Breaking News
চতুর্থ শ্রেণী ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
চতুর্থ শ্রেণী: নবি ও রাসুলগণের পরিচয় ও জীবনাদর্শ

চতুর্থ শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণীর পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর: মহান আল্লাহর বাণী যেসব মনীষী মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁরা নবি-রাসুল হিসেবে পরিচিত। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি-রাসুল ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (স)। তিনি আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (স) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আব্বার নাম আব্দুল্লাহ এবং মায়ের নাম আমিনা।

চতুর্থ শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর: 
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও।
১) মহানবি (স)-এর মায়ের নাম কী?
ক. মরিয়ম
খ. আমিনা✓
গ. আছিয়া
ঘ. ফাতিমা
২) হিলফুল ফুজুল কত বছর স্থায়ী ছিল?
ক. ২০ বছর
খ. ৩০ বছর
গ. ৪০ বছর
ঘ. ৫০ বছর✓
৩) মহানবি (স) কতো বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন?
ক. ৪০ বছর✓
খ. ৪৫ বছর
গ. ৫০ বছর
ঘ. ৫৩ বছর
৪) হযরত মূসা (আ)-এর পিতার নাম কী?
ক. ইউসুফ
খ. ইমরান✓
গ. ইদরীস
ঘ. ইউনুস
৫) মিশর ছেড়ে হযরত মূসা (আ) কোথায় গিয়েছিলেন?
ক. ইরাকে
খ. ইরানে
গ. সিরিয়া
ঘ. মাদায়ানে✓
৬) হযরত হূদকে (আ) কোন জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিল?
ক. আদ✓
খ. সামুদ
গ. কুরাইশ
ঘ. কিবতী
৭) হযরত ইসহাক (আ)-এর পিতার নাম কী?
ক. হযরত নূহ (আ)
খ. হযরত ইদরীস (আ)
গ. হযরত ইবরাহীম (আ)✓
ঘ. হযরত সুলায়মান (আ)
৮) হযরত যাকারিয়া (আ)-এর পুত্রের নাম কী?
ক. হারুন
খ. ইউসূফ
গ. ইয়াহিয়া✓
ঘ. ইমরান।
খ. শূন্যস্থান পূরণ কর:
১. কুরআন মজিদে __ জন নবি-রাসুলের নাম উল্লেখ আছে।
২. মহানবি (স)__এর নাম আবু তালিব।
৩. মহানবি (স)__এর ওপর অটল বিশ্বাস ছিল।
৪. হিলফুল ফুজুল শব্দের অর্থ__ সংঘ।
৫. প্রথম তিন বছর __ জন নর-নারী ইসলাম গ্রহণ করেন।
উত্তর: (১) ২৫, (২) চাচার, (৩) আল্লাহর, (৪) শান্তি, (৫) ৪৫।

চতুর্থ শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

গ. বাম দিকের শব্দের সাথে ডান দিকের চিহ্নের মিল কর:
উত্তর:

ক) মহানবি (স.)-এর আম্মা আমিনা ইন্তিকাল করেন মহানবি (স.)-এর ৬ বছর বয়সে।
খ) মহানবি (স.) হিলফুল ফুজুল গঠন করেন ১৫ বছর বয়সে।
গ) মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত লাভ করেন ৪০ বছর বয়সে।

চতুর্থ শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

সংক্ষেপে উত্তর দাও:

১. মহানবি (স) কত খ্রিস্টাব্দে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা:) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরবের মক্কা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

২. মুহাম্মদ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মুহাম্মদ শব্দের অর্থ হলো যিনি প্রশংসিত বা যার প্রশংসা করা হয়।

৩. পৃথিবীর সর্বপ্রথম নবির নাম লেখ।
উত্তর: পৃথিবীর সর্বপ্রথম নবী হলেন হযরত আদম (আ:)।

৪. হিলফুল ফুজুল কী?
উত্তর: হিলফুল ফুজুল একটি শান্তিসংঘ।

৫. মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর: মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, “যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। তাদের কষ্ট দেবে না। মর্যাদা দেবে। নিজে যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে। নিজে যা পরবে তাদের তা পরাবে। কাজেকর্মে তাদের সাহায্য করবে।”

৬. প্রাচীনকালে মিশরের বাদশাহকে কী বলা হতো?
উত্তর: প্রাচীনকালে মিশরের বাদশাহকে ফেরাউন বলা হতো।

৭. মুসা (আ) কার ঘরে এবং অর্থব্যয়ে লালিত পালিত হয়েছিলেন?
উত্তর: হযরত মুসা (আ:) মিশরের বাদশাহ ফিরাউনের রাজপ্রাসাদে এবং তার অর্থব্যয়ে লালিত-পালিত হয়েছিলেন।

৮. নারীদের মধ্যে এবং পুরুষদের মধ্যে কে কে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন?
উত্তর: নারীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন হযরত খাদিজা (রা:), আর পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন হযরত আবু বকর (রা:) ।

চতুর্থ শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর:

বর্ণনামূলক প্রশ্ন:
১. মুহাম্মদ (স)-এর চরিত্রের ৫টি সুন্দর আদর্শ লেখ। সামাজিক জীবনে উক্ত আদর্শগুলোর গুরুত্ব কী?
উত্তর: মুহাম্মদ (স)-এর চরিত্রের পাঁচটি সুন্দর আদর্শ হলো-
১. শিশুকাল থেকেই তিনি সবসময় সত্য কথা বলতেন।
২. মানুষের উপকার করতেন।
৩. বড়দের সম্মান করতেন।
৪. ছোটদের আদর করতেন।
৫. কাউকে গালি দিতেন না।
সামাজিক জীবনে উক্ত আদর্শের গুরুত্ব অনেক। সমাজের সুন্দর ও আদর্শবান মানুষ হতে হলে তাঁর এ আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। আদর্শবান মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রের অমূল্য সম্পদ।

২. শিশু মুহাম্মদ (স) কীভাবে অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন? বর্ণনা কর।
উত্তর: মহানবি (স) ছোটবেলা থেকেই অপরের অধিকার সম্পর্কে অত্যন্ত সজাগ ছিলেন। শিশু অবস্থায়ই তিনি অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন। তাঁর দুধমা হালিমার একটি পুত্র সন্তান ছিল। তিনি তাঁর দুধমার একটি স্তনের দুধ নিজে পান করতেন এবং অন্য স্তনের দুধ তাঁর দুধ ভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অপরের দুঃখে দুঃখ পেতেন। অন্যের কষ্টে কষ্ট পেতেন, অন্যের ব্যথায় ব্যথিত হতেন।

৩. মহানবি (স) নিজ হাতে কী কী কাজ করতেন? নিজ নিজ পরিবারে নিজ হাতে করতে পারা যায় এমন ৫টি কাজের তালিকা তৈরি কর।
উত্তর: মহানবি (স) নিজ হাতে যেসব কাজ করতেন তা হলো-
১. মহানবি (স) ছেঁড়া জামাকাপড় নিজ হাতে সেলাই করতেন।
২. জুতা মেরামত করতেন।
৩. জামাকাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করতেন।
৪. ঘর ঝাড়ু দিতেন।
৫. মেহমানকে নিজে খাওয়াতেন।
৬. সেবাযত্ন করতেন।
৭. সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করতেন।
নিজ নিজ পরিবারে নিজ হাতে করতে পারা যায় এমন পাঁচটি কাজের তালিকা হলো-
১. পড়ার টেবিল পরিষ্কার করা।
২. পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে তার সেবাযত্ন করা।
৩. বাবা-মায়ের কাজে সহযোগিতা করা।
৪. বাড়িঘর অপরিষ্কার হলে পরিষ্কার করা।
৫. পরিবারের সবাই মিলেমিশে যেকোনো কাজ করা।

৪. মহানবি (স) চাকর ও শ্রমিকদের সম্পর্কে কী বলেছেন তার বর্ণনা দাও।
উত্তর: মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, “যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। তাদের কষ্ট দেবে না। মর্যাদা দেবে। নিজে যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে। নিজে যা পরবে তাদের তা পরাবে। কাজকর্মে তাদের সাহায্য করবে।” মহানবি (স) শ্রমিকদের সম্পর্কে আরও বলেছেন, “শ্রমিককে তার গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।”

৫. ফিরআউন কীভাবে মারা যায় তার বর্ণনা দাও।
উত্তর: হযরত মূসা (আ.) ফিরআউনের কু-মতলব জানতে পেরে ইসরাইলিদের নিয়ে মিশর ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। সংবাদ পেয়ে ফিরআউন তার সৈন্য বাহিনী নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করল। মূসা (আ.) তাঁর অনুসারীদের নিয়ে নীল নদের তীরে উপস্থিত হলেন। সামনে নীল নদ ও পেছনে ফিরআউন বাহিনী।
আল্লাহ তায়ালার আদেশে মূসা (আ.) হাতের লাঠি দিয়ে নদীতে আঘাত করলেন। পানি দুই ধারে সরে গেল। বনি ইসরাইলের ১২টি দলের জন্য ১২টি রাস্তা হয়ে গেল। হযরত মূসা (আ.) তাঁর লোকজনসহ নিরাপদে নদী পার হয়ে গেলেন। ফিরআউন নদীতে শুকনা রাস্তা দেখে সে রাস্তা ধরেই পার হতে লাগল। যেই না তারা নদীর মাঝখানে পৌঁছল, অমনি রাস্তা নদীর পানিতে মিলিয়ে গেল। ফিরআউন তার দলবসলসহ ডুবে মরল। আল্লাহর নবিকে ধ্বংস করতে গিয়ে নিজেই সদলবলে ধ্বংস হলো।

৬. আদজাতি কোথায় বসবাস করত? তাদের ধ্বংসের কারণ লেখ।
উত্তর: আদ জাতি আম্মান থেকে শুরু করে হাযরামাওত ও ইয়েমেন পর্যন্ত বসবাস করত।
আদ জাতির ধ্বংসের কারণ হলো- তারা ছিল অত্যাচারী ও অহংকারী। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে মূর্তিপূজা ও নানা রকম শিরকে লিপ্ত ছিল। তারা অহংকার করে আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ অমান্য করল। হযরত হুদ (আ.) তাদের আজাবের ভয় দেখান, কিন্তু তারা ভয় পেল না। ফলে শাস্তিস্বরূপ প্রথমে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষ এলো। এতেও তারা শোধরাল না। পরে তাদের ওপর লাগাতার ৭ রাত ৮ দিন ভীষণ ঘূর্ণিঝড় চলল। এতে তাদের ঘরবাড়ি, দালানকোঠা, গাছপালা ও লোকজন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। গোটা এলাকা মরুভ‚মিতে পরিণত হলো। অহংকার তাদের পতনের কারণ হলো।

৭. লূত বা মৃত সাগর কোথায়? বর্ণনা কর।
উত্তর: আরব, ফিলিস্তিন ও শামের মানচিত্রে দৃষ্টিপাত করলে বর্তমান পূর্ব জর্দান ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি বিখ্যাত ও বিশাল যে জলাশয় দেখা যায় সেখানে দূত বা মৃতসাগর অবস্থিত।
সামুদ ছিল অত্যন্ত উর্বর ও সবুজ-সজীব এলাকা। লূত (আ) সেখানেই বসতি নির্মাণ করেন। সেখানকার লোকেরা অতিবিলাসী জীবনযাপন করত। তারা পাপ, লজ্জাহীনতা ও নাফরমানির কাজগুলো গর্বের সাথে প্রকাশ্যে করে বেড়াত। এজন্য আল্লাহ তায়ালা আজাবস্বরূপ বিকট শব্দ ও পাথরবৃষ্টি বর্ষণ করলেন এবং এলাকাটিকে উল্টিয়ে দিলেন। এতে মৃতসাগর সৃষ্টি হয়। সামুদবাসীর আজাবের নিদর্শনস্বরূপ তা এখনও বিদ্যমান।

পরীক্ষা উপযোগী অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:

প্রশ্ন ১। হযরত মুহাম্মদ (স) বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ বংশের লোকেরা কোন নগরীতে বাস করত?
উত্তর: কুরাইশ বংশের লোকেরা মক্কা নগরীতে বাস করত।

প্রশ্ন ২। হযরত মুহাম্মদ (স) অল্প বয়সেই তাঁর বাবা মাকে হারিয়েছিলন। তাঁর বাবা ও মার নাম কী ছিল?
উত্তর: মহানবি (স)-এর বাবার নাম আব্দুল্লাহ এবং মায়ের নাম আমিনা।

প্রশ্ন ৩। নবি (স)-কে সবাই ‘আল-আমিন’ বলে ডাকত। এ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘আল-আমিন’ শব্দের অর্থ বিশ্বাসী।

প্রশ্ন ৪। জাহেলিয়া যুগে মহানবি (স) কে ‘আল-আমিন’ বলে ডাকা হতো। তাঁকে এ নামে ডাকা হতো কেন?
উত্তর: মহানবি (স) এর সততা, সত্যবাদিতা ও চারিত্রিক মাধুর্যের জন্য মক্কাবাসীরা তাঁকে আল-আমীন বলে ডাকত।

প্রশ্ন ৫। মহানবি (স) তাঁর বিশ্বস্ততার জন্য আরবদের দ্বারা একটি উপাধি পেয়েছিলেন। সেই উপাধিটি কী ছিল?
উত্তর: মহানবি (স) তাঁর বিশ্বস্ততার জন্য আরবদের দ্বারা যে উপাধি পেয়েছিলেন তাহলো ‘আল-আমিন’।

প্রশ্ন ৬। জাকির তার মায়ের কাছ থেকে রাসুল (স)-এর ছোটবেলায় সংঘটিত একটি যুদ্ধের ঘটনা জানল। জাকির কোন যুদ্ধ সম্পর্কে জানল?
উত্তর: রাসুল (স)-এর ছোটবেলায় সংঘটিত যুদ্ধটি হলো হারবুল ফিজার। তাই জাকির ‘হারবুল ফিজার’ সম্পর্কে জানল।

প্রশ্ন ৭। হারবুল ফিজার ছিল একটি ভয়াবহ যুদ্ধ। এ যুদ্ধ কতদিন স্থায়ী ছিল?
উত্তর: হারবুল ফিজার যুদ্ধ পাঁচ বছর স্থায়ী ছিল।

প্রশ্ন ৮। হারবুল ফিজারের ভয়াবহতা দেখে রাসুল (স)-এর প্রাণ কেঁপে ওঠে। তখন তিনি কী করেছেন?
উত্তর: হারবুল ফিজারের ভয়াবহতা দেখে রাসুল (স) শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন।

প্রশ্ন ৯। মহানবি (স) হেরা গুহায় ধ্যান করতেন। এটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: হেরা গুহা মক্কায় অবস্থিত।

প্রশ্ন ১০। হেরা গুহায় মহানবি (স) নবুয়ত লাভ করেন। তিনি কত বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন?
উত্তর: মহানবি (স) ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন।

প্রশ্ন ১১। হেরা গুহায় প্রথম কুরআন নাজিল হয়। সেখানে কুরআনের কোন অংশ প্রথমে নাজিল হয়?
উত্তর: হেরা গুহায় সর্বপ্রথম সূরা আলাকের প্রথম ৫টি আয়াত নাজিল হয়।

প্রশ্ন ১২। একজন মহিলা মহানবির কাছে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি কে?
উত্তর: যে মহিলা মহানবি (স)-এর নিকট সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি হলেন মহানবি (স)-এর স্ত্রী হযরত খাদিজা (রা)।

প্রশ্ন ১৩। মহানবি (স) আল্লাহর নির্দেশে প্রকাশ্যে ইসলামের প্রচার শুরু করেন। তখন কারা তাঁর ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়?
উত্তর: মহানবি (স) আল্লাহর নির্দেশে প্রকাশ্যে ইসলামের প্রচার শুরু করলে মক্কার কাফির মুশরিকরা তাঁর ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়।

প্রশ্ন ১৪। আমাদের বাসাবাড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা, গরিব লোকজন ও মহিলারা কাজ করেন। আমরা তাদের সাথে কেমন আচরণ করব?
উত্তর: আমাদের বাসাবাড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা, গরিব লোকজন ও মহিলারা কাজ করেন। আমরা তাদের সাথে ভালো আচরণ করব।

প্রশ্ন ১৫। মহানবি (স) একজন মহামানব। তাঁকে আল্লাহতায়ালা কিসের মর্যাদা দিয়েছেন?
উত্তর: মহানবি (স)-কে আল্লাহতায়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুলের মর্যাদা দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ১৬। মা আমাদের সবার প্রিয়। তাঁর মর্যাদা সম্পর্কে মহানবি (স) কী বলেছেন?
উত্তর: মায়ের মর্যাদা সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত।”

প্রশ্ন ১৭। মহানবি (স) ছিলেন অতি দয়ালু। দয়া সম্পর্কে তিনি কী বলেছেন?
উত্তর : দয়া সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “পৃথিবীতে যারা আছে তাদের প্রতি দয়া দেখাও, তাহলে আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া দেখাবেন।”

প্রশ্ন ১৮। মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহতায়ালা অনেক নবি ও রাসুল প্রেরণ করেছেন। কুরআন মজিদে এ ধরনের কতজন মনীষীর নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর: কুরআন মজিদে ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম উল্লেখ আছে।

প্রশ্ন ১৯। মূসা (আ)-কে হত্যা করার জন্য ফিরাউন তাঁর পিছু নিল। এ ফিরাউনের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: মুসা (আ)-কে হত্যা করার জন্য যে ফিরাউন তাঁর পিছু নিয়েছিল সেই ফিরাউনের প্রকৃত নাম ওলীদ।

প্রশ্ন ২০। মিশর হযরত মূসা (আ)-এর জন্মস্থান। তাঁর পিতামাতা কে ছিলেন?
উত্তর: হযরত মূসা (আ)-এর পিতা হলেন ইমরান ও মাতা হলেন ইউখাবেজ।

প্রশ্ন ২১। হযরত মূসা (আ) একজন বিখ্যাত নবি ও রাসুল। তিনি কত খ্রিষ্টাব্দে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: হযরত মূসা (আ) খ্রিষ্টপূর্ব ১০৪০ অব্দে মিশরে ইসরাইল বংশে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ২২। ওলীদ ছিল মিসরের রাজা। তার মন্ত্রী ও বন্ধু কে ছিল?
উত্তর: ওলীদের মন্ত্রী ও বন্ধু ছিল হামান।

প্রশ্ন ২৩। হযরত মূসা (আ) একজন বিখ্যাত নবি ও রাসুল। তিনি কোথায় নবুয়ত লাভ করেন?
উত্তর: হযরত মূসা (আ) তুর পাহাড়ের পাদদেশে ‘তুয়া’ নামক পবিত্র উপত্যকায় নবুয়ত লাভ করেন।

প্রশ্ন ২৪। পূর্ব জর্দান ও ফিলিস্তিনের মধ্যে মৃত সাগর অবস্থিত। এটি কাদের ধ্বংসের নিদর্শন?
উত্তর: মৃত সাগর সামুদ জাতির ধ্বংসের নিদর্শন।

প্রশ্ন ২৫। হযরত শুয়াইব (আ)-কে আহলে মাদায়েনের জন্য পাঠানো হয়েছিল? তারা কিসের পূজা করত?
উত্তর: আহলে মাদায়েন মূর্তিপূজা করত।

প্রশ্ন ২৬। মরিয়ম (আ)-এর অভিভাবক ছিলেন যাকারিয়া (আ)। তিনি কার বংশধর ছিলেন?
উত্তর: হযরত যাকারিয়া (আ) হযরত সুলাইমান (আ)-এর বংশধর ছিলেন।

প্রশ্ন ২৭। জাকিয়া তার বাবার কাছে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবির নাম জানতে চায়। জাকিয়ার প্রশ্নের জবাবে তার বাবা কার নাম বলবে?
উত্তর: জাকিয়ার বাবা বলবে, সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

প্রশ্ন ২৮। হযরত যুলকিফল ছিলেন আল্লাহর প্রিয়বান্দা। তাঁর পিতার নাম কী?
উত্তর: হযরত যুলকিফল (আ)-এর পিতার নাম হলো হযরত আইয়ুব (আ)।

প্রশ্ন ২৯। আদ জাতি অত্যাচারী ও অহংকারী ছিল। আল্লাহ তায়ালা কাকে তাদের হিদায়েতের জন্য পাঠিয়েছিলেন?
উত্তর: মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত হূদ (আ)-কে ‘আদ’ জাতির হিদায়েতের জন্য পাঠিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৩০। ১৮৬ বছর বয়সে কোন নবি ইন্তিকাল করেন?
উত্তর: হযরত ইসহাক (আ) ১৮৬ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন।

প্রশ্ন ৩১। হযরত ইলিয়াস (আ) বনি ইসরাইল বংশের নবি।
তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: হযরত ইলিয়াস (আ) জর্দানের ‘আলআদ’ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ৩২। ইসরাইলিরা মূর্তির পূজারি ছিল। তাদের প্রধান মূর্তির নাম কী?
উত্তর: ইসরাইলিদের প্রধান মূর্তির নাম হলো- বা’ল দেবতা।

প্রশ্ন ৩৩। হযরত আইয়ূব (আ) এর পুত্রের নাম যুলকিফল। এর অর্থ কী?
উত্তর : যুলকিফল অর্থ প্রতিজ্ঞা রক্ষাকারী বা দায়িত্ব পালনকারী।

প্রশ্ন ৩৪। আমরা হযরত আদম (আ)-কে আদি পিতা বলে জানি। তাঁকে আদি পিতা বলা হয় কেন?
উত্তর: হযরত আদম (আ) হলেন পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানুষ ও সর্বপ্রথম নবি। তাই তাঁকে আদি পিতা বলা হয়।

প্রশ্ন ৩৫। মহানবি (স) আমাদের প্রিয় ও শেষ নবি। তিনি কখন, কোথায়, কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: মহানবি (স) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্ক নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ৩৬। মহানবি (স) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: মহানবি (স) কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ৩৭। হযরত মুসা (আ) তুর পাহাড়ে গিয়েছিলেন কেন?
উত্তর: হযরত মুসা (আ) আল্লাহর নির্দেশে তাওরাত কিতাব আনার জন্য তুর পাহাড়ে গিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৩৮। মহানবি (স) কত বছর বয়সে এবং কোন গুহায় নবুয়ত লাভ করেন?
উত্তর: মহানবি (স) ৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় নবুয়ত লাভকরেন।

আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণীর কোরআন মজিদ শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Codehorse App

Check Also

চতুর্থ শ্রেণীর বিশ্বপরিচয় প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণীর বিশ্বপরিচয় আমাদের সংস্কৃতি প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণীর বিশ্বপরিচয় আমাদের সংস্কৃতি প্রশ্ন উত্তর: সংস্কৃতি হচ্ছে আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের ধরন। এর মধ্যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *