প্রাকৃতিক সম্পদ চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান: প্রাকৃতিক সম্পদ

প্রাকৃতিক সম্পদ চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

প্রাকৃতিক সম্পদ চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর: প্রকৃতিতে পাওয়া যা কিছু আমাদের কাজে লাগে তাই প্রাকৃতিক সম্পদ। আমাদের প্রয়োজনে আমরা নানা জিনিস ব্যবহার করি। এসব জিনিসের কিছু সরাসরি প্রকৃতি থেকে পাই। আবার প্রকৃতি থেকে পাওয়া জিনিস দিয়ে আমরা নানা বস্তু তৈরি করি।

প্রাকৃতিক সম্পদ চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর:

১. শূন্যস্থান পূরণ কর।

১) প্রকৃতির যা কিছু মানুষের কাজে লাগে তাই___।
২) সোনা, রূপা ইত্যাদি___সম্পদ।
৩) তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি ___জ্বালানি।
৪) পুরোনো বস্তুকে___করে নতুন বস্তুতে পরিণত করা হয়।
৫) বায়ুপ্রবাহ ও পানির স্রোত ___উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
উত্তর: (১) প্রাকৃতিক সম্পদ, (২) খনিজ, (৩) জীবাশ্ম, (৪) রিসাইকেল, (৫) বিদ্যুৎ।

২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দাও।

১) নিচের কোন প্রাকৃতিক সম্পদটি নবায়নযোগ্য?
ক. তেল
খ. সূর্যের আলো
গ. প্রাকৃতিক গ্যাস
ঘ. কয়লা

২) নিচের কোনটি সূর্যের আলোকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে?
ক. জেনারেটর
খ. উইন্ডমিল
গ. সৌর প্যানেল
ঘ. গ্যাসের চুলা

৩) শক্তির সর্বাধিক ব্যবহৃত উৎস কোনটি?
ক. বায়ুপ্রবাহ
খ. পানির স্রোত
গ. সূর্যের আলো
ঘ. প্রাকৃতিক গ্যাস

৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:

প্রশ্ন ১। চার ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের নাম বল।
উত্তর: চার ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ হলো-
১. পানি সম্পদ,
২. বনজ সম্পদ,
৩. ভূমি সম্পদ ও
৪. খনিজ সম্পদ।

প্রশ্ন ২। বাংলাদেশে কোন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। যেমন- সূর্যের আলো, বায়ু, পানি, মাটি, উদ্ভিদ এবং প্রাণী। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং বেশ কিছু খনিজ ও শিলা রয়েছে।

৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন:

প্রশ্ন ১। আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে কীভাবে শক্তি পাই?
উত্তর: আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে বিভিন্নভাবে শক্তি পাই। যেমন- সূর্যের আলো শক্তির একটি গুরত্বপূর্ণ উৎস। সৌর প্যানেল ব্যবহার করে আমরা সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারি। আবার বায়ুপ্রবাহ জেনারেটরের সাথে যুক্ত করে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। অনুরূপভাবে পানির স্রোত জেনারেটরের সাথে যুক্ত করে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। এছাড়াও জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে খাবার রান্না করা, যানবাহন চালানো, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়।

প্রশ্ন ২। প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দুইটি উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দুইটি উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো-
১ . সম্পদের ব্যবহার কমানো প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের একটি ভালো উপায় হচ্ছে তা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া। যেমন- রান্না শেষে চুলা নিভিয়ে ফেলা।
২. সম্পদের পুনঃব্যবহার: কোনো জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করে আমরা বর্জ্য কমাতে পারি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন- লেখা শেষে কাগজ দিয়ে ঠোঙা তৈরি করতে পারি।

প্রশ্ন ৩। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজন কেন?
উত্তর: অনবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন- তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি একবার ব্যবহারেই নিঃশেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে এগুলোকে পুনরায় উৎপাদনও করা যায় না। নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন- সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পরিণত করা যায়। এগুলো ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না। প্রকৃতি থেকে পুনঃপুন পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এসব নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর নয়। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।

৫. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।

সোনা
নদী
সূর্যের আলো
প্রাকৃতিক গ্যাস
অনবায়নযোগ্য সম্পদ
খনিজ সম্পদ
পানি সম্পদ
নবায়নযোগ্য সম্পদ

উত্তর:
১. সোনা খনিজ সম্পদ
২. নদী পানি সম্পদ
৩. সূর্যের আলো নবায়নযোগ্য সম্পদ
৪. প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য সম্পদ

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর:

১. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। পানির দুইটি প্রাকৃতিক উৎসের নাম লেখ।
উত্তর: পানির দুইটি প্রাকৃতিক উৎস হলো- ১. বৃষ্টিপাত ও ২. সাগর।

প্রশ্ন ২। পানির দুইটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: পানির দুইটি ব্যবহার হলো- ১. পানি পান করার কাজে ব্যবহার করা হয়। ২. পানি রান্না করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৩। মাছ পাওয়া যায় এমন দুইটি উৎসের নাম লেখ।
উত্তর: মাছ পাওয়া যায় এমন দুইটি উৎস হলো- ১. পুকুর ও ২. বিল।

প্রশ্ন ৪। দৈনন্দিন জীবনে গাছপালার দুইটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: দৈনন্দিন জীবনে গাছপালার দুইটি ব্যবহার হলো- ১. নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে গাছপালা ব্যবহার করা হয়। ২. কাগজ তৈরিতে গাছপালা ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৫। খনিজ সম্পদ কী?
উত্তর: মাটির গভীর থেকে যেসব সম্পদ পাওয়া যায় সেগুলোকে ‘খনিজ সম্পদ বলে। যেমন- শিলা, খনিজ, তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬। খনিজের দুইটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: খনিজের দুইটি উদাহরণ হলো- ১. সোনা ও ২. রুপা।

প্রশ্ন ৭। সৌরশক্তি কী কাজে ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: সৌরশক্তিকে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তাপ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৮। সৌর প্যানেল কী?
উত্তর: সৌর প্যানেল হলো এক ধরনের যন্ত্র যা সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।

প্রশ্ন ৯। বায়ু বা বায়ুপ্রবাহের দুটি ব্যবহার লিখ।
উত্তর: বায়ু বা বায়ু প্রবাহের দুটি ব্যবহার হলো-১. বিদ্যুৎ উৎপাদনে বায়ু প্রবাহ ব্যবহার করা হয়। ২. জীবের শ্বাস-প্রশ্বাসে বায়ু ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ১০। দুটি শক্তির উৎসের নাম লিখ।
উত্তর: দুটি শক্তির উৎসের নাম হলো-১. সূর্যের আলো ও ২. বায়ু প্রবাহ।

প্রশ্ন ১১। বায়ুপ্রবাহ কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে?
উত্তর: বায়ুপ্রবাহ জেনারেটরের সাথে যুক্ত উইন্ডমিলের টারবাইন ঘোরায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।

প্রাকৃতিক সম্পদ চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর:

২. শূন্যস্থান পূরণ কর ।

১। পানির স্রোত থেকে ___ উৎপাদন করা হয়।
২। পালতোলা নৌকা ___ ব্যবহার করে।
৩। সূর্যের আলো, বায়ু, পানি এবং উদ্ভিদ হচ্ছে___সম্পদ।
৪। শক্তি হচ্ছে কোনো কিছু করার___
৫। বায়ুপ্রবাহ একটি সম্ভাবনাময় ___ উৎস।
৬। মানুষ সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য___ব্যবহার করে।
۹۱ তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাসকে ___ জ্বালানি বলা হয়।
৮। প্রাকৃতিক সম্পদ___
৯। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করে___।
১০। প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিকল্পিত ব্যবহারই হচ্ছে___
১১। জিনিসপত্র ___ করলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ কম পড়ে।
১২। বায়ুপ্রবাহ উইন্ডমিলের চরকা বা ___ঘোরায়।
১৩। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ালে ___উৎপন্ন হয়।

উত্তরমালা: ১। বিদ্যুৎ; ২। বায়ুপ্রবাহ; ৩। নবায়নযোগ্য; ৪। সামর্থ্য; ৫। সৌর প্যানেল; ৬। শক্তির; ৭। সীমিত; ৮। রিসাইকেল; ৯। সূর্যের আলো; ১০। শক্তি; ১১। সৌর প্যানেল; ১২। টারবাইন; ১৩। তাপ;

৩. বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিল কর।

প্রশ্ন ১। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:

বাম পাশ ডান পাশ
ক. পানির স্রোত থেকে ১. কাঠ ব্যবহার করা হয়
খ. চুনাপাথর ২. সহজলভ্য শক্তির উৎস
গ. কাগজ তৈরিতে ৩. বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়
ঘ. বায়ুপ্রবাহ ৪. জীবাশ্ম জ্বালানি
ঙ. কয়লা ৫. বর্জ্য উৎপাদন করা যায়
৬. ভূমি সম্পদ
৭. এক ধরনের শিল্প

উত্তরমালা:
ক. পানির স্রোত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
খ. চুনাপাথর এক ধরনের শিলা।
গ. কাগজ তৈরিতে কাঠ ব্যবহার করা হয়।
ঘ. বায়ুপ্রবাহ সম্ভাবনাময় শক্তির উৎস।
ঙ. কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানি।

প্রশ্ন ২। বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ
মিল কর:

বাম পাশ ডান পাশ
ক. মৃৎশিল্প ১. ফসল ও মাছ উৎপাদন
খ. তেল ২. উইন্ডমিলের টারবাইন ঘোরায়
গ. পানি ৩. ভূমি সম্পদ
ঘ. রান্নার চুলায় ৪. সৌরপ্যানেল
ঙ. বায়ুপ্রবাহ ৫. খনিজ সম্পদ
৬. প্রাকৃতিক গ্যাস
৭. নির্মাণ সামগ্রী

উত্তরমালা:
ক. মৃৎশিল্প ভূমি সম্পদ।
খ. তেল খনিজ সম্পদ।
গ. পানি ফসল ও মাছ উৎপাদন।
ঘ. রান্নার চুলায় প্রাকৃতিক গ্যাস।
ঙ. বায়ুপ্রবাহ উইন্ডমিলের টারবাইন ঘোরায়।

৪. কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর:

প্রশ্ন ১। চারটি নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক ‘সম্পদের নাম লেখ। আমরা গাছ লাগাই কেন তা দুইটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: চারটি নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো-
১. সূর্যের আলো,
২. বায়ু,
৩. পানি ও
৪. উদ্ভিদ।
গাছ লাগানোর দুইটি কারণ হলো-
১. গাছ থেকে আমরা খাদ্য, কাঠ, কাগজ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস পাই।
২. গাছ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।

প্রশ্ন ২। পানি কী ধরনের সম্পদ? দুটি খনিজ সম্পদের নাম লিখ। পানি সম্পদ সম্পর্কে তিনটি বাক্য লিখ।
উত্তর: পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। দুটি খনিজ সম্পদের নাম হলো কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস।পানি সম্পদ সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো:
১. পানির স্রোত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
২. বিভিন্ন কাজে পানি ব্যবহার করা হয়। যেমন- পান করা, ধোয়া-মোছা, রান্না করা, ফসল ফলানো প্রভৃতি।
৩. বৃষ্টিপাত, পুকুর, নদী, সাগর ইত্যাদি থেকে আমরা পানি পেয়ে থাকি।

প্রশ্ন ৩। শক্তি কী? শক্তির উৎস বলতে কী বুঝ? শক্তির তিনটি ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তর: কোনো কিছু করার সামর্থ্য হচ্ছে শক্তি।
মানুষ শক্তি উৎপাদনের জন্য যা কিছু ব্যবহার তাই শক্তির উৎস।
যেমন- সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ, পানির স্রোত ইত্যাদি।
শক্তির তিনটি ব্যবহার হলো-
১. কোনো ভারী বস্তুকে নাড়াতে শক্তি ব্যবহার করা হয়।
২. শব্দ সৃষ্টি করতে শক্তি ব্যবহার করা হয়।
৩. আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে শক্তি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৪। প্রাকৃতিক সম্পদ কী? এ ধরনের সম্পদের দুইটি উদাহরণ দাও। প্রাকৃতিক সম্পদের গুরুত্ব তিনটি বাক্যে লিখ।
উত্তর: প্রকৃতিতে পাওয়া যা কিছু আমাদের কাজে লাগে তাই প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদের দুইটি উদাহরণ হলো- পানি ও গাছপালা। প্রাকৃতিক সম্পদের গুরুত্ব তিনটি বাক্যে নিচে লেখা হলো-
১. আমরা তাপ পেতে জ্বালানি হিসেবে গাছপালা ব্যবহার করি।
২. আমরা মাটির উপরে ঘর-বাড়ি বা দালান নির্মাণ করি।
৩. চক, ধাতব মুদ্রা এবং নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে খনিজ এবং শিলা ব্যবহার করি।

প্রশ্ন ৫। বনজ সম্পদের দুটি ব্যবহার লিখ। চারটি খনিজের নাম লিখ।
উত্তর: বনজ সম্পদের দুটি ব্যবহার হলো-
১. নির্মাণ সামগ্রী, আসবাবপত্র এবং কাগজ তৈরিতে কাঠ বা গাছের ব্যবহার করা হয়.।
২. আমরা তাপ পেতে জ্বালানি হিসেবেও গাছপালা ব্যবহার করি।
চারটি খনিজের নাম হলো-
১. সোনা;
২. রুপা,
৩. তামা এবং
৪. লোহা।

প্রশ্ন ৬। তিনটি অনবায়নযোগ্য সম্পদের নাম লেখ। জীবাশ্ম জ্বালানির তিনটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: তিনটি অনবায়নযোগ্য সম্পদের নাম হলো- ১. প্রাকৃতিক গ্যাস, ২. তেল ও ৩. কয়লা।
জীবাশ্ম জ্বালানির তিনটি ব্যবহার হলো-
১. পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরিতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।
২. জ্বালানি, কৃত্রিম তন্তু ও ইউরিয়া সার উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।
৩. রান্না করা, তাপ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ৭। প্রাকৃতিক সম্পদকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে দুইটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদকে নবায়নযোগ্য এবং অনবায়নযোগ্য এ দুই ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে দুইটি পার্থক্য তুলে ধরা হলো-

নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
১. ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না। ১. এ সম্পদ একবার ব্যবহার করলে নিঃশেষ হয়ে যায়।
২. এ সম্পদ অফুরন্ত। ২. এ সম্পদের সরবরাহ সীমিত।

প্রশ্ন ৮। সূর্যকে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলার কারণ তিনটি বাক্যে লেখ। সূর্যের আলোর তিনটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: সূর্যের আলো ও তাপ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না। প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এ কারণে সূর্যকে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয়। সূর্যের আলোর তিনটি ব্যবহার হলো-
১. শস্য উৎপাদনে সূর্যের আলো ব্যবহার করা হয়।
২. উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে সূর্যের আলো ব্যবহৃত হয়।
৩. বিদ্যুৎ উৎপাদনে সূর্যের আলো ব্যবহার হয়।

প্রশ্ন ৯। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় শক্তি আমরা কোথা থেকে পাই? প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের পাঁচটি উপায় উল্লেখ কর।
উত্তর: দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় শক্তি আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাই। প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের পাঁচটি উপায় হলো-
১. সম্পদের ব্যবহার কমানো।
২. সম্পদের পুনঃব্যবহার।
৩. সম্পদের রিসাইকেল করা।
৪. নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার।
৫. অভ্যাসের পরিবর্তন।

আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান মহাবিশ্ব প্রশ্ন উত্তর

Codehorse App

Check Also

চতুর্থ শ্রেণীর বিশ্বপরিচয় প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণীর বিশ্বপরিচয় আমাদের সংস্কৃতি প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণীর বিশ্বপরিচয় আমাদের সংস্কৃতি প্রশ্ন উত্তর: সংস্কৃতি হচ্ছে আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের ধরন। এর মধ্যে …

One comment

  1. এটি খুব দরকার ছিল। ধন্যবাদ 🥰

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *