চতুর্থ শ্রেণি বাংলা নেমন্তন্ন প্রশ্ন উত্তর
চতুর্থ শ্রেণি: নেমন্তন্ন

চতুর্থ শ্রেণি বাংলা নেমন্তন্ন প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণি বাংলা নেমন্তন্ন প্রশ্ন উত্তর: এই ছড়াটিতে আসলে একটা হাসির গল্প বলা হয়েছে। একজন লোক ভজন গান শুনতে চাংড়িপোতা নামের একটা জায়গায় যাচ্ছে। পথে এক বন্ধুর সাথে দেখা। বন্ধু একটার পর একটা প্রশ্ন করছে, আর সে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে।

চতুর্থ শ্রেণি বাংলা নেমন্তন্ন প্রশ্ন উত্তর:

১. জেনে নিই।
এই ছড়াটিতে আসলে একটা হাসির গল্প বলা হয়েছে। একজন লোক ভজন গান শুনতে চাংড়িপোতা নামের একটা জায়গায় যাচ্ছে। পথে এক বন্ধুর সাথে দেখা। বন্ধু একটার পর একটা প্রশ্ন করছে, আর সে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বোঝা গেল – ভজন গান শোনার চেয়ে তার অনেক বেশি লোভ ভোজনে, অর্থাৎ ভালো ভালো খাবার খাওয়ায়। তার বন্ধু সঙ্গে যেতে চাইলেও সে তাকে নেয় না। কারণ, বন্ধু সঙ্গে গেলে তার খাওয়া যদি কম হয়- এই ভয়।

২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং বাক্য তৈরি করে বলি ও লিখি।
ভজন, প্রসাদ, ভোজন, সাধ, সরপুরিয়া, আয়েস, রাবড়ি, ক্ষীর, কদলী, ফলার, ফজলি আম, সবরি কলা।
উত্তর:
ভজন – এক ধরনের গান । – মামার সাথে ভজন শুনতে গিয়েছিলাম।
প্রসাদ – আশীর্বাদ বা দোয়া হিসেবে দেয়া খাবার। – প্রসাদ ভোজনে খুব তৃপ্তি পেলাম।
ভোজন – আহার, খাওয়া। – রফিক ভোজন করতে বসেছে।
সাধ – ইচ্ছা। – আমার খেলোয়াড় হওয়ার সাধ।
সরপুরিয়া – দুধের সর দিয়ে তৈরি একরকম মিষ্টি। – রনির সরপুরিয়া খুবই প্রিয়।
আয়েস -আরাম, তৃপ্তি।- বৃদ্ধরা শীতের সময় লেপ-কাঁথা গায়ে দিয়ে বেশ আয়েস করে ঘুমান।
রাবড়ি -খুবই মিষ্টি এক ধরনের খাবার।- লোকটি রাবড়ি খেতে খুব পছন্দ করে।
ক্ষীর -দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন।– ক্ষীর অনেকেরই খুব প্রিয় খাবার।
কদলী -কলা।- কদলী খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।
ফলার -দই, চিড়া, দুধ, মিষ্টান্ন, বিভিন্ন প্রকার ফল ইত্যাদির মিশ্রণে প্রস্তুত ভোজ্যদ্রব্য।– হিন্দুদের পূজার শেষে ফলার প্রসাদ দেওয়া হয়।
ফজলি আম-খুবই সুগন্ধ ও মিষ্টি স্বাদের আম।– ফজলি আম আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি আম।
সবরি কলা -এক রকম কলার নাম।- আমি সবরি কলা খেতে পছন্দ করি।

৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি।
প্রশ্ন ক. লোকটি কোথায় যাচ্ছে? কেন যাচ্ছে?
উত্তর: লোকটি চাংড়িপোতা যাচ্ছে। সেখানে তার নিমন্ত্রণ রয়েছে। সেখানে ভজন শেষে প্রসাদ ভোজন হবে। তাই সে সেখানে যাচ্ছে।
প্রশ্ন খ. এ কবিতায় কী কী খাবারের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর: এ কবিতায় বেশকিছু খাবারের নাম রয়েছে। যেমন-ছানার পোলাও, সরপুরিয়া, রাবড়ি পায়েস, ক্ষীর, কদলী, সবরি কলা এবং ফজলি আম।
প্রশ্ন গ. কোন খাবার সে আয়েস করে খেতে চায়?
উত্তর: লোকটির কাছে সব ধরনের খাবারই খুব প্রিয়। তবে রাবড়ি পায়েস সে খুব আয়েস করে খেতে চায়।
প্রশ্ন ঘ. লোকটি কোন কোন ফল খেতে চায়?
উত্তর: লোকটি সবরি কলা, ফজলি আম এসব খেতে চায়।
প্রশ্ন ঙ. সে কোন আম খেতে চাইছে?
উত্তর: সে ফজলি আম খেতে চাইছে।
প্রশ্ন চ. ভজন আর ভোজনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: ভজন হচ্ছে দেব-দেবীর আরাধনা করা। অর্থাৎ দেব-দেবীকে খুশি করার জন্য যে প্রশংসামূলক গান গাওয়া হয় তাকে ভজন বলে। আর ভোজন হচ্ছে আহার করা। ভজন শেষে যে আশীর্বাদমূলক প্রসাদ বা খাবার দেওয়া হয় এখানে তাকেই ভোজন বলা হয়েছে।

৪.লোকটি কী কী খাবার খেতে চাইছে তার তালিকা বানাই।
উত্তর:
i) ছানার পোলাও
ii) সরপুরিয়া
iii) রাবড়ি পায়েস
iv) ক্ষীর, কদলী
v) সবরি কলা
vi) ফজলি আম

৫. নেমন্তন্ন সম্পর্কে নিজের কোনো মজার ঘটনা বলি।
উত্তর: আমি একদিন বাবা-মায়ের সাথে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে সবার সাথে খাওয়া দাওয়ার সময় তাদের বাড়ির কুকুরটা হঠাৎ বিকটভাবে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। ছোটবেলায় কুকুর দেখে আমি প্রচণ্ড ভয় পেতাম। অত জোরে কুকুরে চিৎকার শুনে আমি ভীষণভাবে চমকে উঠি। এতে আমার হাতে ধরা খাবারের প্লেটটা উল্টে বাবার কোলের উপর পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখে সবাই হেসে ওঠে।

৬. আমার প্রিয় খাবারের নাম লিখি এবং কেন প্রিয় তা লিখি।
উত্তর: আমার প্রিয় খাবার হলো পায়েস। কারণ আমি মিষ্টি জাতীয় খাবার ভালোবাসি। তাছাড়া পায়েস দুধ, চিনি ও আতপ চাল দিয়ে রান্না করা হয় বলে এর স্বাদ আমার কাছে ভালো লাগে।

৭. একই অর্থ হয় এমন শব্দগুলো জেনে নিই।
নেমন্তন্ন – নিমন্ত্রণ, দাওয়াত।
সাধ – ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, বাসনা, কামনা।
বিয়ে – বিবাহ, পরিণয়, সাদি।

৮. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই।
ক) লোকটি আয়েশ করে খেতে চায় ………..। প্রসাদ ভোজন
খ) লোকটি চাংড়িপোতা যাচ্ছে ………। সবরি কলার
গ) শুধু ভজন নয়, সাথে আছে ………..। রাবড়ি পায়েস
ঘ) লোকটি খেতে চায় ………..। ভজন শুনতে
ঙ) বাঃ কী ফলার …….। ছানার পোলাও
উত্তর: ক) রাবড়ি পায়েস; খ) ভজন শুনতে; গ) প্রসাদ ভোজন; ঘ) ছানার পোলাও; ঙ) সবরি কলার।

৯. ছড়াটি আবৃত্তি করি।
উত্তর: ছড়াটি ভালোভাবে মুখস্থ করে শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে আবৃত্তি কর।

১০. ছড়াটি পড়ি ও ঠিকমতো বিরামচিহ্ন বসিয়ে লিখি।
উত্তর: নিজে নিজে চেষ্টা কর।

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ :
(ক) কবিতাংশে কিসের কথা বলা হয়েছে? লোকটি কোথায় যাচ্ছে?
উত্তর: ১. কবিতাংশে ভজন শুনতে- যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২. লোকটি ভজন শুনতে চাংড়িপোতা যাচ্ছে।
(খ) ‘বিয়ের বুঝি? না, বাবুজি’- কথাটির অর্থ কী? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: ১. কবিতাংশের লোকটি চাংড়িপোতা যাচ্ছে নিমন্ত্রণে।
২. তখন পথে তার একজন লোকের সাথে দেখা হয়।
৩. পথের লোকটি তাকে চাংড়িপোতা যাওয়ার কারণ বিয়ের নিমন্ত্রণ কিনা জিজ্ঞেস করে।
৪. লোকটি বলে- না, বিয়ের নয়, সে আসলে যাচ্ছে ভজন শুনতে।
(গ) প্রসাদ ভোজন কী? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:
১. দেব-দেবীর আরাধনামূলক গান বা পূজাকে ভজন বলে।
২. পূজা শেষে আশীর্বাদ হিসেবে যে খাওয়া-দাওয়া করা হয় তাকে প্রসাদ ভোজন বলে।
৩. কবিতাংশের লোকটি ভজন শোনার নিমন্ত্রণ পেয়ে চাংড়িপোতা যাচ্ছে।
৪. তার ইচ্ছা ভজনের সঙ্গে প্রসাদ ভোজন করার।

২। নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
নেমন্তন্ন, ভোজন, সাধ, আয়েশ।
উত্তর:
নেমন্তন্ন – শুক্রবার আমাদের বিয়ের নেমন্তন্ন আছে।
ভোজন – খোকার ভোজনে বেশি আগ্রহ নেই।
সাধ – সালমার চমচম খাওয়ার সাধ হয়েছে।
আয়েশ – দাদু আয়েশ করে পিঠা খাচ্ছেন।

৩। নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ক্ষ, ন্ত, চ্ছ, ন্ন, ঙ্গ।
উত্তর:
ক্ষ = ক + ষ – অপেক্ষা– আমরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।
ন্ত = ন + ত – প্রান্ত– নদীর প্রান্তে ঘন বন।
চ্ছ = চ + ছ – স্বচ্ছ– দিঘিটির পানি কাচের মতো স্বচ্ছ।
ন্ন = ন + ন – রান্না– রান্না হলেই খেতে বসব।
ঙ্গ = ঙ + গ – মঙ্গল।– বাবা-মা সর্বদা সন্তানের মঙ্গল চান।

আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণি মহীয়সী রোকেয়া প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণি বই পড়তে অনেক মজা

Codehorse App

Check Also

পাহাড়পুর রচনা চতুর্থ শ্রেণি (PDF)

পাহাড়পুর রচনা চতুর্থ শ্রেণি (PDF)

পাহাড়পুর রচনা চতুর্থ শ্রেণি (PDF): প্রিয় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, আজ আমরা সুন্দর একটি রচনা লিখব …

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *