আবহাওয়া ও জলবায়ু চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান: রোদ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা, মেঘ, কুয়াশা ও বায়ুপ্রবাহ এ অবস্থাগুলো মিলে কোনো স্থানের আবহাওয়া নির্ধারিত হয়। আবার, জলবায়ু হলো কোনো জায়গার অনেক বছরের আবহাওয়ার একটি সামগ্রিক অবস্থা। আবহাওয়ার উপাদানগুলো হচ্ছে আকাশের অবস্থা, বায়ুর তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাত। অন্যদিকে জলবায়ু ঐ স্থানের অক্ষাংশ, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে স্থানটির উচ্চতা ও সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্বের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের জলবায়ুতে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত এ ছয়টি ঋতুর বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। আর এটিই বাংলাদেশের জলবায়ুর কাঠামো।
আবহাওয়া ও জলবায়ু চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান:
১. শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা হলো___।
২) মেঘের ক্ষুদ্র পানি কণা একত্রে মিলিত হয়ে___হয়।
৩) বাংলাদেশে ___ কালে কুয়াশা পড়ে।
8) ভালো ফসল ফলাতে ___প্রয়োজন।
উত্তর: ১) জলবায়ু, ২) বৃষ্টি, ৩) শীত, ৪) বৃষ্টি।
২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দাও।
১) কোনটি আবহাওয়ার উপাদান নয়?
ক. তাপমাত্রা
খ. আর্দ্রতা
গ. অক্ষাংশ✔
ঘ. বায়ুপ্রবাহ
২) আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ কী?
ক. বৃষ্টি
খ. কুয়াশা
গ. বায়ুপ্রবাহ✔
ঘ. মেঘ
৩) মেঘ তৈরি হয় কোনটি থেকে?
ক. বাতাস
খ. রোদ
গ. শিশির
ঘ. জলীয়বাষ্প✔
৪) কোনটির উপর কোনো স্থানের জলবায়ু নির্ভর করে?
ক. বিষুবরেখা
খ. সূর্য থেকে স্থানটির দূরত্ব
গ. চাঁদ
ঘ. সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্ব✔
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:
প্রশ্ন ১। আবহাওয়ার উপাদানগুলোর নাম লেখ।
উত্তর: আবহাওয়ার উপাদানগুলো হলো- আকাশের অবস্থা, বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত।
প্রশ্ন ২। আর্দ্রতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: আর্দ্রতা বলতে কোনো স্থানের বাতাসে কতটুকু জলীয় বাষ্প আছে তার পরিমাণকে বোঝায়।
প্রশ্ন ৩। কুয়াশা ও শিশিরের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: কুয়াশা হলো এক ধরনের মেখ যা ভূপৃষ্ঠে দেখা যায় অন্যদিকে কুয়াশা যখন গাছের পাতা বা ঘাসের উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি কণার সৃষ্টি করে তখন তাকে শিশির বলে।
৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন ১। বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন বর্ণনা কর।
উত্তর: বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। এটি বছরের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু। আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুই মাস বর্ষাকাল। এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ভাদ্র ও আশ্বিন এ দুই মাস শরৎকাল। এটি ফসল ঘরে তোলার ঋতু। পৌষ ও মাঘ এ দুই মাস শীতকাল। এ সময় ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। ফাল্গুন ও চৈত্র এ দুই মাস বসন্তকাল। এ সময় শীত ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং আবহাওয়া উষ্ণ হতে থাকে। এটিই বাংলাদেশের জলবায়ুর কাঠামো।
প্রশ্ন ২। মেঘ কীভাবে তৈরি হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সূর্যের তাপে সাগর বা নদীর পানি বাষ্পীভূত হয়ে জলীয় • বাষ্পে পরিণত হয়। যখন বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয় তখন তা সূক্ষ্ম ধূলিকণার উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণা তৈরি করে। এভাবে সৃষ্ট ক্ষুদ্র পানি-কণাই হচ্ছে মেঘ।
প্রশ্ন ৩। অতিবৃষ্টি হলে কী সমস্যা হয়?
উত্তর: অতিবৃষ্টি হলে যেসব সমস্যা হয় তা হলো-
১. বাড়ি-ঘর পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।
২. মাঠের ফসল নষ্টের ফলে খাদ্যাভাব দেখা দেয়।
৩. রাস্তাঘাট ডুবে যায় এবং বিদ্যালয় ও হাটবাজারে যেতে অসুবিধা হয়।
৫. গবাদি পশুর চারণভূমি নষ্ট হয়।
প্রশ্ন ৪। আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
আবহাওয়া | জলবায়ু |
---|---|
আবহাওয়া হলো আকাশ ও বায়ুমণ্ডলের সাময়িক অবস্থা। | জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা। |
আবহাওয়ার পরিবর্তন প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট ধারায় হয়। | আবহাওয়া পরিবর্তনের ধারায় দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়। |
আবহাওয়া অল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। | জলবায়ু পরিবর্তন হতে অনেক বছর লেগে যায়। |
৫. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।
তাপমাত্রা আর্দ্রতা বায়ুপ্রবাহ বৃষ্টিপাত |
মৃদু বা প্রবল গরম বা ঠান্ডা ভারী বা হালকা আর্দ্র বা শুষ্ক |
উত্তর:
১. তাপমাত্রা গরম বা ঠান্ডা
২. আর্দ্রতা আর্দ্র বা শুষ্ক
৩. বায়ুপ্রবাহ মৃদু বা প্রবল
৪. বৃষ্টিপাত ভারী বা হালকা।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:
১. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১। বায়ুপ্রবাহ কী?
উত্তর: বায়ুপ্রবাহ হলো বায়ুর সচল অবস্থা।
প্রশ্ন ২। মেঘ তৈরির উপাদান কয়টি ও কী কী?
উত্তর: মেঘ তৈরির উপাদান তিনটি। যথা-১। পানি, ২। ধোঁয়া ও ৩। চাপ ও তাপমাত্রা।
প্রশ্ন ৩। বৃষ্টি কী?
উত্তর: মেঘের ক্ষুদ্র পানির কণাগুলো মিলিত হয়ে বড় পানির কণা তৈরি করে। বড় পানির কণাগুলো বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে না। ফোঁটা ফোঁটা পানি হয়ে নিচে নেমে আসে। একেই বৃষ্টি বলা হয়।
প্রশ্ন ৪। দুইটি ঋতুর নাম লেখ।
উত্তর: দুইটি ঋতুর নাম হলো- ১। গ্রীষ্ম ও ২। বর্ষা।
প্রশ্ন ৫। শিশির কী?
উত্তর: কুয়াশা গাছের পাতা বা ঘাসের উপর জমা হয়ে যে ক্ষুদ্র পানি-কণার সৃষ্টি করে তাই শিশির।
প্রশ্ন ৬। আবহাওয়া কী?
উত্তর: আবহাওয়া হলো প্রতিদিনের আকাশ ও বায়ুমণ্ডলের অবস্থা। যেমন- কোনো দিনের আকাশ থাকতে পারে রৌদ্রোজ্জ্বল বা মেঘাচ্ছন্ন। বাতাস হতে পারে গরম বা ঠান্ডা।
প্রশ্ন ৭। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কী বলা হয়?
উত্তর : আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে বা ‘হালকা কুয়াশা থাকতে পারে’ অথবা ‘তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন হবে না।
প্রশ্ন ৮। তাপমাত্রা কী?
উত্তর : বাতাস কতটা ঠান্ডা বা গরম সেই অবস্থাই হচ্ছে তাপমাত্রা।
প্রশ্ন ৯। আবহাওয়ার উপাদান কী?
উত্তর: আবহাওয়ার উপাদান বলতে কোনো জায়গার আকাশের অবস্থা, বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাতকে বুঝায়।
প্রশ্ন ১০। বিষুব রেখার কাছাকাছি ভূপৃষ্ঠ সবচেয়ে বেশি গরম হয় কেন?
উত্তর: বিষুব রেখার নিকট সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়। একারণেই বিষুব রেখার কাছাকাছি ভূপৃষ্ঠ সবচেয়ে বেশি গরম হয়।
প্রশ্ন ১১। বায়ুর তাপমাত্রার পরিবর্তন আকাশে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে হয় কেন?
উত্তর: সূর্য উঠলে বায়ু ধীরে ধীরে গরম হয় এবং তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। আবার বিকেলে সূর্য যখন অস্ত যায় তখন বায়ু ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয় এবং তাপমাত্রা কমতে থাকে। এ কারণে বায়ুর তাপমাত্রার পরিবর্তন আকাশে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে হয়।
আবহাওয়া ও জলবায়ু চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান:
২. শূন্যস্থান পূরণ কর ।
১। আমরা আবহাওয়ার অবস্থা বোঝানোর জন্য আর্দ্র বা ___বলে থাকি।
২। ___হালকা বা প্রবল হতে পারে।
৩। সূর্য উঠলে বায়ু ধীরে ধীরে গরম হয় এবং ___বাড়তে থাকে।
৪। বায়ুপ্রবাহ আবহাওয়ার ___ ঘটায়।
৫। ___বায়ু উপরে উঠে যায়।
৬। ক্ষুদ্র পানি-কণা আকাশে ___হিসেবে ভেসে বেড়ায়।
৭। অনেক সময় বৃষ্টির সাথে ___পড়ে।
৮। বৃষ্টির পানিতে গাছপালা ___হয়।
৯। অক্ষাংশের মান যত বেশি হবে___ তত শীতল হবে।
১০। বাংলাদেশের ঋতুগুলো ___ গোলার্ধের অন্যান্য দেশ থেকে ভিন্ন।
১১। প্রতিদিনের আকাশ ও বায়ুমণ্ডলের অবস্থাই হলো___।
১২। আবহাওয়ার অবস্থা বুঝাতে আবহাওয়া অফিস ___ব্যবহার করে।
১৩। শিলা হলো অসম আকৃতির ___ টুকরা।
১৪। ___সাইক্লোন সৃষ্টি করে।
১৫। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে ___একটি সাধারণ ঘটনা।
১৬। বাতাস কতটা ঠান্ডা বা গরম সেই অবস্থাই হচ্ছে___।
১৭। আর্দ্রতা হচ্ছে বাতাসে ___পরিমাণ।
১৮। বায়ুপ্রবাহকে এর___ ও গতি দ্বারা পরিমাপ করা যায়।
উত্তরমালা: ১। শুষ্ক; ২। বায়ুপ্রবাহ; ৩। তাপমাত্রা; ৪। পরিবর্তন; ৫। গরম; ৬।মেঘ; ৭। শিলা; ৮। সতেজ; ৯। জলবায়ু; ১০। উত্তর; ১১। আবহাওয়া; ১২। বিভিন্ন প্রতীক; ১৩। বরফের; ১৪। বায়ুপ্রবাহ; ১৫। বজ্রবৃষ্টি; ১৬। তাপমাত্রা; ১৭। জলীয়বাষ্পের; ১৮। দিক;
৩. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।
প্রশ্ন ১। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:
বাম পাশ | ডান পাশ |
---|---|
ক. সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু | ১. বর্ষাকাল |
খ. নীল আকাশে সাদা মেঘ | ২. শীতকাল |
গ. প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় | ৩. গ্রীষ্মকাল |
ঘ. ফসল ঘরে তোলার ঋতু | ৪. শরৎকাল |
ঙ. আবহাওয়া উষ্ণ হতে থাকে | ৫. হেমন্তকাল |
৬. বসন্তকাল | |
৭. শ্রীষ্মকাল |
উত্তরমালা:
ক. সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু গ্রীষ্মকাল।
খ. নীল আকাশে সাদা মেঘ শরৎকাল।
গ. প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় বর্ষাকাল।
ঘ. ফসল ঘরে তোলার ঋতু হেমন্তকাল।
ঙ. আবহাওয়া উষ্ণ হতে থাকে বসন্তকাল।
প্রশ্ন ২। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:
বাম পাশ | ডান পাশ |
---|---|
ক. কুয়াশা এক ধরনের | ১. শিলা |
খ. আবছায়া অবস্থা তৈরি হয় | ২. ২৪° সেলসিয়াস |
গ. জমাটবদ্ধ বৃষ্টি থেকে তৈরি হয় | ৩. ধূলিকণা থেকে |
ঘ. ঢাকার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা | ৪. বৃৎকার |
ঙ. ধূলিঝড় | ৫. ২৬° সেলসিয়াস |
৬. অর্ধবৃৎকার | |
৭. মেঘ |
উত্তরমালা:
ক. কুয়াশা এক ধরনের মেঘ।
খ. আবছায়া অবস্থা তৈরি হয় ধূলিকণা থেকে।
গ. জমাটবদ্ধ বৃষ্টি থেকে তৈরি হয় শিলা।
ঘ. ঢাকার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬° সেলসিয়াস।
ঙ. ভূপৃষ্ঠ অর্ধবৃত্তাকার।
আবহাওয়া ও জলবায়ু চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান:
৪. কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর:
প্রশ্ন ১। বায়ুপ্রবাহ কীভাবে বুঝা যায় তার দুইটি উদাহরণ দাও। আবহাওয়ার পরিবর্তনে বায়ুপ্রবাহের ভূমিকা দুইটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: বায়ুপ্রবাহ বুঝতে পারার দুইটি উদাহরণ হলো-
১. বিদ্যালয়ের পতাকা ওড়া,
২. গাছের ডালপালার নড়াচড়া।
আবহাওয়ার পরিবর্তনে বায়ুপ্রবাহের ভূমিকার দুইটি বাক্য হলো:
১. কোনো এলাকার মেঘ বাতাসের মাধ্যমে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে প্রবাহিত হয়।
২. ভূপৃষ্ঠের কোনো অঞ্চল অন্য অঞ্চল থেকে বেশি গরম হলে সেখানে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ২। বৃষ্টির তিনটি উপকারী দিক উল্লেখ কর। দীর্ঘসময় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কী অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: বৃষ্টির তিনটি উপকারী দিক হলো-
১. বৃষ্টির পানিতে গাছপালা সতেজ হয়।
২. বৃষ্টি হলে জমিতে ভালো ফসল ফলে।
৩. বৃষ্টি হতে আমরা খাবার পানি সংগ্রহ করি।
দীর্ঘসময় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তিনটি অবস্থা হলো:
১. নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সমতল ভূমি ডুবে যেতে পারে।
২. রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যেতে পারে।
৩. মাঠের ফসল, বাড়ি-ঘর পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন ৩। আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য কীভাবে জানা যায়? আবহাওয়ার বিভিন্ন অবস্থা বোঝানোর জন্য আবহাওয়া অফিস যে চার ধরনের প্রতীক ব্যবহার করে তা লেখ।
উত্তর: আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য সংবাদ মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে বা ইন্টারনেট থেকে জানা যায়। আবহাওয়ার বিভিন্ন অবস্থা বোঝানোর জন্য আবহাওয়া অফিস যে চার ধরনের প্রতীক ব্যবহার করে তা হলো-
১. রৌদ্রোজ্জ্বল প্রতীক,
২. আংশিক মেঘাচ্ছন্ন প্রতীক,
৩. বর্ষণ মুখর প্রতীক ও
৪. বজ্রবৃষ্টির প্রতীক।
প্রশ্ন ৪। জলবায়ু কী? বসন্ত ঋতুর দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখ। শরৎকাল সম্পর্কে দুইটি বাক্য লেখ।
উত্তর: জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা।
বসন্ত ঋতুর দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো:
১. এ সময় শীত ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. আবহাওয়া উষ্ণ হতে থাকে।
শরৎকাল সম্পর্কে দুইটি বাক্য হলো-
১. ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল।
২. শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। প্রশ্ন
৫। মেঘ কী? চার প্রকার মেঘের নাম উল্লেখ কর।
উত্তর: বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে তা সূক্ষ্ম ধূলিকণার উপর জমা হয় এবং ক্ষুদ্র পানি কণা তৈরি করে। এটাই মেঘ। চার প্রকার মেঘের নাম হলো-
১. সাদা ধোঁয়ার মতো মেঘ,
২. সাদা স্তরীভূত মেঘ,
৩. উঁচু স্তূপাকার মেঘ ও
৪. ধূসর স্তরীভূত মেঘ।
প্রশ্ন ৬। শিলা কী? উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে কয়টি ঋতু রয়েছে? ঋতুগুলো সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: শিলা হলো অসম আকৃতির বরফের টুকরো যা জমাটবদ্ধ বৃষ্টি থেকে তৈরি হয়।
উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে চারটি ঋতু রয়েছে। ঋতুগুলো সম্পর্কে নিচে লেখা হলো-
১. জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল।
২. সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত শরৎকাল।
৩. ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকাল।
৪. মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বসন্তকাল।
প্রশ্ন ৭। তাপমাত্রার দৈনিক পরিবর্তন সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ। অতিবৃষ্টি হলে হয় এরকম তিনটি সমস্যা লেখ।
উত্তর: তাপমাত্রার দৈনিক পরিবর্তন সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-
১. সূর্য উঠলে ধীরে ধীরে বায়ু গরম হয় এবং তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
২. বিকেলে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় বায়ু ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয় এবং তাপমাত্রা কমতে থাকে।
৩. বায়ুর তাপমাত্রার এই পরিবর্তন আকাশে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে হয়।
অতিবৃষ্টি হলে হয় এরকম তিনটি সমস্যা হলো-
১. বাড়ি-ঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়।
২. মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
৩. রাস্তাঘাট ডুবে যায়।