ্ট করে।
প্রশ্ন ১৮। কারখানার___পানিতে ফেললে পানি দূষিত হয়।
প্রশ্ন ১৯। পানি দূষণের ফলে___প্রাণী মারা যাচ্ছে।
প্রশ্ন ২০। ক্ষতিকর বস্তু মাটিতে মেশার ফলে___দূষিত হয়।
প্রশ্ন ২১। পানি দূষণের ফলে জলজ খাদ্য শৃঙ্খলে___ঘটছে।

উত্তরমালা: ১। পরিবেশ; ২। জীবাশ্ম; ৩। পরিবেশ দূষণ; ৪। ব্যাপক; ৫। মানুষ; ৬। আবাসস্থল; ৭। হিমবাহ; ৮। খাদ্য শৃঙ্খল; ৯। পানি; ১০। শিল্পায়ন; ১১। দূষণ; ১২। দূষিত; ১৩। পরিবেশ দূষণের; ১৪। ধোঁয়া; ১৫। মিশ্রিত; ১৬। মাটি; ১৭। উর্বরতা; ১৮। ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ; ১৯। জলজ; ২০। মাটি; ২১। ব্যাঘাত;

পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

৩. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।

প্রশ্ন ১। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:

বাম পাশ ডান পাশ
(ক) জীবাশ্ম জ্বালানি হচ্ছে (১) জনসংখ্যা বৃদ্ধি
(খ) পরিবেশ দূষণের একটি বড় কারণ (২) হিমবাহ গলা
(গ) সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণ (৩) বায়ু দূষণ
(ঘ) মাইক বাজালে হয় (৪) বন্যার কারণে
(ঙ) শ্বাসজনিত রোগের অন্যতম কারণ (৫) গ্যাস
(৬) মাটি দূষণ
(৭) শব্দ দূষণ

উত্তরমালা:
(ক) জীবাশ্ম জ্বালানি হচ্ছে গ্যাস।
(খ) পরিবেশ দূষণের একটি বড় কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
(গ) সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিমবাহ গলা।
(ঘ) মাইক বাজালে হয় শব্দ দূষণ।
(ঙ) শ্বাসজনিত রোগের অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ।

প্রশ্ন ২। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:

বাম পাশ ডান পাশ
(ক) তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে (১) বায়ু দূষণের কারণ
(খ) কলকারখানার ধোঁয়া (২) জনসংখ্যা বৃদ্ধি
(গ) বায়ু দূষণের কারণে (৩) জীবের বিলুপ্তি ঘটে
(ঘ) পরিবেশ দূষণের বড় কারণ (৪) পানিবাহিত রোগ হয়
(ঙ) খাদ্য শৃঙ্খল ধ্বংস হলে (৫) হিমবাহ গলছে
(৬) জনসংখ্যা হ্রাস
(৭) ফুসফুসে ক্যান্সার হয়

উত্তরমালা:
(ক) তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হিমবাহ গলছে।
(খ) কলকারখানার ধোঁয়া বায়ু দূষণের কারণ।
(গ) বায়ু দূষণের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়।
(ঘ) পরিবেশ দূষণের বড় কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
(ঙ) খাদ্য শৃঙ্খল ধ্বংস হলে জীবের বিলুপ্তি ঘটে।

৪. কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর:

প্রশ্ন ১। পরিবেশ দূষণ কী? পরিবেশ দূষণের চারটি প্রভাব লেখ।
উত্তর: বেঁচে থাকার জন্য আমরা পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করি। ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়, তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।
পরিবেশ দূষণের ৪টি প্রভাব হলো-
১. মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন- ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ ইত্যাদি।
২. জীবজন্তুর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে।
৩. খাদ্য শৃঙ্খল ধ্বংস হচ্ছে।
৪. অনেক জীব পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে।

প্রশ্ন ২। শব্দ দূষণের দুটি কারণ লেখ। শব্দ দূষণের ফলে মানব স্বাস্থ্যের চারটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: শব্দ দূষণের দুটি কারণ হলো-
১. বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজানো।
২. উচ্চস্বরে গান বাজানো।
শব্দ দূষণের ফলে মানব স্বাস্থ্যের চারটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. অবসন্নতা,
২. শ্রবণ শক্তি হ্রাস,
৩. ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি ও
৪. কর্মক্ষমতা হ্রাস।

প্রশ্ন ৩। পরিবেশ দূষণের তিনটি কারণ লেখ। পরিবেশ দূষণ রোধে তিনটি পরামর্শ লেখ।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের তিনটি কারণ হলো-
১. শিল্পায়ন,
২. তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও
৩. জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
পরিবেশ দূষণ রোধে তিনটি পরামর্শ হলো-
১. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো।
২. কারখানার বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ, তেল ইত্যাদি ফেলার পূর্বে পরিশোধন করা।
৩. নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলা।

প্রশ্ন ৪। মানব স্বাস্থ্যের উপর শব্দ দূষণের তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ। শব্দ দূষণ রোধে তিনটি করণীয় লেখ।
উত্তর: মানব স্বাস্থ্যের উপর শব্দ দূষণের তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি।
২. অবসন্নতা বোধ,
৩. শ্রবণ শক্তি হ্রাস।
শব্দ দূষণ রোধে তিনটি করণীয় হলো-
১. বিনা প্রয়োজনে হর্ন না বাজানো,
২. শ্রেণিকক্ষে গোলমাল না করা ও
৩. উচ্চ শব্দ সৃষ্টি না করা।

প্রশ্ন ৫। শব্দ দূষণের তিনটি উৎসের নাম লেখ। শব্দ দূষণ রোধে তোমার চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর: শব্দ দূষণের তিনটি উৎসের নাম হলো-
১. বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজানো,
২. উচ্চস্বরে গান বাজানো ও
৩. লাউড স্পিকার বা’ মাইক বাজানো।
শব্দ দূষণ রোধে আমার চারটি করণীয় হলো-
১. বিনা প্রয়োজনে হর্ন না বাজানো,
২. শ্রেণিকক্ষে গোলমাল না করা,
৩. উচ্চ শব্দ সৃষ্টি না করা ও
৪. উচ্চ স্বরে গান না বাজানো।

প্রশ্ন ৬। শব্দ দূষণের দুটি কারণ লেখ। হঠাৎ উচ্চ শব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট দুটি প্রভাব লেখ। শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুটি পরামর্শ লেখ।
উত্তর: শব্দ দূষণের দুটি কারণ হলো-
১. বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজানো।
২. মাইক বাজানো।
হঠাৎ উচ্চ শব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট দুটি প্রভাব নিম্নরূপ-
১. শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাওয়া।
২. কানের পর্দা ফেটে যাওয়া।
শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুটি পরামর্শ হলো-
১. উচ্চস্বরে গান, লাউড স্পিকার বা মাইক না বাজানো।
২. উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী কলকারখানা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করা।

প্রশ্ন ৭। শব্দ দূষণ কী? শব্দ দূষণের চারটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: যে ধরনের শব্দ কানে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তাই শব্দ দূষণ।
শব্দ দূষণের চারটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. অবসন্নতা,
২. শ্রবণ শক্তি হ্রাস,
৩. ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি ও
৪. কর্মক্ষমতা হ্রাস।

প্রশ্ন ৮। বায়ু দূষণ কাকে বলে? আমরা কীভাবে বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: যখন কোনো ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া বা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশ্রিত হয় তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে।
আমরা যেভাবে বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি তা হলো-
১. বন উজাড় বন্ধ করে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
২. শিল্পকারখানা ও ইটের ভাটা থেকে কালো ধোঁয়া নির্গমন বন্ধ করতে হবে।
৩. খোলা জায়গায় মল ত্যাগ কিংবা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না।
৪. যানবাহনের কালো ধোঁয়া রোধে গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে পায়ে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার করতে হবে।
৫. জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

প্রশ্ন ৯। পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ কী? মাটি ও পানি দূষণের দুটি করে কারণ লেখ।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো শিল্পায়ন।
মাটি দূষণের দুইটি কারণ হলো-
১. কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক।
২. গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য।
পানি দূষণের দুটি কারণ হলো-
১. পানিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হয়ে পানি দূষিত হয়।
২. কারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে পানি দূষিত হয়।

প্রশ্ন ১০। পরিবেশ সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ? পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।
পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিচে চারটি বাক্যে দেওয়া হলো-
১. সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য।
২. প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহার করার জন্য।
৩. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য।
৪. শক্তির অপচয় রোধ করার জন্য।

প্রশ্ন ১১। পরিবেশ সংরক্ষণ কী? পরিবেশ সংরক্ষণে তোমার চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।
পরিবেশ সংরক্ষণে আমার চারটি করণীয় নিচে দেওয়া হলো-
১. কাজ শেষে বাতি নিভিয়ে রাখা।
২. গাড়ি চড়ার পরিবর্তে পায়ে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার করা।
৩. প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমানো।
৪. পুনঃব্যবহার করা ও রিসাইকেল ব্যবহার করা।

আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণীর বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

Codehorse App

Check Also

৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

পঞ্চম শ্রেণি জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম শ্রেণি জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রশ্নোত্তর: বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। বাড়তি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *